কলকাতা, 11 মার্চ: 9 বছর ধরে বঞ্চিত, আবারও রাজপথে চাকরিপ্রার্থীরা (Jobseekers)। হামাগুড়ি দিয়ে চুনকালি মাখিয়ে করলেন প্রতিবাদ মিছিল। 2014 সালের নোটিফিকেশনে 2015 সালে পরীক্ষা দেন আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা (Upper Primary Job Candidate)। এখনও পর্যন্ত ইন্টারভিউয়ে ডাক পাননি তাঁরা। বারংবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দ্বারস্থ হওয়ার চেষ্টা করছেন কিন্তু সফলতা মেলেনি। একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। তাঁদের পক্ষে এখনও পর্যন্ত সেই অর্থে রায় এসে পৌঁছায়নি। শনিবার বঞ্চিত আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশ থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত একটি মিছিলের আয়োজন করেন। ধর্মতলার মোড়ে রাস্তায় শুয়ে হামাগুড়ি দিয়ে প্রতিবাদ দেখান তাঁরা।
এদিন হামাগুড়ি দেওয়ার পাশপাশি ওয়াই চ্যানেলে পৌঁছনোর পর চুনকালি লাগানো হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি, কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ছবিতে । আন্দোলনকারী মইদুল্লা বলেন, "আমাদের চাকরি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে। এটা একটা ক্রাইম। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি হয়েছে। আদালতেও আমরা আন্দোলন চালাচ্ছি, রাস্তাতেও নেমেছি। শিক্ষা দফতর আজ পুরো জেলে। তাতেও সরকারের হুঁশ ফিরছে না।"
আরও পড়ুন: 700 দিনে পড়ল এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন
এই প্রথম নয়, এর আগেও রাস্তায় শুয়ে পড়ে আন্দোলন দেখান আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা। তবে কবে তাঁদের নিয়োগ হবে সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দীর্ঘদিন তাঁরা ধরনায় রয়েছেন মাতঙ্গিনী মূর্তি পাদদেশে। অন্যদিকে, এই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক নাম উঠে আসছে। সম্প্রতি টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে জেরা করেছে ইডি। জেরায় আরও বেশকিছু নাম উঠে এসেছে। সেই কথাও আজকের মিছিলে তুলে ধরেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে শুধু আপার প্রাইমারি নয়, চাকরির দাবি নিয়ে রাস্তায় বসে রয়েছেন প্রাইমারি, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীরা। প্রায় 2 বছর ধরে তাঁরা রাস্তায় অথবা গান্ধিমূর্তির পাদদেশে বসে রয়েছেন। 8 মার্চ অর্থাৎ নারী দিবসের দিনেও রাস্তায় দণ্ডি কেটে মিছিল করেছিলেন নবম-দশমের চাকরিপ্রার্থীরা ৷