কলকাতা, 29 নভেম্বর: 2024 সালের লোকসভা নির্বাচন যখন আসন্ন, সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখে ফের শোনা গেল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-র কথা ৷ বুধবার কলকাতায় বিজেপির সভা থেকে গেরুয়া শিবিরের এই হেভিওয়েট নেতা বললেন, ‘‘সিএএ লাগু হবেই ৷ কেউ আটকাতে পারবে না ৷’’ একই সঙ্গে অনুপ্রবেশ নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি ৷
2019 সালের শীতকালীন অধিবেশনে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছিল মোদি সরকার ৷ সেই নিয়ে দেশের বিভিন্ন অংশে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছিল ৷ এই নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ তার পর সময় এগিয়েছে ৷ কিন্তু বলবৎ হয়নি সিএএ ৷ সামনে আরও একটা লোকসভা নির্বাচন ৷ তার আগে এই আইন বলবৎ হবে ? এই প্রশ্ন বারবার উঠেছে ৷
এ দিন ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে বিজেপির প্রতিবাদ সভার মঞ্চ থেকে সেই বিষয়টিই স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, ‘‘সিএএ দেশের আইন ৷ এটাকে কেউ আটকাতে পারবে না ৷ এটা আমরা লাগু করব ৷ যে হিন্দুরা ওখান (প্রতিবেশী দেশ) থেকে এসেছেন, তাঁদেরও এই দেশে সমান অধিকার আছে ৷’’
আর সিএএ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অনুপ্রবেশের কথাও বলেন অমিত শাহ ৷ সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ছড়িয়েছিল সোশাল মিডিয়ায়, সেখানে তৃণমূলের এক নেত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড করে দেওয়া হবে ৷ এ দিন অমিত শাহের বক্তব্যে সেই প্রসঙ্গ উঠে আসে ৷ তাঁর দাবি, অনুপ্রবেশ রুখতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার ৷ অথচ এক সময় অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মমতা ৷ এখন অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড করে দিচ্ছে মমতার দল ৷
তিনি অসমের প্রসঙ্গ টানেন ৷ সেখানে বিজেপি সরকার আসার পর অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন ৷ পাশাপাশি দাবি করেন, অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে সিএএ-র বিরোধিতা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
এছাড়া এ দিন কেন্দ্রীয় বাংলায় বিভিন্ন হিংসার ঘটনার প্রসঙ্গ তোলেন ৷ বলেন, ‘‘সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্বাচনী হিংসা হয় বাংলায় ৷...যে বাংলায় এক সময় সকালে রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনা যেত, এখন সেখানে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় ৷...বাংলাকে সবচেয়ে পিছিয়ে দিয়েছে দিয়েছে দিদি ৷ দিদি বাংলাকে বরবাদ করে দিয়েছে ৷’’
কংগ্রেস ও মমতা রামমন্দির তৈরি আটকে রেখেছিলেন বলেও অমিত শাহ অভিযোগ করেন ৷ কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় থাকায় সেই রামমন্দির তৈরি হচ্ছে বলে খবর ৷ একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘‘মোদিজি সবসময় বাংলার বিকাশ করতে চান ৷ মমতা বিকাশ করতে দিতে চান না ৷’’
আরও পড়ুন: