কলকাতা, 3 এপ্রিল : প্রথমে বিরোধীদের, তারপর জনগণকে নকুলদানা খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে অভিযোগ। শোকজ় করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তাতে দমানো যায়নি তাঁকে। তিনি কমিশনকেই নকুলদানা খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। তা নিয়ে বেজায় চটে কমিশন। ফের শোকজ় করা হয় বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। সেই শোকজ়ের জবাব দিয়েছেন সম্প্রতি। আর গতকাল কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই নকুলদানা খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নজরে এসেছে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরের। অনুব্রতর এই মন্তব্য নিয়ে জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করা হচ্ছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
“কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও নকুলদানা দেবে। জল চাইবে, জল দেবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী যা চাইবে তাই দেবে" - এই মন্তব্য করে ফের বিতর্কের মুখে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এছাড়া তিনি বলেন, "১০০ পার্সেন্ট উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে। এছাড়াও বুথে বুথে নকুলদানা থাকবে।" গতকাল মুরারই ২ নম্বর ব্লকের মিত্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে নির্বাচনী সভা ছিল তৃণমূলের। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অনুব্রত। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, লোকসভা ভোটে রাস্তায় উন্নয়ন কি দাঁড়িয়ে থাকবে? উত্তরে তিনি বলেন, "১০০ পার্সেন্ট রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকবে।" এরপর নকুলদানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিয়ে বাড়িতে বাড়িতে নকুলদানা দেওয়া হবে। ভোটের দিন নকুলদানা থাকবে প্রত্যেক বুথে।"
সূত্র জানাচ্ছে, এবার আরও বিতর্কে জড়াতে পারেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। কারণ তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে শুধু নকুলদানা খাওয়ানোর কথাই বলেননি। দলীয় কর্মীদের বলেছেন, বাহিনী যা চাইবে তাই দেবে। বাহিনীকে মাংস ভাত খাইয়ে ম্যানেজ করার অভিযোগ আগেই এনেছিল বিরোধীরা। কমিশনের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল, এবার যেন কোনওভাবেই বাহিনীকে কেউ কিছু না দিতে পারে। পাশাপাশি উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকার মন্তব্য নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে বিস্তর গোলমাল হয়। সেই মন্তব্য আবার করেছেন অনুব্রত। যাতে আবারও সংশয় মাথাচাড়া দিচ্ছে। তবে কি নির্বাচনের দিনগুলোকে এবারেও বীরভূমে প্রবল অশান্তি হবে? বিষয়টি ভাবাচ্ছে কমিশনকেও।