কলকাতা, 31 মে : রেল বোর্ডের তরফে মিলেছে আশ্বাস ৷ সেই আশ্বাসের পরেই গণ ছুটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেনিলেন স্টেশন মাস্টাররা (All India Station Masters Association withdraws their strike)। একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে রেলের স্টেশন মাস্টারদের সংগঠন, ইন্ডিয়া স্টেশন মাস্টার অ্যাসোসিয়েশন দেশজুড়ে গণছুটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ৷ প্রায় 35 হাজার স্টেশন মাস্টার একসঙ্গে একদিনের 'ক্যাজুয়াল লিভ' বা ছুটির আবেদন জানিয়েছিলেন ৷ স্টেশন মাস্টাররা একসঙ্গে এভাবে গণ ছুটিতে গেলে ট্রেন পরিষেবায় তার বড় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল ৷ আপাতত সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হল ৷
রেলের স্টেশন মাস্টারদের সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছিল, তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া বারবার রেল কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা হলেও রেলের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি ৷ তাই বাধ্য হয়ে স্টেশন মাস্টাররা গণ ছুটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ বিষয়টিকে কার্যত দেশজোড়া রেল ধর্মঘট হিসেবেই দেখা হচ্ছিল ৷ হাওড়া ডিভিশনের 800 জন, শিয়ালদহ ডিভিশনের 300 জন এবং আসানসোল ডিভিশনে 400 জনেরও বেশি স্টেশন মাস্টার ছুটির আবেদন জানিয়েছিলেন ৷ ইস্টার্ন রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়ন সরাসরি এই আন্দোলনে অংশ না নিলেও, এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছিল সংগঠনটি ৷
আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি ভবনের বাগানে ঈগল ! গলায় স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং যন্ত্র
সংগঠনের পক্ষ থেকে অমিত ঘোষ বলেন, "সরাসরি যুক্ত না-থাকলেও আমরা প্রথম থেকেই স্টেশন মাস্টারদের দাবি পূরণ নিয়ে তাদের আন্দোলনের পাশে ছিলাম এবং সমর্থন জানিয়েছি । তবে রেলবোর্ড দাবিদাওয়াগুলি বিবেচনা করার আশ্বাস দেওয়ায় এদিনের গণ ছুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে ৷" এপ্রসঙ্গে পূর্ব রেলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সম্প্রতি রেল মন্ত্রকের সঙ্গে একটি বৈঠক হয় তাঁদের । রেল মন্ত্রকের আধিকারিকরা স্টেশন মাস্টারদের দাবিগুলি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন । এরপরেই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এদিনের ধর্মঘট তুলে নেওয়া হয় । উল্লেখ্য, আন্দোলনকারীদের মূল দাবি, বর্তমানে যে 7 হাজারের বেশি শূন্য পদ পড়ে রয়েছে তা দ্রুত পূরণ করতে হবে, নইলে বর্তমান স্টেশন মাস্টারদের উপর কাজের খুব চাপ পড়ে যাচ্ছে ৷ এছাড়াও নাইট ডিউটি অ্যালোয়েন্স ফের চালু করা ও নতুন পেনশন স্কিম বন্ধ করে পুরনো পেনশন স্কিম চালু করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা ৷