কলকাতা, 29 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডের আবহেই এবার র্যাগিংয়ের অভিযোগ গুরুদাস কলেজে। র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতা-সহ আরও দু'জনের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ তুলে সরাসরি ইউজিসিকে চিঠি দিয়েছেন নির্যাতিত পড়ুয়া। চিঠি পাওয়ার পরেই কলেজ কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি। এমনকী ওই ছাত্রের পরিচয় জেনে তাঁর কাউন্সিলিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ইউজিসির তরফে। 24 ঘন্টার মধ্যে ঘটনায় এফআইআর করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ৷ পাশাপাশি, নির্যাতিত কলেজ পড়ুয়ার পরিচয় গোপন রাখার কথাও কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে ইউজিসি।
কলেজ কর্তৃপক্ষ ইউজিসির তরফে চিঠি পাওয়ার পর অধ্যক্ষ মৌসুমি চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এখনও ইউজিসির চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাইনি। কোন পড়ুয়া এবং কার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সব আমরা দেখেছি। তবে পুরো বিষয়টাই গোপনে রাখার কথা বলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। যদিও তাঁর নাম বা আর কোনও পরিচয় জানা যায়নি। তবে অভিযোগ মূলত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে। এসএফআই'য়ের অভিযোগ, চার বছর ধরে কলেজে নির্বাচন হয়নি। তাই সাধারণ সম্পাদক পদে দীর্ঘদিন রয়েছেন সোহম চক্রবর্তী ৷ সে নাকি, পড়ুয়াদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য সবাইকে ভয় দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা বলেই দাবি করেন তৃণমূলের ওই ছাত্র। তবে ব়্যাগিংয়ের ঘটনায় সোহম চক্রবর্তী-সহ আরও দুই ছাত্রের নাম জড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছ ৷
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে 7 দিনের মধ্যে রিপোর্ট চাইল রাজ্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম
সোমবার ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস ৷ এই দিন অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে ব়্যাগিং'য়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল সিসিটিভি লাগানোর কথা ৷ এছাড়াও তিনি বলেন, "আমাদের সরকার ব়্যাগিংয়ের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে কোনও পড়ুয়ার প্রাণ নেবেন না ৷" তবে গুরুদাস কলেজে ব়্যাগিংয়ের ঘটনা আরও একবার অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসক শিবিরকে ৷