কলকাতা, 13 জানুয়ারি: সালটা 2020। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ল অজানা এক ভাইরাস ৷ নাম করোনা। প্রথমে চিন, তারপর ধীরে ধীরে সারা বিশ্বকেই কাবু করল ভাইরাস । বয়স নির্বিশেষে শুরু হল মৃত্যু মিছিল । দেশে ঘোষণা হল কার্ফু । গৃহবন্দি হলেন মানুষ ৷ আসতে আসতে আবিষ্কার হল টিকা । এক, দুই তারপর তিন নম্বর ডোজ নিয়ে আজ মানুষেরা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে তৈরি । কিন্তু বিগত এই 3টি বছর সারা বিশ্বের মানুষ কাছে এক যুগান্তকারী সময়কাল হিসেবেই থেকে যাবে । এই সময়ে যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ভারত-সহ বাকি দেশগুলি গিয়েছে, তা নজীরবিহীন ৷ তাই এই ভাইরাস ও তার সঙ্গে মোকাবিলা করার গল্পকেই লিপিবদ্ধ করলেন কলকাতার এক নামী বেসরকারি হাসপাতালে প্রধান ।
শুক্রবার প্রেসক্লাবে কোভিড অতিমারি নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেন রূপক বড়ুয়া । বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দিমা ভট্টাচার্য, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এছাড়াও বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা । নতুন এই বইয়ের নাম 'অ্যানাটমি অফ অ্যা প্যানডেমিক' (Anatomy of a pandemic) । 165 পাতার এই বই ৷ তাতে রয়েছে করোনা ভাইরাসের গল্প ।
সেই গল্পের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সমাজের প্রথম সারির যোদ্ধাদের জীবন ও অভিজ্ঞতার কথা । একের পর এক রোগীকে কোভিড থেকে সুস্থ করে তুলেছেন চিকিৎসকেরা ৷ কিন্তু চিকিৎসার করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন চিকিৎসকরাও ৷ মৃত্যুও হয়েছে বহু চিকিৎসকের । সেই সব কথাই তুলে ধরা হয়েছে এই বইয়ে । এছাড়াও এই বইতে রয়েছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বেশ কিছু রোগীদের কেস স্টাডি। পাশাপাশি বইয়ে রয়েছে টিকাকরণের গল্প । থাকছে লকডাউনের সময় মানুষের জীবনযাত্রার বিস্তারিত বিবরণও ।
কিন্তু কেন এই বই প্রকাশের ভাবনা ? সে বিষয়ে 'অ্যানাটমি অফ অ্যা প্যানডেমিক' বইয়ের লেখক তথা বেসরকারি হাসপাতালের প্রধান রূপক বড়ুয়া বলেন, "আমরা শেষ দেখেছিলাম স্প্যানিশ ফ্লু । তারপর 100 বছরে আর এই ধরণের মহামারি দেখেছি কি না জানা নেই । তাই আমার মনে হয় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় আমরা কীভাবে এই অতিমারির মোকাবিলা করেছিলাম সেই তথ্যকে লিপিবদ্ধ করে রাখা দরকার । তার ফলে পরবর্তী প্রজন্ম এই অতিমারি সম্পর্ককে অবগত হতে পারবে ।" এই বইটি লেখক লিখেছেন সম্পূর্ণ ইংরেজিতে । তবে এটিকে বাংলাতেও প্রকাশ করার ভাবনা রয়েছে বলে রূপক বড়ুয়া জানান ।
আরও পড়ুন: