ETV Bharat / state

দিলীপেই আস্থা রাজ্য BJP-র - Dilip Ghosh

BJP-র রাজ্য সভাপতি পদে ফের দায়িত্ব দেওয়া হল দিলীপ ঘোষকে ৷ দায়িত্ব নিয়ে প্রথমে নিহত সহকর্মীদের স্মরণ করেন তিনি ৷ তারপরই একে একে রাজ্য রাজনীতি প্রসঙ্গে কথা বলেন ৷ তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে কানাহাইয়া কুমার, ঐশী ঘোষ ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রসঙ্গও ৷

দিলীপ ঘোষ
দিলীপ ঘোষ
author img

By

Published : Jan 16, 2020, 12:39 PM IST

Updated : Jan 16, 2020, 3:23 PM IST

কলকাতা, 16 জানুয়ারি : কয়েকদিন ধরেই তাঁর বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক চলছে । সমালোচনা করেছেন অনেকে । বাবুল সুপ্রিয়র মতো BJP সাংসদও প্রকাশ্যেই তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন । বলেছেন, দিলীপদার বক্তব্য দল সমর্থন করে না । তার উপর কয়েকদিন আগে রাজ্যের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও জয়ের মুখ দেখেনি দল । এমনকী দিলীপবাবুর গড় বলে পরিচিত খড়গপুরও হাতছাড়া হয়েছে । তবুও তাঁর উপরই আস্থা রাখল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব । ফের রাজ্য BJP-র সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হল তাঁর নাম ।

আজ ফের একবার সভাপতি হিসেবে তাঁর হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার পর দিলীপ ঘোষ বলেন, "BJP-র উপর আক্রমণ করা হচ্ছে ৷ খুনকে আত্মহত্যা বলে চালানো হচ্ছে ৷ বাকি কাজ শেষ করব ৷ রাজ্যের মানুষ পাশে আছেন ৷" প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রসঙ্গ টেনে আনেন দিলীপ ঘোষ ৷ বলেন, "মোদিজি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ ৷ কিন্তু, যে কাজটা করি, সেটা অসাধারণ ৷"

কয়েকদিন ধরে দিলীপ ঘোষের একাধিক মন্তব্য ঘিরে চলছে সমালোচনা হয়েছে ৷ এই প্রসঙ্গ টেনেই তিনি বলেন, "এরপর কেউ যেন দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে মিষ্টি মিষ্টি কথা শোনার আশা না করেন ৷" কটাক্ষ করে বলেন, "যাঁর সহ্যশক্তি কম, তিনি সহ্যশক্তি বাড়ান ৷ আরও কঠিন কথা শুনতে হবে ৷ সেই দিন আসছে ৷"

রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি তিনি ৷ বলেন, "যেখানে গণতন্ত্র নেই, ডাক্তারদের সুরক্ষা নেই, উকিলদের সুরক্ষা নেই, শিক্ষকদের রাস্তায় বসে দিনের পর দিন আন্দোলন করতে হয়, উপাচার্যদের চাকরি বাঁচানোর জন্য শিক্ষামন্ত্রীর চামচাগিরি করতে হয়, সেখানে কী আশা করেন ? আমি ভালো ভালো কথা বলব ?"

বিভিন্ন জায়গায় BJP কর্মীদের আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ ৷ সঙ্গে হুঁশিয়ারির সুরে বলেন,"এরপরও ভালো কথা আশা করেন ? যোগ্য জবাব দেব ৷ এটাই আমাদের কাছে গণতন্ত্র ৷" বারবার তাঁর বক্তব্যে BJP-র নিহত সহকর্মীদের কথা উঠে এসেছে আজ ৷ কখনও আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন ৷ ধরা গলায় বলেছেন, "তাঁদের মুখগুলো এখনও চোখের সামনে ভাসে ৷"

CPI(M), কংগ্রেসকে লুপ্তপ্রায় বলে মনে করেন তিনি ৷ বলেন, "একসময় 64টা সাংসদ ছিল দেশে ৷ বাংলা থেকে 36টা ছিল ৷ এখন খুঁজতে হয় তাদের ৷ লুপ্তপ্রায় প্রজাতিতে চলে গেছে ৷" কানহাইয়া কুমার, ঐশী ঘোষের প্রসঙ্গও তুলে আনেন তিনি ৷ বলেন, "সেই কমিউনিস্ট দলের নেতা কানাহাইয়া কুমার, ঐশী ঘোষ ৷ যার নাক টিপলে জল পড়বে ৷ সে সেমিনারে ভাষণ দিতে আসে ৷ এই কংগ্রেস, এই CPI(M) ৷ তারা নাকি বাংলার পরিবর্তন করবে ৷"

তাঁর বক্তব্যে আজ উঠে এসেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রসঙ্গও ৷ বলেন, "আমরা আইন পাশ করেছি ৷ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে প্রতারিত যাঁরা তিন প্রজন্ম ধরে এখানে রয়েছেন, কেউ তাঁদের নাগরিকত্ব দেননি ৷ আমরা আমাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছি ৷"

কলকাতা, 16 জানুয়ারি : কয়েকদিন ধরেই তাঁর বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক চলছে । সমালোচনা করেছেন অনেকে । বাবুল সুপ্রিয়র মতো BJP সাংসদও প্রকাশ্যেই তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন । বলেছেন, দিলীপদার বক্তব্য দল সমর্থন করে না । তার উপর কয়েকদিন আগে রাজ্যের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও জয়ের মুখ দেখেনি দল । এমনকী দিলীপবাবুর গড় বলে পরিচিত খড়গপুরও হাতছাড়া হয়েছে । তবুও তাঁর উপরই আস্থা রাখল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব । ফের রাজ্য BJP-র সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হল তাঁর নাম ।

আজ ফের একবার সভাপতি হিসেবে তাঁর হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার পর দিলীপ ঘোষ বলেন, "BJP-র উপর আক্রমণ করা হচ্ছে ৷ খুনকে আত্মহত্যা বলে চালানো হচ্ছে ৷ বাকি কাজ শেষ করব ৷ রাজ্যের মানুষ পাশে আছেন ৷" প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রসঙ্গ টেনে আনেন দিলীপ ঘোষ ৷ বলেন, "মোদিজি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ ৷ কিন্তু, যে কাজটা করি, সেটা অসাধারণ ৷"

কয়েকদিন ধরে দিলীপ ঘোষের একাধিক মন্তব্য ঘিরে চলছে সমালোচনা হয়েছে ৷ এই প্রসঙ্গ টেনেই তিনি বলেন, "এরপর কেউ যেন দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে মিষ্টি মিষ্টি কথা শোনার আশা না করেন ৷" কটাক্ষ করে বলেন, "যাঁর সহ্যশক্তি কম, তিনি সহ্যশক্তি বাড়ান ৷ আরও কঠিন কথা শুনতে হবে ৷ সেই দিন আসছে ৷"

রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি তিনি ৷ বলেন, "যেখানে গণতন্ত্র নেই, ডাক্তারদের সুরক্ষা নেই, উকিলদের সুরক্ষা নেই, শিক্ষকদের রাস্তায় বসে দিনের পর দিন আন্দোলন করতে হয়, উপাচার্যদের চাকরি বাঁচানোর জন্য শিক্ষামন্ত্রীর চামচাগিরি করতে হয়, সেখানে কী আশা করেন ? আমি ভালো ভালো কথা বলব ?"

বিভিন্ন জায়গায় BJP কর্মীদের আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ ৷ সঙ্গে হুঁশিয়ারির সুরে বলেন,"এরপরও ভালো কথা আশা করেন ? যোগ্য জবাব দেব ৷ এটাই আমাদের কাছে গণতন্ত্র ৷" বারবার তাঁর বক্তব্যে BJP-র নিহত সহকর্মীদের কথা উঠে এসেছে আজ ৷ কখনও আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন ৷ ধরা গলায় বলেছেন, "তাঁদের মুখগুলো এখনও চোখের সামনে ভাসে ৷"

CPI(M), কংগ্রেসকে লুপ্তপ্রায় বলে মনে করেন তিনি ৷ বলেন, "একসময় 64টা সাংসদ ছিল দেশে ৷ বাংলা থেকে 36টা ছিল ৷ এখন খুঁজতে হয় তাদের ৷ লুপ্তপ্রায় প্রজাতিতে চলে গেছে ৷" কানহাইয়া কুমার, ঐশী ঘোষের প্রসঙ্গও তুলে আনেন তিনি ৷ বলেন, "সেই কমিউনিস্ট দলের নেতা কানাহাইয়া কুমার, ঐশী ঘোষ ৷ যার নাক টিপলে জল পড়বে ৷ সে সেমিনারে ভাষণ দিতে আসে ৷ এই কংগ্রেস, এই CPI(M) ৷ তারা নাকি বাংলার পরিবর্তন করবে ৷"

তাঁর বক্তব্যে আজ উঠে এসেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রসঙ্গও ৷ বলেন, "আমরা আইন পাশ করেছি ৷ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে প্রতারিত যাঁরা তিন প্রজন্ম ধরে এখানে রয়েছেন, কেউ তাঁদের নাগরিকত্ব দেননি ৷ আমরা আমাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছি ৷"

Intro:কলকাতা: আজ শহরে বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা। আর এই মিছিলের জন্য রাজ্য দপ্তরে তৈরি করা হয়েছিল একটি অস্থায়ী ক্যাম্প । জেলা থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের এই ক্যাম্পে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এই ক্যাম্প কাল রাত থেকে পুরোপুরি ফাকা। আজ সকালেও সেই ভাবে কর্মী-সমর্থকদের দেখা গেল না। দুপুর বারোটা পর্যন্ত কোনো কর্মী-সমর্থকদের দেখা গেল না।

অন্যদিকে বিজেপির তিন হাজার কর্মী সমর্থকদের জন্য খিচুড়ি রান্না করা হয়েছিল। যে সমস্ত কার্য কর্তারা এই মিছিলে অংশগ্রহণ করবে। সেই সমস্ত কার্য কর্তারা আগে প্রথমে খিচুড়ি আলু ভাজা খেয়ে তারপর মিছিলে অংশগ্রহণ করবে। বিজেপির কার্যকর তাদের জন্য গামলা গামলা খিচুড়ি রান্না করা হলেও খাওয়ার কোন লোক নেই। যিনি খিচুড়ি দেবেন তিনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিরক্ত হচ্ছেন। এই ছবি দেখে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ । বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে আজ এই মিছিলে এক লক্ষ মানুষের জনসমাগম হবে বলে দাবি করেছিল বিজেপি। কিন্তু বিজেপি রাজ্য দপ্তর সংলগ্ন ক্যাম্প অফিসের ছবি অন্য কথা বলছে।

এ বিষয়ে বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, জেলা থেকে যে সমস্ত কার্য কর্তারা আসছে। তাদের একেবারে সুবোধ মল্লিক স্কয়ার এ যোগ করার করতে বলা হয়েছে। যার ফলে রাজ্য দপ্তরে সংলগ্ন ক্যাম্পা অফিস পুরোপুরি ফাকা। যত বেলা বাড়বে ততোই কার্যকর তাদের ভিড় বাড়বে। আমরা আজ সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি জেপিন আড্ডার মিছিলে রেকর্ডসংখ্যক ভিড় করে দেখাবো। যে ভিড় দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিন্তায় পড়ে যাবে।


Body:STORY


Conclusion:
Last Updated : Jan 16, 2020, 3:23 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.