কলকাতা, 20 এপ্রিল : করোনা ভাইরাস শক্তি বাড়িয়ে সুনামি হয়ে আছড়ে পড়েছে । নিত্য দিন সংক্রমন সংখ্যার পরিসংখ্যানে রেকর্ড গড়ছে করোনা ভাইরাস । স্কুল কলেজ, অফিস কাছারি বন্ধ এবং পঞ্চাশ শতাংশের কম কর্মী নিয়ে কাজ চালানোর নির্দেশ প্রশাসনিক তরফে দেওয়া হয়েছে । সামগ্রিক ভয়ের পরিবেশে খেলাধুলা ফের কীভাবে শুরু হবে তা নিয়ে ময়দান চিন্তিত । গত একবছর ধরে কলকাতা ময়দানে সেভাবে বল গড়ায়নি । এই অবস্থায় সল্টলেক স্টেডিয়ামের প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে 26 এপ্রিল থেকে এএফসি কাপের প্রস্তুতি শুরু করছে এটিকে মোহনবাগান । ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করা নিয়ে কোভিড বিধিনিষেধ কড়াভাবে মানার কথা বলেছে এটিকে মোহনবাগানের ম্যানেজমেন্ট । তবে বেড়ে চলা করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ফুটবলাররা চিন্তিত । একই সঙ্গে ভরসা রাখছেন টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনার উপর ।
প্রবীর দাস বলছেন, "পরিস্থিতি কঠিন । চিন্তা রয়েছে । বাড়িতে বাবা মা সহ পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে আশঙ্কা তো থাকছেই । নিজেকে নিয়ে চিন্তিত নই । খেলতে হবে । পরিস্থিতির মধ্যে খেলার হাত ধরে স্বাভাবিকতা বজায় রাখার চেষ্টা তো করতেই হবে । তবে আমি নিশ্চিত এবং আশ্বস্ত টিম ম্যানেজমেন্ট সেরা ব্যবস্থাপনা করবে ।"
মালদ্বীপের মাটিতে এএফসি কাপের খেলা । তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে । দুই সপ্তাহের প্রস্তুতি শুরু করতে 25 এপ্রিল কলকাতায় পা দিচ্ছেন এটিকে মোহনবাগানের কোচ আন্তেনিও লোপেজ হাবাস । এটিকে মোহনবাগানের ম্যানেজমেন্ট জানাচ্ছে সল্টলেক স্টেডিয়াম সংলগ্ন তারকাখচিত হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে । সেখানে সেমি বায়োবাবলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে । আইএসএলের সময় গোয়ায় যে ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রায় সেইরকম ব্যবস্থা থাকছে পুরো এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলারদের জন্য ।
আরও পড়ুন : বারপুজো নিয়ে দুই মেরুতে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান
চারদিন অন্তর প্রতিটি ফুটবলারের কোভিড পরীক্ষা করা হবে । বিদেশ থেকে আসছেন কোচ ফুটবলাররা । ভারতে বিদেশিদের প্রবেশের ব্যাপারে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তা মেনে হাবাসরা কলকাতায় পা দেবেন । এটিকে মোহনবাগানের এক কর্তা বলেন, "সোজা ভাবে বললে বলা যায়, বায়ো-বাবলের করিডর দিয়ে হাবাসরা দমদম বিমানবন্দরে পা দেবেন । যেসব বিমানবন্দরকে বায়োবাবল হিসেবে ভারত সরকার চিহ্নিত করেছে সেই বিমানবন্দর ছুঁয়ে কলকাতায় আসবেন ওরা। সেটা করতে গিয়ে একটু ঘুরপথে আসতে হলেও তাই করবে ওরা। তারপর এখানে এসে আমাদের ব্যবস্থাপনা থাকছেই ৷"
অরিন্দম ভট্টাচার্য, সবুজ মেরুন দুর্গের শেষপ্রহরী বলছেন, "চিন্তিত তো অবশ্যই। তবে আমরা সেরা ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিশ্চিন্ত। তবে পরিস্থিতি যাই হোক, খেলতে তো হবেই।তাই প্রস্তুতি সারতেই হবে।" প্রায় একই সুর প্রীতম কোটাল এবং প্রনয় হালদারের গলায় । চিন্তার সিদুরে মেঘ সরিয়ে ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি রাখতে নারাজ এটিকে মোহনবাগান । আস্থা রাখছেন ফুটবলাররাও ।