ETV Bharat / state

Teacher Recruitment Scam: প্রোমোটিংয়ের পাশাপাশি আইটি সংস্থার মালিক, বহুমুখী প্রতিভা অয়নের - Ayan Sil

প্রোমোটারির পাশাপাশি একটি আইটি সংস্থার মালিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Teacher Recruitment Scam) ধৃত অয়ন শীল ৷ তাঁর সল্টলেকের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া নথি থেকে জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা ৷

Teacher Recruitment Scam ETV BHARAT
Teacher Recruitment Scam
author img

By

Published : Mar 20, 2023, 5:14 PM IST

কলকাতা, 20 মার্চ: বহুমুখী প্রতিভার মালিক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীল ৷ ইডি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, একজন প্রোমোটার হওয়া সত্ত্বেও ধীরে ধীরে প্রভাব এবং প্রতিপত্তি বিস্তার করে হয়ে উঠেছেন আইটি কোম্পানির মালিক (Ayan Sil is Owner of an IT Company ) ৷ তাঁর এই প্রতিভা দেখে রীতিমত চমকে উঠছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷

অয়নের সল্টলেকের এফ ডি ব্লকের 388 নম্বর বিল্ডিংয়ের ফ্ল্যাট ও অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একাধিক কাগজপত্র এবং হার্ডডিস্ক উদ্ধার হয়েছে ৷ সেখান থেকেই তদন্তকারীরা জেনেছেন, অয়ন শীলের নামে একটি আইটি সংস্থা রয়েছে ৷ আর এখানেই প্রশ্ন, একজন প্রোমোটার কীভাবে আইটি সংস্থার মালিক হয়ে উঠতে পারেন ? ওই আইটি সংস্থার নামে বেশ কয়েকটি গাড়ি রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের ৷

তিনবছর আগে সল্টলেকে এফ ডি ব্লকের 388 নম্বর বিল্ডিয়ে থাকা অফিস ও বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন প্রোমোটার অয়ন শীল ৷ নিচের তলায় অফিস আর উপরে ফ্ল্যাট ৷ সেই ফ্ল্যাট থেকে অংসখ্য ওএমআর শিট-সহ একাধিক পৌরসভার বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি উদ্ধার হয়েছে ৷ তদন্তকারীদের দাবি যে শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে নয় বরং অয়ন শীল একাধিক পৌরসভাতেও চাকরির দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন ৷ মূলত, 2014 সালে টেট দুর্নীতির ঘটনার তদন্ত করেছিল ইডি ৷ এক্ষেত্রে তাঁর অফিসে তল্লাশি অভিযানের পর বিষয়টি আর 2014 সালের টেটের নিয়োগে সীমাবদ্ধ নেই ৷

2012 সালে টেটের চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা ও উত্তরপত্র উদ্ধার হয়েছে অয়নের সল্টলেকের অফিস থেকে ৷ ফলে গোয়েন্দাদের অনুমান শুধুমাত্র 2014 সালের দুর্নীতি নয় ৷ বরং 2012 সালেও নিয়োগ ক্ষেত্রে দুর্নীতিতে যুক্ত অয়ন-সহ একাধিক প্রভাবশালীরা ৷

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে হুগলির সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এই অয়ন শীল ৷ তিনি প্রায় 55-60 কোটি টাকার লেনদেন করেছেন ৷ অয়নের ফ্ল্যাট এবং অফিসে তল্লাশি অভিযানে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোঁজ পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা ৷ অ্যাকাউন্টগুলি সবই অয়নের নামেই ৷ সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য যাচাই করে ইডি প্রায় 60 কোটি টাকার লেনদেনের দাবি করেছে ৷

আরও পড়ুন: 2014 নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বেরিয়ে এল 2012 সালের নথি, সেখানেও দুর্নীতির আশঙ্কা ইডি-র

এছাড়াও হুগলির চুঁচুড়ায় জগুদাস পাড়ায় তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি প্লটে প্রমোটিং করেছেন অয়ন শীল ৷ শুধু শান্তনুর চুঁচুড়ার এই বাড়িই নয় বরং শান্তনুর বিভিন্ন রিসর্ট, অফিস এবং বিভিন্ন কাজের বরাতও পেয়েছেন ধৃত প্রোমোটার ৷ এই খবর সামনে আসতেই জানা যায়, নিয়োগ দুর্নীতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যত ডান হাত ছিলেন অয়ন শীল ৷ রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন তিনি ৷

কলকাতা, 20 মার্চ: বহুমুখী প্রতিভার মালিক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীল ৷ ইডি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, একজন প্রোমোটার হওয়া সত্ত্বেও ধীরে ধীরে প্রভাব এবং প্রতিপত্তি বিস্তার করে হয়ে উঠেছেন আইটি কোম্পানির মালিক (Ayan Sil is Owner of an IT Company ) ৷ তাঁর এই প্রতিভা দেখে রীতিমত চমকে উঠছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷

অয়নের সল্টলেকের এফ ডি ব্লকের 388 নম্বর বিল্ডিংয়ের ফ্ল্যাট ও অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একাধিক কাগজপত্র এবং হার্ডডিস্ক উদ্ধার হয়েছে ৷ সেখান থেকেই তদন্তকারীরা জেনেছেন, অয়ন শীলের নামে একটি আইটি সংস্থা রয়েছে ৷ আর এখানেই প্রশ্ন, একজন প্রোমোটার কীভাবে আইটি সংস্থার মালিক হয়ে উঠতে পারেন ? ওই আইটি সংস্থার নামে বেশ কয়েকটি গাড়ি রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের ৷

তিনবছর আগে সল্টলেকে এফ ডি ব্লকের 388 নম্বর বিল্ডিয়ে থাকা অফিস ও বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন প্রোমোটার অয়ন শীল ৷ নিচের তলায় অফিস আর উপরে ফ্ল্যাট ৷ সেই ফ্ল্যাট থেকে অংসখ্য ওএমআর শিট-সহ একাধিক পৌরসভার বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি উদ্ধার হয়েছে ৷ তদন্তকারীদের দাবি যে শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে নয় বরং অয়ন শীল একাধিক পৌরসভাতেও চাকরির দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন ৷ মূলত, 2014 সালে টেট দুর্নীতির ঘটনার তদন্ত করেছিল ইডি ৷ এক্ষেত্রে তাঁর অফিসে তল্লাশি অভিযানের পর বিষয়টি আর 2014 সালের টেটের নিয়োগে সীমাবদ্ধ নেই ৷

2012 সালে টেটের চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা ও উত্তরপত্র উদ্ধার হয়েছে অয়নের সল্টলেকের অফিস থেকে ৷ ফলে গোয়েন্দাদের অনুমান শুধুমাত্র 2014 সালের দুর্নীতি নয় ৷ বরং 2012 সালেও নিয়োগ ক্ষেত্রে দুর্নীতিতে যুক্ত অয়ন-সহ একাধিক প্রভাবশালীরা ৷

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে হুগলির সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এই অয়ন শীল ৷ তিনি প্রায় 55-60 কোটি টাকার লেনদেন করেছেন ৷ অয়নের ফ্ল্যাট এবং অফিসে তল্লাশি অভিযানে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোঁজ পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা ৷ অ্যাকাউন্টগুলি সবই অয়নের নামেই ৷ সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য যাচাই করে ইডি প্রায় 60 কোটি টাকার লেনদেনের দাবি করেছে ৷

আরও পড়ুন: 2014 নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বেরিয়ে এল 2012 সালের নথি, সেখানেও দুর্নীতির আশঙ্কা ইডি-র

এছাড়াও হুগলির চুঁচুড়ায় জগুদাস পাড়ায় তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি প্লটে প্রমোটিং করেছেন অয়ন শীল ৷ শুধু শান্তনুর চুঁচুড়ার এই বাড়িই নয় বরং শান্তনুর বিভিন্ন রিসর্ট, অফিস এবং বিভিন্ন কাজের বরাতও পেয়েছেন ধৃত প্রোমোটার ৷ এই খবর সামনে আসতেই জানা যায়, নিয়োগ দুর্নীতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যত ডান হাত ছিলেন অয়ন শীল ৷ রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন তিনি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.