কলকাতা, 9 জুলাই: হিংসা বিদীর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হয়েছে রবিবার। কালক্ষেপ না-করেই রাজ্যসভার ভোটের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে ঘোষিত রাজ্যসভা নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই এ রাজ্যে মোট সাত আসনে নির্বাচন ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ছ'টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বর্তমান ছয় রাজ্যসভার সাংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে। আরেকটি আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনো ফেলেরিও রাজ্যসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা এই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা ঠিক রয়েছে তাতে রাজ্য বিধানসভায় এই ছয় আসনে তৃণমূল আগামী বুধবার হয়তো মনোনয়ন জমা করতে পারে। তারই প্রস্তুতি হিসাবে রবিবার যে প্রক্রিয়া, তা সম্পন্ন করতেই বিধায়কদের বিধানসভায় আসতে বলা হয়েছিল বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
যদিও এই ছয় আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের কে কে প্রার্থী হতে চলেছেন তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও ঘোষণা হয়নি দলের তরফে। কিন্তু এক্ষেত্রে দল নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি সেরে রাখছে বলেই খবর। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে এই প্রস্তুতি পর্ব চলছে বিধানসভায়। মূলত এক্ষেত্রে সংসদের প্রস্তাবক হিসাবে যাদের নাম রয়েছে তারাই এদিন বিধানসভায় এসে স্বাক্ষর করে গিয়েছেন। এক্ষেত্রে আজ যারা আসতে পারবেন না, তারা বুধবার বিধানসভায় এসে প্রস্তাবক হিসাবে স্বাক্ষর করে যাবেন বলে খবর মিলেছে।
এখনও পর্যন্ত যা খবর সামগ্রিক এই প্রক্রিয়া সামলানোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শাসক দলের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং উপ-মুখ্য সচেতক তাপস রায়কে। বিধায়কদের সঙ্গে সামগ্রিকভাবে আলোচনা করেই সাংসদদের মনোনয়ন জমা করবেন তাঁরাই।
আরও পড়ুন: 'তোমার কুন কুন জায়গায় ব্যথা', শুভেন্দুকে প্রশ্ন কুণালের
অন্যদিকে বিজেপির তরফ থেকেও তাদের মতো করে রাজ্যসভার নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। যতদূর জানা যাচ্ছে, আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার সাংসদ হিসাবে মনোনীত প্রার্থীর প্রস্তাবকদের বিধানসভায় এসে স্বাক্ষর করতে বলা হয়েছে। তারপরই বিজেপির তরফ থেকেও মনোনয়ন জমা করা হতে পারে। মোটের উপর বলা যায় রাজ্যে এক নির্বাচন মিটতে না-মিটতেই শাসক এবং বিরোধী উভয়পক্ষেই আর এক নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল জোর-কদমে।