ETV Bharat / state

KMC Recruitment Scam: কলকাতা কর্পোরেশনের চিফ ল অফিসারের নিয়োগ ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ

কলকাতা কর্পোরেশনের চিফ ল অফিসারের নিয়োগ ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক ৷ কলকাতা কর্পোরেশনের সিএমএলও মহম্মদ সেলিম আনসারির নিয়োগ কীভাবে হয়েছে তা ঘিরে উঠেছে প্রশ্ন ৷

Etv Bharat
কর্পোরেশনের চিফ ল অফিসারের নিয়োগ ঘিরে দুর্নীতি
author img

By

Published : Jul 18, 2023, 8:27 AM IST

Updated : Jul 18, 2023, 2:25 PM IST

কলকাতা, 18 জুলাই: কলকাতা কর্পোরেশনের চিফ মিউনসিপ্যাল ল অফিসার (সিএমএলও)-র নিয়োগ ঘিরেই চাঞ্চল্য । রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে করা এক নাগরিকের আরটিআই-র উত্তরে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে । জনৈক এক নাগরিক আরটিআই করে পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কলকাতা কর্পোরেশনের সিএমএলও মহম্মদ সেলিম আনসারির নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়। উত্তরে বলা হয়েছে, কলকাতা কর্পোরেশনে মহম্মদ সেলিম আনসারির নিয়োগ পত্র রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতর দেয়নি। যা নিয়েই দানা বেঁধেছে বিতর্ক ৷

পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রশ্নের ভিত্তিতে কলকাতা কর্পোরেশনের কাছে উত্তর চাইলে, সিএমএলও পদে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথি দফতরের কাছে নেই বলে জানিয়েছে কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। আর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে এই পদে মহম্মদ সেলিম আনসারি-কে কে নিয়োগ করলেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল খোদ মহম্মদ সেলিম আনসারির কাছেই। তিনি জানিয়েছেন, "আমি এই বিষয় কিছু বলতে চাই না ৷ যা জানে সবটাই কলকাতা মিউনসিপ্যাল কর্পোরেশন জানে।"

কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, তৃণমূল পৌর বোর্ডে আসার বছর দুই পর থেকেই কর্পোরেশনের ওই পদে কাজ শুরু করেন সেলিম আনসারি। 2012 থেকে 2023 টানা 11 বছর ধরে তিনি ওই পদেই আছেন। এক আধিকারিক জানান, "ওই পদে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল পৌর নগরোন্নয়ন দফতর। আমরা উত্তর জানিয়েছি। তবে তার নিয়োগের কোনও নথির খোঁজ মেলেনি।"

তবে কলকাতা কর্পোরেশনের ডায়েরিতে ওই পদে সেলিম আনসারির নামই লেখা। শুধু তাই নয়, প্রতি মাসে চা খরচ হিসেবে ওই আধিকারিক বিপুল অঙ্কের টাকা তোলেন। যার সার্কুলার হয় পৌরসভায়। সেই সংক্রান্ত বিষয় সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়ায় হইচই হয়েছিল। এত কিছুর পরেও কীভাবে এই নিয়োগ নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট নথি দেখাতে পারল না কর্তৃপক্ষ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনীতিকেরা দাবি করছেন, বিষয়টা যথেষ্ট জটিল। তবে নিয়োগ দুর্নীতি যে হয়েছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে করা পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্টেও তা ধরা পড়েছে।

আরও পড়ুন: দেড় মাসের মাথায় ফের বদল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে

উল্লেখ্য, এই পদে তিন ভাবে নিয়োগ হয়। প্রথমত কর্পোরেশনের আবেদনের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার নিয়োগ করে। দ্বিতীয়ত মেয়র পারিষদ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যের কাছে নাম পাঠানো হয় অনুমোদনের জন্য। তৃতীয়ত মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন থেকে একজনকে রাজ্য অনুমোদন দেয়। এই তিন ধরণের মধ্যে কোনও একটি নথিও কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেনি।

কলকাতা, 18 জুলাই: কলকাতা কর্পোরেশনের চিফ মিউনসিপ্যাল ল অফিসার (সিএমএলও)-র নিয়োগ ঘিরেই চাঞ্চল্য । রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে করা এক নাগরিকের আরটিআই-র উত্তরে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে । জনৈক এক নাগরিক আরটিআই করে পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কলকাতা কর্পোরেশনের সিএমএলও মহম্মদ সেলিম আনসারির নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়। উত্তরে বলা হয়েছে, কলকাতা কর্পোরেশনে মহম্মদ সেলিম আনসারির নিয়োগ পত্র রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতর দেয়নি। যা নিয়েই দানা বেঁধেছে বিতর্ক ৷

পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রশ্নের ভিত্তিতে কলকাতা কর্পোরেশনের কাছে উত্তর চাইলে, সিএমএলও পদে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথি দফতরের কাছে নেই বলে জানিয়েছে কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। আর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে এই পদে মহম্মদ সেলিম আনসারি-কে কে নিয়োগ করলেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল খোদ মহম্মদ সেলিম আনসারির কাছেই। তিনি জানিয়েছেন, "আমি এই বিষয় কিছু বলতে চাই না ৷ যা জানে সবটাই কলকাতা মিউনসিপ্যাল কর্পোরেশন জানে।"

কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, তৃণমূল পৌর বোর্ডে আসার বছর দুই পর থেকেই কর্পোরেশনের ওই পদে কাজ শুরু করেন সেলিম আনসারি। 2012 থেকে 2023 টানা 11 বছর ধরে তিনি ওই পদেই আছেন। এক আধিকারিক জানান, "ওই পদে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল পৌর নগরোন্নয়ন দফতর। আমরা উত্তর জানিয়েছি। তবে তার নিয়োগের কোনও নথির খোঁজ মেলেনি।"

তবে কলকাতা কর্পোরেশনের ডায়েরিতে ওই পদে সেলিম আনসারির নামই লেখা। শুধু তাই নয়, প্রতি মাসে চা খরচ হিসেবে ওই আধিকারিক বিপুল অঙ্কের টাকা তোলেন। যার সার্কুলার হয় পৌরসভায়। সেই সংক্রান্ত বিষয় সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়ায় হইচই হয়েছিল। এত কিছুর পরেও কীভাবে এই নিয়োগ নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট নথি দেখাতে পারল না কর্তৃপক্ষ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনীতিকেরা দাবি করছেন, বিষয়টা যথেষ্ট জটিল। তবে নিয়োগ দুর্নীতি যে হয়েছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে করা পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্টেও তা ধরা পড়েছে।

আরও পড়ুন: দেড় মাসের মাথায় ফের বদল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে

উল্লেখ্য, এই পদে তিন ভাবে নিয়োগ হয়। প্রথমত কর্পোরেশনের আবেদনের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার নিয়োগ করে। দ্বিতীয়ত মেয়র পারিষদ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যের কাছে নাম পাঠানো হয় অনুমোদনের জন্য। তৃতীয়ত মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন থেকে একজনকে রাজ্য অনুমোদন দেয়। এই তিন ধরণের মধ্যে কোনও একটি নথিও কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেনি।

Last Updated : Jul 18, 2023, 2:25 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.