ETV Bharat / state

Ambikesh Mahapatra Cartoon Case: কার্টুনকাণ্ডে 11 বছর পর মুক্তি, ফের গণতন্ত্র বিরোধী কাজের অভিযোগ অম্বিকেশের - অম্বিকেশ মহাপাত্র

প্রায় এক দশক পর কার্টুনকাণ্ডে (Cartoon Controversy) অধ্যাপক অম্বিকেশকে অব্যাহতি দিল আদালত ৷ প্রায় 11বছরের আইনি লড়াইয়ের পর কার্টুন কাণ্ডে পূর্ব যাদবপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। ফের শাসকদলের বিরুদ্ধে তুললেন গণতন্ত্র বিরোধী কাজের অভিযোগ ৷

Ambikesh Mahapatra Cartoon
অম্বিকেশ মহাপাত্র
author img

By

Published : Jan 20, 2023, 2:33 PM IST

কলকাতা, 20 জানুয়ারি: কার্টুনকাণ্ডে 11 বছর পর মুক্তি পেলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (Professor of Jadavpur University) অম্বিকেশ মহাপাত্র। গতকাল, বৃহস্পতিবার আলিপুর জেলা আদালতে 11 বছরের পুরনো মামলায় তাঁকে নিষ্পত্তি দিয়েছে। শুক্রবার ইটিভি ভারতকে তিনি বলেন, "চক্রান্ত করে মামলাটিকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, আমি হাল ছাড়িনি। তথ্য প্রযুক্তি আইনের ভ্যানিশ হয়ে যাওয়া ধারা 66 আমার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছিল।"

তিনি আরও বলেন, "অন্যান্য রাজ্যেও এই ধারা প্রয়োগ করে বাকস্বাধীনতা হরণ করার চেষ্টা হচ্ছিল। 2015 সালে এক জনস্বার্থ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সেই ধারা ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, রাজ্যের শাসকদল, তৃণমূল কংগ্রেস ও দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2011 সালে ক্ষমতায় আসার পরই গণতন্ত্র বিরোধী কাজ শুরু করেছেন। যার ধারা আজও বজায় রয়েছে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সমালোচনা চায় না। যে কারণেই তার দলের এবং সরকারের কেউ সমালোচনা করলে তারা পুলিশ প্রশাসনকে অপব্যবহার করে সেই ব্যক্তির বাকস্বাধীনতা হরণ করতে চায়।"

Ambikesh Mahapatra Cartoon
কার্টুন কাণ্ডে 11 বছর পর মুক্তি অম্বিকেশ মহাপাত্রের

উল্লেখ্য, 2012 সালে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন অম্বিকেশ মহাপাত্র। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকের সেই পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দীনেশ ত্রিবেদী এবং মুকুল রায়ের ছবি ছিল। এই পোস্টের পরপরই অম্বিকেশ মহাপাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য-রাজনীতিতে। আজ দীর্ঘ 11 বছর পর আইনি লড়াইয়ে সেই মামলা থেকে মুক্তি পেলেন অম্বিকেশ মহাপাত্র।

আরও পড়ুন: ফিরল অম্বিকেশ-স্মৃতি, পার্থ-অর্পিতার মিম বানিয়ে জঙ্গলমহলে আটক যুবক

মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ইটিভি ভারতকে অম্বিকেশবাবু আরও বলেন, "অনেক আগেই মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যের শাসকদল কোর্টের বিচারককেও ভয় দেখাতে ছাড়েননি। যে কারণে বাতিল হয়ে যাওয়া কোনও ধারা চাপিয়ে বিচারক মামলাটি জিইয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন। 2021 সালের ডিসেম্বরে আমি ফের করে আবেদন করি। সেই মামলায় 1 বছর শুনানির পর আমাকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে সত্যের জয় হয়েছে। আগামিদিনে এই মামলা নজিরবিহীন হয়ে থাকবে।"

কলকাতা, 20 জানুয়ারি: কার্টুনকাণ্ডে 11 বছর পর মুক্তি পেলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (Professor of Jadavpur University) অম্বিকেশ মহাপাত্র। গতকাল, বৃহস্পতিবার আলিপুর জেলা আদালতে 11 বছরের পুরনো মামলায় তাঁকে নিষ্পত্তি দিয়েছে। শুক্রবার ইটিভি ভারতকে তিনি বলেন, "চক্রান্ত করে মামলাটিকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, আমি হাল ছাড়িনি। তথ্য প্রযুক্তি আইনের ভ্যানিশ হয়ে যাওয়া ধারা 66 আমার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছিল।"

তিনি আরও বলেন, "অন্যান্য রাজ্যেও এই ধারা প্রয়োগ করে বাকস্বাধীনতা হরণ করার চেষ্টা হচ্ছিল। 2015 সালে এক জনস্বার্থ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সেই ধারা ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, রাজ্যের শাসকদল, তৃণমূল কংগ্রেস ও দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2011 সালে ক্ষমতায় আসার পরই গণতন্ত্র বিরোধী কাজ শুরু করেছেন। যার ধারা আজও বজায় রয়েছে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সমালোচনা চায় না। যে কারণেই তার দলের এবং সরকারের কেউ সমালোচনা করলে তারা পুলিশ প্রশাসনকে অপব্যবহার করে সেই ব্যক্তির বাকস্বাধীনতা হরণ করতে চায়।"

Ambikesh Mahapatra Cartoon
কার্টুন কাণ্ডে 11 বছর পর মুক্তি অম্বিকেশ মহাপাত্রের

উল্লেখ্য, 2012 সালে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন অম্বিকেশ মহাপাত্র। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকের সেই পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দীনেশ ত্রিবেদী এবং মুকুল রায়ের ছবি ছিল। এই পোস্টের পরপরই অম্বিকেশ মহাপাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য-রাজনীতিতে। আজ দীর্ঘ 11 বছর পর আইনি লড়াইয়ে সেই মামলা থেকে মুক্তি পেলেন অম্বিকেশ মহাপাত্র।

আরও পড়ুন: ফিরল অম্বিকেশ-স্মৃতি, পার্থ-অর্পিতার মিম বানিয়ে জঙ্গলমহলে আটক যুবক

মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ইটিভি ভারতকে অম্বিকেশবাবু আরও বলেন, "অনেক আগেই মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যের শাসকদল কোর্টের বিচারককেও ভয় দেখাতে ছাড়েননি। যে কারণে বাতিল হয়ে যাওয়া কোনও ধারা চাপিয়ে বিচারক মামলাটি জিইয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন। 2021 সালের ডিসেম্বরে আমি ফের করে আবেদন করি। সেই মামলায় 1 বছর শুনানির পর আমাকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে সত্যের জয় হয়েছে। আগামিদিনে এই মামলা নজিরবিহীন হয়ে থাকবে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.