কলকাতা, 8 নভেম্বর: চাকরির সুনিশ্চিতকরণ ও কর্মীদের উপর হামলা বন্ধের দাবিতে দেশজুড়ে ফের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের (Bank Strike) ডাক দিল ব্যাংক কর্মী ও অফিসারদের সংগঠন । একাধিক দাবি আদায়ের জন্য আগামী 19 নভেম্বর শনিবার দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলিতে ধর্মঘট পালনের ডাক দিয়েছে অল ইন্ডিয়া ব্যাংক এমপ্লয়েজ অ্যাসোসিয়েশন-সহ একাধিক সংগঠন (AIBEA Called Bank Strike on 19 November) ।
ট্রেড ইউনিয়নের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা না-করা, ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার, কর্মীদের চাকরির সুনিশ্চিতকরণ, নানা অজুহাতে কর্মীদের বদলি ও সেটেলমেন্টের জন্য চাপ সৃষ্টি বন্ধ করা-সহ একাধিক দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে । এই ধর্মঘটে দেশের লক্ষাধিক ব্যাংক কর্মীরা অংশ নেবেন বলেই এআইবিইএ নেতাদের দাবি । এর জেরে ব্যাংকিং পরিষেবা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তলোয়ারে ধার কমে গেছে বোধহয় !' কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
অল ইন্ডিয়া ব্যাংক এমপ্লয়েজ অ্যাসোসিয়েশনের (AIBEA ) সভাপতি রাজেন নাগর বলেন, "সারা দেশের বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মীদের কাজে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে । তাদের অধিকারের উপর ক্রমাগত আক্রমণ চালাচ্ছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ । যা ক্রম আইন বিরোধী । এরকম একাধিক দাবি-দাওয়া আছে আমাদের । যা ব্যাংক কর্মীদের স্বার্থে । ব্যাংক কর্মীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য 19 তারিখ দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে ।"
এআইবিইএ-এর নেতাদের অভিযোগ, কর্মীরা যে কাজের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন তার বাইরে গিয়ে বিভিন্ন কাজ করতে হচ্ছে । কর্মচারীদের স্থানান্তরের জন্য চাপ দিচ্ছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ । কোনো ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাদের নানান ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে ৷ এরকম সমস্যা সমাধানের জন্য দ্বীপাক্ষিক আলোচনার পথ খোলা আছে। সরকার এবং কর্তৃপক্ষ যদি সেই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান ঘটাতে না পারে তাহলে আগামিদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ব্যাংক কর্মী সংগঠনগুলির তরফে ।
এদিকে এই ব্যাঙ্ক ধর্মঘট সফল করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানানভাবে প্রচার চালাচ্ছে কর্মী সংগঠনগুলি । ইতিমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সংগঠনের তরফে ধর্মঘট সম্পর্কিত চিঠি দেওয়া হয়েছে । ধর্মঘট সংক্রান্ত ব্যাচ পরে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার চালানো হচ্ছে । দেশের প্রত্যেকটি শহর এবং জেলাসদরগুলিতে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়েছে । টুইটার ফেসবুক-সহ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যাম্পেন চালানো হচ্ছে । দাবি এবং লক্ষ্যবস্তু সফল করতে বারবার কর্মীদের নিয়ে বৈঠক চলছে । ধর্মঘটের আগের দিন অর্থাৎ 18 নভেম্বর প্রত্যেকটি কেন্দ্রে অবস্থান বিক্ষোভ দেখানো হবে বলেও কর্মী সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে ।