কলকাতা, 11 সেপ্টেম্বর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিংয়ের জেরে ছাত্রমৃত্যুর যে অভিযোগ উঠেছে, সেই ঘটনায় ধৃতদের হেনস্তা করার অভিযোগ উঠল ৷ সোমবার ঘটনাটি ঘটে আলিপুর আদালত চত্বরে ৷ এ দিন ওই অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হয় ৷ প্রিজন ভ্যান থেকে কোর্ট লকআপে নিয়ে যাওয়ার সময়ই তাঁদের হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ ৷
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, যেহেতু যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে মাসখানেক ধরে ব্যাপক হইচই হয়েছে, তাই অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করার সময় প্রতিবারই উৎসুক জনতার ভিড় থাকে ৷ সোমবারও ছিল ৷ সেই ভিড়ের মধ্য়েই ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী রমা দাস ও প্রিয়াঙ্কা গুপ্ত ৷ প্রিজন ভ্যান থেকে যখন অভিযুক্তদের নামানো হচ্ছে, সেই সময় রমা দাস একজনের জামার কলার ধরেন ৷ জানতে চান, ‘‘কীরে ? কী করেছিস ?’’
ওই অভিযুক্তই প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে প্রথম কোর্ট লকআপের দিকে যাচ্ছিলেন ৷ ফলে এই নিয়ে হইচই শুরু হয় ৷ অনেকেই ওই আইনজীবীকে এমনটা না করতে বলেন ৷ তার পর অবশ্য বাকি অভিযুক্তরা কোর্ট লকআপে ঢুকে যান ৷ এই নিয়ে পরে আইনজীবী রমা দাস বলেন, ‘‘অন্যায় কাজ করলে তো মানুষ রাগ করবেই ৷ মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করার জায়গা এটা নয় ৷ সমাজ কি বলে দিয়েছে যে হাজার লোকের প্রাণ নিয়ে খেলা করবে ?’’
অন্যদিকে আরও এক আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা গুপ্তর বক্তব্য, যাদবপুরের মতো একটা নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং চলছে ৷ সেখানে অধ্যাপকরাও কোনোরকম প্রতিবাদ করেন না ৷ যে ছেলেটা মারা গেল, তাঁদের অধিকার কে রক্ষা করবে ?
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা এখনও বিচারাধীন৷ ধৃতরা আদৌ দোষী কি না, সেই বিচার তো আদালতে হচ্ছে ৷ তার মাঝে এভাবে কি আইন হাতে নিয়ে অভিযুক্তদের হেনস্তা করা যায় ? বিশেষ করে আইনজীবীরা কি এমন করতে পারেন ? যদিও এই নিয়ে অনুতপ্ত নন রমা দাস ৷ তিনি অন্য একটি মামলার উদাহরণ টেনে জানান যে আগেও তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন ৷ এবার পুলিশি ঘেরাটোপে অভিযুক্তরা থাকায় তিনি বিশেষ কিছু করতে উঠতে পারেননি ৷
আরও পড়ুন: অপরাধী সাজানো হয়েছে, আদালতে প্রবেশের মুখে ফের সাফাই ধৃত সৌরভের
এ দিকে ওই অভিযুক্তদের 25 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার জন্য পুলিশের তরফে আদালতে আবেদন করা হয়েছে ৷ আদালত নির্দেশ রিজার্ভ রেখেছে বলে সূত্রের খবর ৷