ETV Bharat / state

"হুজুর বাচ্চা মানুষ করতে চাই, সাজা কম দেবেন", আবেদন আলিমা- হাকিমের

author img

By

Published : Aug 30, 2019, 9:48 PM IST

Updated : Aug 30, 2019, 10:12 PM IST

জন্মের পর থেকেই তার ঠিকানা জেলের অন্ধ কুঠুরি । বিকাশ ভবনের NIA বিশেষ আদালতের ঘরটাও তার কিছুটা চেনা । মায়ের হাত ধরে বারবার আসতে হয়েছে যে । বিচারকক্ষে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সেই শিশুকে দেখিয়েই আলিমা বিবি বলেন, "হুজুর আমার একটা বাচ্চা আছে । ওকে মানুষ করতে চাই । সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চাই । একটু বিবেচনা করবেন ।"

হাকিম

কলকাতা, 30 অগাস্ট : বিচারক সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলালের চেয়ার থেকে কয়েক ফুট দূরে বসেছিল শিশুটি । পরনে হলুদ টি শার্ট । উজ্জ্বল চোখে দেখছিল সবটা । মাঝেমধ্যে চলছিল "দিদি"-র ( রাজ়িয়া বিবির মেয়ে) সঙ্গে খুনসুটি । তারই মাঝে কখনও কখনও রেগে গিয়ে বসেছিল মায়ের কোলে । বয়স কত হবে? বড়জোর চার । না, তার বোঝার ক্ষমতা নেই কী চলছে আদালতকক্ষে । নিরাপত্তা কর্মীরা জানাচ্ছে, তবে আজ সে ছিল একটু বেশিই শান্ত ।

জন্মের পর থেকেই তার ঠিকানা জেলের অন্ধ কুঠুরি । বিচার ভবনের NIA বিশেষ আদালতের ঘরটাও তার কিছুটা চেনা । মায়ের হাত ধরে বারবার আসতে হয়েছে যে । বিচারকক্ষে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সেই শিশুকে দেখিয়েই আলিমা বিবি বলেন, "হুজুর আমার একটা বাচ্চা আছে । ওকে মানুষ করতে চাই । সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চাই । একটু বিবেচনা করবেন ।"

জেলে থাকাকালীন শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন আলিমা বিবি । খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সময় তিনি মাসখানেকের অন্তঃসত্ত্বা । বিচার চলাকালীন তৎকালীন বিচারক গোপালচন্দ্র কর্মকার আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে আলিমার যথাযথ চিকিৎসার নির্দেশ দেন । তখন আলিমা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা । কিছুদিন আগেই প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে আলিমার শওহর খাগড়াগড় বিস্ফোরণের আরও এক অভিযুক্ত আবদুল হাকিম । সে ওই বিস্ফোরণকাণ্ডে একমাত্র জীবিত প্রত্যক্ষদর্শী । আজ আদালতকক্ষে দাঁড়িয়ে হাকিমের আবেদন ছিল একই । তিনি শেষবার কথা বলতে গিয়ে বিচারককে বলেন, "হুজুর, ছেলেকে মানুষ করতে চাই । বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা আছে, তাদের দেখভাল করতে চাই । সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চাই ।"

2014 সালের 2 অক্টোবর । বর্ধমানের খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে । বিস্ফোরণের ঠিক আগে শাকিল আহমেদ ও সুবহান শেখের সঙ্গে হাত মিলিয়েই হাকিম খাগড়াগড়ে হাসান চৌধুরির বাড়ির দোতলায় বসে IED তৈরি করছিল বলে অভিযোগ ওঠে । শাকিল এবং সুবহান ঘটনাস্থানেই মারা যায় । গুরুতর আহত হয় হাকিম । ঘটনার সময় ওই বাড়িতে ছিল দু'জন মহিলা, ছিল দুই শিশু । ঘটনার সময়ে বাড়ির মালিক আশরাফ আলি চৌধুরি পাশের নিজের বাড়িতেই স্নান করছিলেন । পাশাপাশি বাড়ি দুটো তাদেরই । বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তিনি দোতলায় উঠে দেখেন, দরজায় ভিতর থেকে তালা দেওয়া । দুই মহিলা জানিয়ে দেয়, কিছুই হয়নি । ঘরে কোনও পুরুষ নেই । তাই দরজা খোলা যাবে না । সেই দুই মহিলা হল আলিমা বিবি ও রাজ়িয়া বিবি । 2 অক্টোবরের সেই বিস্ফোরণে অন্যতম দোষী হাকিমের হাঁটুতে মারাত্মক ক্ষতি হয় । তাকে SSKM -এ আনা হয় । সেখানে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা । সেই মতো 17 অক্টোবর তার প্রথম বার অস্ত্রোপচার হয় । কিন্তু তা সফল হয়নি । তাই পরে দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার হয় । সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রোনাল্ড রস ভবনে প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের পাঁচতলায় ঘণ্টাখানেক ধরে অস্ত্রোপচার হয় । তারপর একটু একটু করে সুস্থ হয়ে ওঠে সে ।

আদালতের কাছে যে 19 জন দোষী আবেদন জানিয়েছিল তার মধ্যে ছিল এই দম্পতিও । আজ সব আবেদন শোনার পর সাজা ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল বলেন, "যেহেতু আলিমার ছোট্ট শিশু রয়েছে । ও সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চায়, তাই তার ছয় বছরের সাজা শোনানো হল । সঙ্গে 20 হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও 1 বছরের সাজা ।" তখন আলিমার কোলে বসে তার ছোট্ট শিশু । আলিমা গারদের দিকে তাকায় একবার । সেখানেই ছাই রঙা পাঞ্জাবিতে দাঁড়িয়েছিল আবদুল হাকিম । মুহূর্তে ডাক পড়ে তার । কাঠগড়ায় যায় হাকিম । বিচারক তার 8 বছরের সাজা শোনান । সঙ্গে 20 হাজার টাকা জরিমানা । অনাদায়ে আরও এক বছরের জেল । মুহূর্তে হাকিম তাকাল স্ত্রীর দিকে । একবার যেন চোখ গেল কোলের শিশুদিকেও । বিচারক তখন বলছেন, "মূলত অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং 125 IPC, সঙ্গে আন ল ফুল অ্যাক্টিভিটির জন্য এই সাজা দেওয়া হল ।"

আলিমার মুখ ছিল বোরখায় ঢাকা । তার অভিব্যক্তি দেখা যায়নি । কাঠগড়া থেকে নামার সময় হাকিমের দীর্ঘশ্বাস । হলুদ টি-শার্টে শিশুটি তখনও দিদির সঙ্গে খুনসুটিতে ব্যস্ত ।

কলকাতা, 30 অগাস্ট : বিচারক সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলালের চেয়ার থেকে কয়েক ফুট দূরে বসেছিল শিশুটি । পরনে হলুদ টি শার্ট । উজ্জ্বল চোখে দেখছিল সবটা । মাঝেমধ্যে চলছিল "দিদি"-র ( রাজ়িয়া বিবির মেয়ে) সঙ্গে খুনসুটি । তারই মাঝে কখনও কখনও রেগে গিয়ে বসেছিল মায়ের কোলে । বয়স কত হবে? বড়জোর চার । না, তার বোঝার ক্ষমতা নেই কী চলছে আদালতকক্ষে । নিরাপত্তা কর্মীরা জানাচ্ছে, তবে আজ সে ছিল একটু বেশিই শান্ত ।

জন্মের পর থেকেই তার ঠিকানা জেলের অন্ধ কুঠুরি । বিচার ভবনের NIA বিশেষ আদালতের ঘরটাও তার কিছুটা চেনা । মায়ের হাত ধরে বারবার আসতে হয়েছে যে । বিচারকক্ষে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সেই শিশুকে দেখিয়েই আলিমা বিবি বলেন, "হুজুর আমার একটা বাচ্চা আছে । ওকে মানুষ করতে চাই । সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চাই । একটু বিবেচনা করবেন ।"

জেলে থাকাকালীন শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন আলিমা বিবি । খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সময় তিনি মাসখানেকের অন্তঃসত্ত্বা । বিচার চলাকালীন তৎকালীন বিচারক গোপালচন্দ্র কর্মকার আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে আলিমার যথাযথ চিকিৎসার নির্দেশ দেন । তখন আলিমা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা । কিছুদিন আগেই প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে আলিমার শওহর খাগড়াগড় বিস্ফোরণের আরও এক অভিযুক্ত আবদুল হাকিম । সে ওই বিস্ফোরণকাণ্ডে একমাত্র জীবিত প্রত্যক্ষদর্শী । আজ আদালতকক্ষে দাঁড়িয়ে হাকিমের আবেদন ছিল একই । তিনি শেষবার কথা বলতে গিয়ে বিচারককে বলেন, "হুজুর, ছেলেকে মানুষ করতে চাই । বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা আছে, তাদের দেখভাল করতে চাই । সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চাই ।"

2014 সালের 2 অক্টোবর । বর্ধমানের খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে । বিস্ফোরণের ঠিক আগে শাকিল আহমেদ ও সুবহান শেখের সঙ্গে হাত মিলিয়েই হাকিম খাগড়াগড়ে হাসান চৌধুরির বাড়ির দোতলায় বসে IED তৈরি করছিল বলে অভিযোগ ওঠে । শাকিল এবং সুবহান ঘটনাস্থানেই মারা যায় । গুরুতর আহত হয় হাকিম । ঘটনার সময় ওই বাড়িতে ছিল দু'জন মহিলা, ছিল দুই শিশু । ঘটনার সময়ে বাড়ির মালিক আশরাফ আলি চৌধুরি পাশের নিজের বাড়িতেই স্নান করছিলেন । পাশাপাশি বাড়ি দুটো তাদেরই । বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তিনি দোতলায় উঠে দেখেন, দরজায় ভিতর থেকে তালা দেওয়া । দুই মহিলা জানিয়ে দেয়, কিছুই হয়নি । ঘরে কোনও পুরুষ নেই । তাই দরজা খোলা যাবে না । সেই দুই মহিলা হল আলিমা বিবি ও রাজ়িয়া বিবি । 2 অক্টোবরের সেই বিস্ফোরণে অন্যতম দোষী হাকিমের হাঁটুতে মারাত্মক ক্ষতি হয় । তাকে SSKM -এ আনা হয় । সেখানে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা । সেই মতো 17 অক্টোবর তার প্রথম বার অস্ত্রোপচার হয় । কিন্তু তা সফল হয়নি । তাই পরে দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার হয় । সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রোনাল্ড রস ভবনে প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের পাঁচতলায় ঘণ্টাখানেক ধরে অস্ত্রোপচার হয় । তারপর একটু একটু করে সুস্থ হয়ে ওঠে সে ।

আদালতের কাছে যে 19 জন দোষী আবেদন জানিয়েছিল তার মধ্যে ছিল এই দম্পতিও । আজ সব আবেদন শোনার পর সাজা ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল বলেন, "যেহেতু আলিমার ছোট্ট শিশু রয়েছে । ও সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চায়, তাই তার ছয় বছরের সাজা শোনানো হল । সঙ্গে 20 হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও 1 বছরের সাজা ।" তখন আলিমার কোলে বসে তার ছোট্ট শিশু । আলিমা গারদের দিকে তাকায় একবার । সেখানেই ছাই রঙা পাঞ্জাবিতে দাঁড়িয়েছিল আবদুল হাকিম । মুহূর্তে ডাক পড়ে তার । কাঠগড়ায় যায় হাকিম । বিচারক তার 8 বছরের সাজা শোনান । সঙ্গে 20 হাজার টাকা জরিমানা । অনাদায়ে আরও এক বছরের জেল । মুহূর্তে হাকিম তাকাল স্ত্রীর দিকে । একবার যেন চোখ গেল কোলের শিশুদিকেও । বিচারক তখন বলছেন, "মূলত অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং 125 IPC, সঙ্গে আন ল ফুল অ্যাক্টিভিটির জন্য এই সাজা দেওয়া হল ।"

আলিমার মুখ ছিল বোরখায় ঢাকা । তার অভিব্যক্তি দেখা যায়নি । কাঠগড়া থেকে নামার সময় হাকিমের দীর্ঘশ্বাস । হলুদ টি-শার্টে শিশুটি তখনও দিদির সঙ্গে খুনসুটিতে ব্যস্ত ।

Intro:কলকাতা, ৩০ অগাস্ট: বিচারক সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলালের সেয়ার থেকে কয়েক ফুট দূরে বসেছিলে শিশু। পরনে হলুদ টি শার্ট।জুলজুল চোখে দেখছিল সবটা। মাঝেমধ্যে চলছিল “দিদি"র ( রাজিয়া বিবির মেয়ে) সঙ্গে খুনসুটি। তারি মাঝে কপট রাগে গিয়ে বসে ছিল মায়ের কোলে। বয়স কত হবে? বড়জোর চার। না, তার বোঝার ক্ষমতা নেই কি চলছে আদালত কক্ষে। নিরাপত্তা কর্মীরা জানাচ্ছে, তবে আজ সে ছিল একটু বেশিই শান্ত।
Body:জন্মের পর থেকেই শিশুদের জেলের অন্ধ কুঠুরি। বিকাশ ভবনের NIA বিশেষ আদালতের ঘরটাও তার কিছুটা চেনা। মায়ের হাত ধরে বারবার আসতে হয়েছে যে! বিচার কক্ষে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সেই শিশুকে দেখিয়েই আলিমা বিবি বলেন, “ হুজুর আমার একটা বাচ্চা আছে। ওকে মানুষ করতে চাই। সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চাই। একটু বিবেচনা করবেন।"


জেলে থাকাকালীন শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন আলিমা বিবি। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সময় তিনি মাসখানেকের অন্তঃসত্ত্বা। বিচার চলাকালীন তৎকালীন বিচারক গোপালচন্দ্র কর্মকার আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে আলিমার যথাযথ চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেন। তখন আলিমা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিছুদিন আগেই প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে হালিমার শওহর খাগড়াগড় বিস্ফোরণের আরো এক অভিযুক্ত আব্দুল হাকিম। সে ওই বিস্ফোরণকাণ্ডে একমাত্র জীবিত প্রত্যক্ষদর্শী। আজ আদালতকক্ষে দাঁড়িয়ে হাকিমের আবেদন ছিল একই। তিনি শেষবার কথা বলতে গিয়ে বিচারককে বলেন, “ হুজুর, ছেলেকে মানুষ করতে চাই। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা আছে, তাদের দেখভাল করতে চাই। সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চাই।"

২০১৪ সালের ২ অক্টোবর। বর্ধমানের খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের ঠিক আগে শাকিল আহমেদ ও সুবহান শেখের সঙ্গে হাত মিলিয়েই হাকিম খাগড়াগড়ে হাসান চৌধুরীর বাড়ির দোতলায় বসে আইইডি তৈরি করছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। শাকিল এবং সুবহান ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত হয় হাকিম। ঘটনার সময় ওই বাড়িতে ছিল দুজন মহিলা, ছিল দুই শিশু। ঘটনার সময়ে বাড়ির মালিক আশরাফ আলি চৌধুরী পাশের নিজের বাড়িতেই স্নান করছিলেন। পাশাপাশি বাড়ি দুটো তাদেরই। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তিনি দোতলায় উঠে দেখেন, দরজায় ভিতর থেকে তালা দেওয়া। দুই মহিলা জানিয়ে দেন, কিছুই হয়নি। ঘরে কোনও পুরুষ নেই। তাই দরজা খোলা যাবে না। সেই দুই মহিলা হল আলিমা বিবি ও রাজিয়া বিবি। 2 অক্টোবরের সেই বিস্ফোরণে অন্যতম দোষী হাকিমের হাঁটুতে মারাত্মক ক্ষতি হয়। তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সেই মতো ১৭ অক্টোবর তাঁর প্রথম বার অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু তা সফল হয়নি। তাই পরে দ্বিতীয় বার অস্ত্রোপচারের হয়। সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রোনাল্ড রস ভবনে প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের পাঁচতলায় ঘণ্টাখানেক ধরে অস্ত্রোপচার হয়। তারপর একটু একটু করে সুস্থ হয়ে ওঠে সে।

আদালতের কাছে যে 19 জন দোষ আবেদন জানিয়েছিল তার মধ্যে ছিল এই দম্পতিও। আজ সব আবেদন শোনার পর সাজানোর ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক বলেন সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল বলেন, “ যেহেতু আলিমার ছোট্ট শিশু রয়েছে, তিনি সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চান, তাই তার ছয় বছরের সাজা শোনানো হল। সঙ্গে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের সাজা"। তখন হালিমার কোলে বসে তার ছোট্ট শিশু। আলিমা গারদের দিকে তাকালেন একবার। সেখানেই ছাই রঙা পাঞ্জাবিতে দাঁড়িয়েছিলেন আব্দুল হাকিম। মুহূর্তে ডাক পড়লো তার। কাঠগড়ায় গেলেন হাকিম। বিচারক তার 8 বছরের সাজা শোনালেন। সঙ্গে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা।অনাদায়ে আরো এক বছরের জেল। মুহূর্তে হাকিম তাকালেন স্ত্রীর দিকে। একবার যেন চোখ গেল কোলের শিশুদিকেও। বিচারক তখন বলছেন, “ মূলত অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং ১২৫ IPC, সঙ্গে আন ল ফুল অ্যাক্টিভিটির জন্য এই সাজা দেওয়া হল।" Conclusion:আলিমার মুখ ছিল বোরখায় ঢাকা। তার অভিব্যক্তি দেখা যায়নি। কাঠগোলা থেকে নামার সময় হাকিমের দীর্ঘশ্বাস! হলুদ টি-শার্টের শিশু তখন দিদির সঙ্গে খুনসুটিতে ব্যস্ত।
Last Updated : Aug 30, 2019, 10:12 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.