কলকাতা, 24 এপ্রিল: কয়লার বেআইনি কারবারি রাজু ঝা'র খুনের ঘটনায় নয়া মোড় ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অন্যায়ভাবে তাঁর সংস্থার কর্মীদের গ্রেফতার করেছে, থানায় তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন নরেন্দ্র খাড়কা নামে এক ব্যবসায়ী ৷ নরেন্দ্র খাড়কার অভিযোগ, রাজুর সঙ্গে তাঁর পুরনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকার কারণেই পুলিশ এই হেনস্থা করছে ৷ এদিনই তাঁর অফিসে তল্লাশি চালায় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) ৷
হাইকোর্টে তাঁর আবেদনে নরেন্দ্র খাড়কা নামে ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, পেশাদার খুনিরা রাজু ঝা'কে খুন করেছে বলে জানা গিয়েছে । অথচ রাজুর পুরনো ব্যাবসার সহযোগী হওয়ার কারণে পুলিশ তাঁর সংস্থার কর্মীদের গ্রেফতার করেছে । তিনজনকে তুলে নিয়ে গিয়ে একজনকে গ্রেফতার করেছে গলসী থানার পুলিশ ৷ এই অবস্থায় পুলিশের এই আচরণে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলা দায়ের হয়েছে ৷ বুধবার এই আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে ৷
উল্লেখ্য, গত 1 এপ্রিল শক্তিগড়ে গুলি করে খুন করা হয় রাজু ঝা'কে । কয়লা পাচারের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ৷ সেই ঘটনার তদন্তে নেমে 19 দিন পর পুলিশ গ্রেফতার করে করে মৃতের একসময়ের সহযোগী নরেন্দ্র খাড়কার গাড়ির চালক অভিজিৎ মণ্ডলকে । ঘটনায় আরও দু'জনকে আটক করলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। আপাতত অভিজিৎ মণ্ডলকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনায় অভিযুক্তদের সন্ধানে পুলিশ ।
আরও পড়ুন: ধৃত গাড়ি চালককে নিয়ে রাজু ঝা'র বন্ধু নরেন্দ্র খাড়কার অফিসে তল্লাশি সিটের
অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতারির পর দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে নরেন্দ্র খাড়কার অফিসেও তল্লাসি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা । তাঁর কার্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ-সহ অন্যান্য নথিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ । এরই মাঝে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নরেন্দ্র খাড়কা ৷ এই খুনের ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই ভিন রাজ্যেও গিয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ এতদিন পরেও পুলিশ কেন অভিযুক্তদের নাগাল পেল না, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর তরফে ৷ পুলিশ কি ইচ্ছে করে খুনিদের পালাতে দিচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে ৷