কলকাতা, 7 নভেম্বর : এক মাসও হয়নি । আবারও অভিযোগ উঠল বেহালার এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে । এবারের অভিযোগ আরও গুরুতর। শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনলেন রোগীর মেয়ে । অভিযোগ, ওই নার্সিংহোমের চিকিৎসক তাঁর শরীরের আপত্তিকর অংশে হাত দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বেহালা থানার পুলিশ ।
57 বছরের এক ব্যক্তি দিন পাঁচেক ধরে ভুগছেন জ্বরে । পরিবারের বক্তব্য, তাঁর কোভিড টেস্ট করা হয়েছিল । সেই টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তার মাঝে 2 নভেম্বর ওই ব্যক্তিকে ভরতি করা হয় বেহালার এক নার্সিংহোমে । সেখানে চিকিৎসকরা জানান তাঁর নিউমোনিয়া হয়েছে । রোগীর পরিবারের অভিযোগ, সঠিকভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না । সেই কারণে রোগীকে ওই নার্সিংহোমে রাখতে চাইছেন না । রোগীর পরিবার অন্য এক নার্সিংহোমে ভরতির ব্যবস্থা করেন । বেহালার ওই নার্সিংহোমে অনুরোধ করেন রোগীকে ডিসচার্জ করার জন্য । গতকাল সকালেই সেই কথা জানান রোগীর আত্মীয়রা । রোগীর মেয়ের দাবি, রোগীকে ডিসচার্জ করার কথা বলার পরেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানায়, তাঁর কোভিড টেস্ট করতে দেওয়া হয়েছে । রিপোর্ট আসার আগে ছাড়া যাবে না । রাত পর্যন্ত চলে টালবাহানা । তার জেরে অধৈর্য হয়ে পড়ে রোগীর পরিবার । রোগীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় তখন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান, “পরিষ্কার করে বলুন, রোগীকে ছাড়বেন কি না?"
অভিযোগ, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ । সেই সময় রোগীর মেয়ে পুরো বিষয়টির ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে গেলে তাঁর মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয় । তাঁকে আটকে রাখা হয় একটি ঘরে । নার্সিংহোমের মধ্যেই ছিল সেই ঘর । ওই যুবতির অভিযোগ, বন্ধ ঘরে চিকিৎসক তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন । আপত্তিকর ভাবে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দিয়েছেন । পরে বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ । পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয় ।
মাসখানেক আগে রোগীর পরিবারকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে এই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধেই । ডায়মন্ড হারবার থেকে আসা এক রোগীর পরিবারের লোকজন দাবি করেন, নার্সিংহোমের চিকিৎসক এবং কর্তৃপক্ষ তাঁদের গায়ে হাত তুলেছে । ঘটনার জেরে স্থানীয়রা বিষয়টি মিটমাট করতে গেলে তাঁদের গায়েও হাত তোলা হয় বলে অভিযোগ । ঘটনা নিয়ে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেধে গিয়েছিল নার্সিংহোম চত্বরে । পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । স্থানীয়দের দাবি, বারবার কেন ওই হাসপাতালে বিরুদ্ধেই অভিযোগ আসছে তা খতিয়ে দেখতে হবে ।