কলকাতা, 9 সেপ্টেম্বর: শহরবাসীর কাছে জলের যন্ত্রণা নতুন কিছু নয় ৷ তার উপর বেশ কয়েকটি এলাকায় কাজ চলছে কেআইএইপি-র (কলকাতা এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্রুভমেন্ট প্রোজেক্ট) ৷ তার জেরেই নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর ৷ টক টু মেয়রে নগরবাসীর অভিযোগ শোনার পরেই শনিবার তড়িঘড়ি জরুরী বৈঠকের ডাক দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷
শুক্রবার ছিল টক টু মেয়র অনুষ্ঠান ৷ সেই অনুষ্ঠানে মেয়রকে এলাকার দুর্ভোগের কথা শোনালেন কলকাতা পৌরনিগমের বাসিন্দা পীয়ুষকান্তি দাস ৷ অভিযোগ, তিনি ব্রহ্মপুরের বাসিন্দা ৷ যেটি 111 নম্বর ওয়ার্ডের অর্ন্তগত ৷ একটু বৃষ্টি হলেই তার এলাকা জল-কাদায় ভরতি হয়ে যাচ্ছে ৷ এই নোংরা জমা জল ডিঙিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে ৷ এরপরেই মেয়র জল জমার কারণ জানতে চান পৌর আধিকারিকদের কাছে ৷
জানতে পারেন, ওই এলাকায় কেইআইপি-র কাজ চলছে । তার জেরেই জল জমেছে এলাকায় ও দুর্ভোগে এলাকাবাসী ৷ কেইআইপি-র কাজে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে জানিয়েছেন, কলকাতার একাধিক ওয়ার্ডে আদি অনন্ত কাল ধরে চলেই যাচ্ছে কেইআইএইপি-র কাজ । সারা বছর তো বটেই বর্ষা এলে প্রতি বছর সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হয় এলাকাবাসীকে । আর নাগরিক অভিযোগে নাজেহাল খোদ মেয়র ।
জানা গিয়েছে, কলকাতা কর্পোরেশন এলাকার যেখানে জল জমছে সেই ব্রহ্মপুরের গা ঘেঁষেই রাজপুর সোনারপুর পৌরসভা । এলাকার জমা জল যে সব নিচু জমিতে পড়তো সেসব জায়গায় মাটি ফেলে ফ্ল্যাট উঠছে । ঘটনা শুনেই বিএলআরও, চিফ ভ্যালুয়ার, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিজিকে দ্রুত ওই এলাকায় যেতে বলেন মেয়র। নির্দেশ দেন, "নিচু যে জমিটা মাটি ফেলে ভরাট হচ্ছে সে জমিটা কার তা দেখুন দ্রুত ।"
আরও পড়ুন: নকশা অনুমোদনে এলবিএসদের 'তোলাবাজি', অভিযোগ পেলেও সমাধান জানা নেই ফিরহাদের !
এর পরেই কেইআইপি-র আধিকারিককে মেয়র বলেন, "বছরের পর বছর কাজ চলবে । আর মানুষ জলের মধ্যে দিয়ে যাবে ৷ কলকাতাকে নরক তৈরি করে দিচ্ছেন তো । আপনার কন্ট্রাক্টরদের বলুন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে । " এর পরেই আপৎকালীন ভিত্তিতে আজ কেইআইপির সঙ্গে রিভিউ মিটিং ডাকেন মেয়র । শহরের যে যে ওয়ার্ডে কেইআইপি-র কাজ হচ্ছে সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং বরো চেয়ারম্যানদেরও এদিনের বৈঠকে উপস্থতি থাকার কথা জানিয়েছেন ৷ যে সমস্ত ওয়ার্ডে কেইআইপি-র কাজ চলছে সেখানকার সমস্যার ছবি নিয়ে বৈঠকে পৌর আধিকারিকদের আসতে হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ।