ETV Bharat / state

কাজ করছে না নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর অ্যাপ, হতাশ বিরোধীরা

নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে আচরণবিধি লাগু হওয়ার পরও কাজ করছে না কমিশনের অ্যাপ c-VIGIL

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Mar 12, 2019, 2:21 AM IST

কলকাতা, ১২ মার্চ : কথা ছিল, কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারবেন। দিতে পারবেন তার ছবি কিংবা ভিডিয়ো। ১০০ মিনিটের মধ্যে সেই অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। কিন্তু, সেটা কথার কথা হয়েই রয়ে গেল বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তাঁদের আরও অভিযোগ, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে আচরণবিধি লাগু হওয়ার পরও কাজ করছে না কমিশনের অ্যাপ c-VIGIL। বিষয়টি নিয়ে গতকাল রাজ্য মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে সর্বদলীয় বৈঠকে সরব হয় বিরোধীরা। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু অবশ্য জানিয়েছেন, এবিষয়ে তাঁরা স্পষ্ট করে কিছু জানেন না। তবে কমিশনের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত অ্যাপ চালুর ব্যবস্থা করবেন।

কমিশন একটি অ্যাপ আনছে বলে কলকাতায় এসে জানিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওম প্রকাশ রাওয়াত। জানিয়েছিলেন, ওই অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষও গণতন্ত্রের পাহারাদার হতে পারবেন। কোনও রাজনৈতিক দল যদি আচরণবিধি ভঙ্গ করে তবে তার ছবি কিংবা ভিডিয়ো অ্যাপটিতে পাঠানো যাবে। সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। অ্যাপ তৈরি হওয়ার পর সেটিকে কর্নাটক সহ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। তাতে সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিল কমিশন।

কলকাতা সফরে এসে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা জানিয়েছিলেন, যে কেউ এই অ্যাপটিতে ছবি আপলোড করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন গুরুত্ব দিয়ে সেই অভিযোগের বিষয়টি বিবেচনা করবে। পাশাপাশি আশ্বাস দিয়েছিলেন, যিনি এই অ্যাপটির মাধ্যমে অভিযোগ জানাবেন তাঁর পরিচয় গোপন থাকবে। পরে কমিশন জানিয়ে দেয়, ১০০ মিনিটের মধ্যেই সেই অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করা হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিতে নেতৃত্ব দেবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর।

নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ার পরও কাজ করছে না c-VIGIL। গতকাল বৈঠকে এই অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। CPI(M) নেতা রবীন দেব সর্বদলীয় বৈঠক শেষে বলেন, “নতুন অ্যাপ নাকি চালু হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে c-VIGIL। এখনও কাজ করছে না সেই অ্যাপ। যেমন ডায়মন্ড হারবারে পুলিশের মিটিং হয়েছে। সেখানে পঞ্চায়েত ভোটের মত কীভাবে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হবে না সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মানুষ অভিযোগ জানাতে পারত। এখন আবার শুনছি একটি নতুন নির্দেশ এসেছে। সেটা নাকি নোটিফিকেশনের পর চালু হবে। সে বিষয়ও ঠিকভাবে বলতে পারছে না ওরা।"

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সঞ্জয় বসু বলেন, “এ বিষয়ে আমরা স্পষ্ট করে বেশি কিছু জানি না। শুনছি গেজেট নোটিফিকেশনের পর ওই অ্যাপ চালু হবে। সর্বদল বৈঠকে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। আমরা কমিশনকে বিষয়টি জানাব। চেষ্টা করব দ্রুত চালু করতে।"

কলকাতা, ১২ মার্চ : কথা ছিল, কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারবেন। দিতে পারবেন তার ছবি কিংবা ভিডিয়ো। ১০০ মিনিটের মধ্যে সেই অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। কিন্তু, সেটা কথার কথা হয়েই রয়ে গেল বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তাঁদের আরও অভিযোগ, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে আচরণবিধি লাগু হওয়ার পরও কাজ করছে না কমিশনের অ্যাপ c-VIGIL। বিষয়টি নিয়ে গতকাল রাজ্য মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে সর্বদলীয় বৈঠকে সরব হয় বিরোধীরা। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু অবশ্য জানিয়েছেন, এবিষয়ে তাঁরা স্পষ্ট করে কিছু জানেন না। তবে কমিশনের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত অ্যাপ চালুর ব্যবস্থা করবেন।

কমিশন একটি অ্যাপ আনছে বলে কলকাতায় এসে জানিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওম প্রকাশ রাওয়াত। জানিয়েছিলেন, ওই অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষও গণতন্ত্রের পাহারাদার হতে পারবেন। কোনও রাজনৈতিক দল যদি আচরণবিধি ভঙ্গ করে তবে তার ছবি কিংবা ভিডিয়ো অ্যাপটিতে পাঠানো যাবে। সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। অ্যাপ তৈরি হওয়ার পর সেটিকে কর্নাটক সহ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। তাতে সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিল কমিশন।

কলকাতা সফরে এসে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা জানিয়েছিলেন, যে কেউ এই অ্যাপটিতে ছবি আপলোড করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন গুরুত্ব দিয়ে সেই অভিযোগের বিষয়টি বিবেচনা করবে। পাশাপাশি আশ্বাস দিয়েছিলেন, যিনি এই অ্যাপটির মাধ্যমে অভিযোগ জানাবেন তাঁর পরিচয় গোপন থাকবে। পরে কমিশন জানিয়ে দেয়, ১০০ মিনিটের মধ্যেই সেই অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করা হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিতে নেতৃত্ব দেবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর।

নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ার পরও কাজ করছে না c-VIGIL। গতকাল বৈঠকে এই অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। CPI(M) নেতা রবীন দেব সর্বদলীয় বৈঠক শেষে বলেন, “নতুন অ্যাপ নাকি চালু হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে c-VIGIL। এখনও কাজ করছে না সেই অ্যাপ। যেমন ডায়মন্ড হারবারে পুলিশের মিটিং হয়েছে। সেখানে পঞ্চায়েত ভোটের মত কীভাবে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হবে না সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মানুষ অভিযোগ জানাতে পারত। এখন আবার শুনছি একটি নতুন নির্দেশ এসেছে। সেটা নাকি নোটিফিকেশনের পর চালু হবে। সে বিষয়ও ঠিকভাবে বলতে পারছে না ওরা।"

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সঞ্জয় বসু বলেন, “এ বিষয়ে আমরা স্পষ্ট করে বেশি কিছু জানি না। শুনছি গেজেট নোটিফিকেশনের পর ওই অ্যাপ চালু হবে। সর্বদল বৈঠকে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। আমরা কমিশনকে বিষয়টি জানাব। চেষ্টা করব দ্রুত চালু করতে।"

Intro:কলকাতা, ১১ মার্চ: কথা ছিল কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে অভিযোগ জানাতে পারবেন যে কেউ। দিতে পারবেন তার ছবি কিংবা ভিডিও। ১০০ মিনিটের মধ্যে সেই অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। কিন্তু সেটা কথার কথা হয়েই রয়ে গেল বলে অভিযোগ বিরোধীদের। নির্বাচনে নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে আচরণবিধি লাগু হয়ে যাওয়ার পরেও কাজ করছে না কমিশনের অ্যাপ C-vigil। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। বিষয়টি নিয়ে আজ রাজ্য মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে সর্বদলীয় বৈঠকের সরব হয় বিরোধীরা। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু অবশ্য জানিয়েছেন, এবিষয়ে তাঁরা স্পষ্ট করে কিছু জানেন না। কমিশনের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত অ্যাপ চালুর ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।


Body:কলকাতায় এসে প্রথমবার বলেছিলেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওম প্রকাশ রাওয়াত। জানিয়েছিলেন কমিশন আনতে চলেছে একটি অ্যাপ। যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষজন হতে পারবেন গণতন্ত্রের পাহারাদার। কোন রাজনৈতিক দল যদি আচরণবিধি ভঙ্গ করে তবে তার ছবি কিংবা ভিডিও অ্যাপটিতে পাঠানো যাবে। সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। অ্যাপটি তৈরি হয়ে কর্ণাটক সহ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। তাতে সাফল্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিল কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চের সাম্প্রতিক কলকাতা সফরে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনিল আরোরা জানিয়েছিলেন, যে কেউ এই অ্যাপটিতে ছবি আপলোড করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন গুরুত্ব দিয়ে সেই অভিযোগের বিষয়টি বিবেচনা করবে। পাশাপাশি তাঁর আশ্বাস ছিলো যিনি এই অ্যাপটির মাধ্যমে অভিযোগ জানাবেন তার নাম পরিচয় গোপন থাকবে। পরে কমিশন জানিয়ে দেয় ১০০ মিনিটের মধ্যেই সেই অভিযোগ কে গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করা হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি তে নেতৃত্ব দেবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর।


Conclusion:নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু হয়ে যাবার পরেও কাজ করছে না Cvigil। আজ সর্বত্র বৈঠকে এমন অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। সিপিআইএম নেতা রবীন দেব সর্বদলীয় বৈঠক শেষে বলেন, “ নতুন অ্যাপ নাকি চালু হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে Cvigil। এখনো কাজ করছে না সেই অ্যাপ। যেমন ডায়মন্ড হারবারে পুলিশের মিটিং হয়েছে। সেখানে পঞ্চায়েত ভোটের মত কিভাবে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হবে না সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মানুষ অভিযোগ জানাতে পারতো। এখন আবার শুনছি আজকেই নতুন নির্দেশ এসেছে। সেটা নাকি নোটিফিকেশনের পর চালূ হবে। সেটাও ঠিক ভাবে বলতে পারছে না ওরা।"

এ প্রসঙ্গে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সঞ্জয় বসু বলেন, “ এ বিষয়ে আমরা স্পষ্ট করে খুব একটা বেশি কিছু জানি না। শুনছি গেজেট নোটিফিকেশনের পর ওই অ্যাপ চালু হবে। আজ সর্বদল বৈঠকে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। আমরা কমিশনকে বিষয়টি জানাবো। চেষ্টা করব দ্রুত চালু করতে।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.