ETV Bharat / state

ব্রিগেড ময়দানে সমাবেশে মেলেনি সেনার অনুমতি, মিলিটারি নামলেও 7 জানুয়ারি সভা হবে; দাবি যুবনেত্রী মীনাক্ষীর - মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়

DYFI Brigade Rally: 7 জানুয়ারি ব্রিগেড ময়দানে সমাবেশের ডাক সিপিএম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ৷ এখনও সভার অনুমতি দিল না সেনা ৷ মিলিটারি নামলেও ওইদিন সভা হবে বলে দাবি করেছেন যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ৷ একই দাবি মহম্মদ সেলিমেরও ৷

DYFI Brigade Rally
ডিওয়াইএফআইয়ে ব্রিগেড ময়দানে সমাবেশে
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 23, 2023, 9:38 PM IST

কলকাতা, 23 ডিসেম্বর: প্রায় তিন মাস আগে ঘোষিত কর্মসূচি সম্পন্ন করতে বিপাকে সিপিএম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই । কারণ সভার জন্য অনুমতিই মিলছে না সেনার । আগামী 7 জানুয়ারি ব্রিগেড ময়দানে সমাবেশের কথা রয়েছে ডেমোক্র্যাটিক ইউথ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া'র । কিন্তু আজও অনুমতি দিল না সেনা । যদিও দুই তরফে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে । তারপরও কোনও রফা সূত্র বের হয়নি । এ বিষয়েই শনিবার ইটিভি ভারতকে বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ফোনে বলেন, "চিন্তার কোনও কারণ নেই । 7 জানুয়ারি ব্রিগেড হবেই ।" এদিকে শনিবার সকালে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ফেসবুক পোস্টে লেখেন, " ব্রিগেডে গীতাপাঠ, চন্ডীপাঠ হলেও যুবদের সভা করার অনুমতি মেলেনি । মিলিটারি নামালেও 7 জানুয়ারি সভা হবে ।"

কাজের দাবিতে ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে আগামী 7 জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ ডেকেছে বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই । তারই সমর্থনে গত 3 নভেম্বর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ধরে ধরে পদযাত্রা করেছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়রা । শুক্রবার কলকাতায় মিছিলের মাধ্যমে শেষ 'ইনসাফ যাত্রা' শেষ হয় ।

আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রের খবর, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি থেকে কোনওভাবেই পিছিয়ে আসতে না যুব নেতৃত্ব । তাঁরা তিন মাস ধরে কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করেছিল । তারপরও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না । পুলিশকে দিয়েই এসব করছে শাসকদল ৷ এমনটাই অভিযোগ সিপিএম নেতাদের । অন্যদিকে, যুব বাম নেতাদের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে প্রবীণ সিপিএম নেতাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছেন মহম্মদ সেলিমরা । জেলায় জেলায় নির্দেশ পৌঁছেছে, দলের সমস্ত সদস্যকে 7 জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশে উপস্থিত থাকতে হবে । তবে যদি কেউ অনুপস্থিত থাকেন, তার জন্য অনিবার্য কারণ দর্শাতেও বলা হয়েছে ।

ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন,"করোনার পর সব থেকে বড় বিপদ কাজের সমস্যা । 2014 থেকে যারা দেশকে পরিচালনা করছে তাঁরা কাজের জায়গায় বাজেট কমাচ্ছে । প্রতি মাসে বেকারত্বের তথ্য বেড়ে যাচ্ছে । যারা কাজ খুঁজবে তারাও কাজ খুঁজছে না । আত্মহত্যা করার ঘটনা বাড়ছে । আত্মকেন্দ্রিক্ত বাড়ছে । দেশ রাজ্যে জাতিবিদ্বেষ, ধর্ম ভাষায় বিভেদ বাড়ছে । গোটা দেশের মতো রাজ্যেও একই অবস্থা । নতুন কল-কারখানা হয়নি । পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ছে । করমণ্ডলের মতো দুর্ঘটনা ঘটছে । পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ কিসে ফিরবে, তা নিয়ে তরজা চলছে । এসব নিয়েই কোচবিহার থেকে কলকাতা পর্যন্ত 'ইনসাফ যাত্রা' শেষে কাজের দাবিতে ব্রিগেডে মিলব আমরা ।"

প্রায় 15 বছর বাদে বাম ছাত্র যুব সংগঠন ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে । এর আগে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন 2008 সালে শেষবার ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল । সেই সমাবেশে বক্তা ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সুভাষ চক্রবর্তী, আভাস রায়চৌধুরী ও অভয় মুখোপাধ্যায়রা । শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ।

এবার মূলত রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চুরি ও দুর্নীতি ইস্যুতে সরব হবেন বাম ছাত্র সংগঠনের নেতারা । ঠিক তেমনই বাংলার যুবসমাজের একটা বড় অংশ এখন বেকার । সেই সমস্ত বেকারদের ঐক্যবদ্ধ করতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বেকারত্বের ইস্যুতে জোরদার আন্দোলন সংগঠিত করা হবে । নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে কয়লা ও গরু পাচারের মতো ইসুগুলিতে যথেষ্ট গুরুত্ব পাবে বলেই ডিওয়াইএফআই রাজ্য কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন ।

আরও পড়ুন:

  1. মীনাক্ষীই মুখ! ক্যাপ্টেনের ডাকে এবার ব্রিগেড ভরাবে বাম ছাত্র-যুবরা
  2. ডিওয়াইএফআই-এসএফআই ইনসাফ সভার মিছিলে স্তব্ধ ধর্মতলা
  3. বাম যুবদের ব্রিগেড সমাবেশের অর্থ আসবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে !

কলকাতা, 23 ডিসেম্বর: প্রায় তিন মাস আগে ঘোষিত কর্মসূচি সম্পন্ন করতে বিপাকে সিপিএম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই । কারণ সভার জন্য অনুমতিই মিলছে না সেনার । আগামী 7 জানুয়ারি ব্রিগেড ময়দানে সমাবেশের কথা রয়েছে ডেমোক্র্যাটিক ইউথ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া'র । কিন্তু আজও অনুমতি দিল না সেনা । যদিও দুই তরফে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে । তারপরও কোনও রফা সূত্র বের হয়নি । এ বিষয়েই শনিবার ইটিভি ভারতকে বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ফোনে বলেন, "চিন্তার কোনও কারণ নেই । 7 জানুয়ারি ব্রিগেড হবেই ।" এদিকে শনিবার সকালে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ফেসবুক পোস্টে লেখেন, " ব্রিগেডে গীতাপাঠ, চন্ডীপাঠ হলেও যুবদের সভা করার অনুমতি মেলেনি । মিলিটারি নামালেও 7 জানুয়ারি সভা হবে ।"

কাজের দাবিতে ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে আগামী 7 জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ ডেকেছে বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই । তারই সমর্থনে গত 3 নভেম্বর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ধরে ধরে পদযাত্রা করেছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়রা । শুক্রবার কলকাতায় মিছিলের মাধ্যমে শেষ 'ইনসাফ যাত্রা' শেষ হয় ।

আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রের খবর, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি থেকে কোনওভাবেই পিছিয়ে আসতে না যুব নেতৃত্ব । তাঁরা তিন মাস ধরে কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করেছিল । তারপরও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না । পুলিশকে দিয়েই এসব করছে শাসকদল ৷ এমনটাই অভিযোগ সিপিএম নেতাদের । অন্যদিকে, যুব বাম নেতাদের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে প্রবীণ সিপিএম নেতাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছেন মহম্মদ সেলিমরা । জেলায় জেলায় নির্দেশ পৌঁছেছে, দলের সমস্ত সদস্যকে 7 জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশে উপস্থিত থাকতে হবে । তবে যদি কেউ অনুপস্থিত থাকেন, তার জন্য অনিবার্য কারণ দর্শাতেও বলা হয়েছে ।

ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন,"করোনার পর সব থেকে বড় বিপদ কাজের সমস্যা । 2014 থেকে যারা দেশকে পরিচালনা করছে তাঁরা কাজের জায়গায় বাজেট কমাচ্ছে । প্রতি মাসে বেকারত্বের তথ্য বেড়ে যাচ্ছে । যারা কাজ খুঁজবে তারাও কাজ খুঁজছে না । আত্মহত্যা করার ঘটনা বাড়ছে । আত্মকেন্দ্রিক্ত বাড়ছে । দেশ রাজ্যে জাতিবিদ্বেষ, ধর্ম ভাষায় বিভেদ বাড়ছে । গোটা দেশের মতো রাজ্যেও একই অবস্থা । নতুন কল-কারখানা হয়নি । পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ছে । করমণ্ডলের মতো দুর্ঘটনা ঘটছে । পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ কিসে ফিরবে, তা নিয়ে তরজা চলছে । এসব নিয়েই কোচবিহার থেকে কলকাতা পর্যন্ত 'ইনসাফ যাত্রা' শেষে কাজের দাবিতে ব্রিগেডে মিলব আমরা ।"

প্রায় 15 বছর বাদে বাম ছাত্র যুব সংগঠন ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে । এর আগে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন 2008 সালে শেষবার ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল । সেই সমাবেশে বক্তা ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সুভাষ চক্রবর্তী, আভাস রায়চৌধুরী ও অভয় মুখোপাধ্যায়রা । শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ।

এবার মূলত রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চুরি ও দুর্নীতি ইস্যুতে সরব হবেন বাম ছাত্র সংগঠনের নেতারা । ঠিক তেমনই বাংলার যুবসমাজের একটা বড় অংশ এখন বেকার । সেই সমস্ত বেকারদের ঐক্যবদ্ধ করতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বেকারত্বের ইস্যুতে জোরদার আন্দোলন সংগঠিত করা হবে । নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে কয়লা ও গরু পাচারের মতো ইসুগুলিতে যথেষ্ট গুরুত্ব পাবে বলেই ডিওয়াইএফআই রাজ্য কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন ।

আরও পড়ুন:

  1. মীনাক্ষীই মুখ! ক্যাপ্টেনের ডাকে এবার ব্রিগেড ভরাবে বাম ছাত্র-যুবরা
  2. ডিওয়াইএফআই-এসএফআই ইনসাফ সভার মিছিলে স্তব্ধ ধর্মতলা
  3. বাম যুবদের ব্রিগেড সমাবেশের অর্থ আসবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে !
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.