ETV Bharat / state

'ঠাকুর না খেয়ে আছে', মামলাকারীর কথা শুনে শুনানিই পিছিয়ে দিলেন রুষ্ট বিচারপতি

Justice Abhijit Gangopadhyay adjourned hearing: দু'টি ফ্ল্যাটের মালিক শেখর বিশ্বাস । অভিযোগ, তারমধ্যে একটি ফ্ল্যাট বেআইনি ভাবে দখল করে রেখেছে এক ব্যক্তি। সেই ফ্ল্যাট গতকাল বেলা তিনটের মধ্যে খালি করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। আদালতকে রিপোর্ট দিতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। অভিযোগ পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 29, 2023, 5:32 PM IST

কলকাতা, 29 নভেম্বর: 'না খেয়ে আছে ঠাকুর', যা শুনে রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন বিচারপতি । এরপরই শুনানি পিছিয়ে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।

গল্ফগ্রিনের দু'টি ফ্ল্যাটের মালিক শেখর বিশ্বাস। অভিযোগ তার মধ্যে একটি ফ্ল্যাট বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে এক ব্যক্তি। সেই ফ্ল্যাট গতকাল বেলা তিনটের মধ্যে খালি করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি । আদালতকে রিপোর্ট দিতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি । অভিযোগ, পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। সেই বিষয়ে বুধবার মামলার শুনানিতে মামলাকারী এই বিষয়টিই জানাতে গিয়েছিলেন আদালতে। আর সেই বক্তব্য শুনেই রুষ্ট হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

এদিন মামলাকারী বলেন, "আপনার নির্দেশ মতো আমি ফ্ল্যাটের হস্তান্তর পাইনি। গোটা অ্যাপার্টমেন্ট তালা দিয়ে রেখেছে দখলকারী। ঠাকুর না খেয়ে আছে কাল থেকে ।" বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন আবেদনকারী শেখর বিশ্বাস। আর এজলাসে কান্না দেখে স্বভাবতই রুষ্ট হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । বিচারপতি বলেন, "ভারতবর্ষে কত মানুষ না খেয়ে আছেন জানেন ? তাদের কথা আপনি ভেবেছেন কোনও দিন ?" এরপরই ক্ষুব্ধ বিচারপতি মামলার শুনানি পিছিয়ে দেন ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত।

মঙ্গলবার বেলা চারটের সময় রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল পুলিশের। কিন্তু বুধবার আদালতে হাজির হয়ে আবেদনকারী জানান, আদালতের নির্দেশ মত পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল। কিন্তু তিনি ফ্ল্যাটের হস্তান্তর পাননি। প্রসঙ্গত, 1968 সালে বাড়িতে পৌরহিত্যের জন্য উপেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে নিযুক্ত করেন শম্ভুনাথ বিশ্বাস। সেই সময় তাকে থাকার জন্য একটি কোয়ার্টারও দেওয়া হয়। 1970 সালে শম্ভুনাথ বিশ্বাসের মৃত্যুর পরেও উপেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে বহাল রাখেন তার ছেলে শেখর বিশ্বাস। অভিযোগ, 1998 সালে উপেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বেআইনি নির্মাণ করার চেষ্টা করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে পৌরহিত্য থেকে অব্যাহতি দেন শেখর বিশ্বাস।

কোয়ার্টার খালি করানোর জন্য আলিপুর আদালতে মামলা দায়ের হয়। 2001 সালে উপেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর মৃত্যুর পরে তার পরিবার জোর করে ওই কোয়ার্টার দখল করে বলে অভিযোগ। দীর্ঘ মামলা চলার পর সুপ্রিম কোর্ট থেকে নিজের পক্ষে রায় পান শেখর বিশ্বাস। যদিও তারপরেও কোয়ার্টার খালি করানো যায়নি বলে অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর দু'বছর কেটে গেলেও দখলমুক্ত করা যায়নি কোয়ার্টার। মঙ্গলবারই বেলা তিনটের মধ্যে কোয়ার্টার খালি করানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী কোয়ার্টারের ভিতর কোনও সামগ্রী থাকলে অবিলম্বে তা বের করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

আরও পড়ুন

শনিতে কলকাতায় বন্ধ থাকবে পানীয় জল সরবরাহ, কোন এলাকাগুলিতে ?

গগনযানে মানুষ পাঠিয়ে সুস্থভাবে তাঁকে পৃথিবীতে ফেরানোই মূল লক্ষ্য, রাজভবনে বললেন ইসরো চেয়ারম্যান

শাহী-সভার জন্য বিজেপির গণসঙ্গীত নিয়ে তরজা বঙ্গ রাজনীতিতে

কলকাতা, 29 নভেম্বর: 'না খেয়ে আছে ঠাকুর', যা শুনে রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন বিচারপতি । এরপরই শুনানি পিছিয়ে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।

গল্ফগ্রিনের দু'টি ফ্ল্যাটের মালিক শেখর বিশ্বাস। অভিযোগ তার মধ্যে একটি ফ্ল্যাট বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে এক ব্যক্তি। সেই ফ্ল্যাট গতকাল বেলা তিনটের মধ্যে খালি করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি । আদালতকে রিপোর্ট দিতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি । অভিযোগ, পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। সেই বিষয়ে বুধবার মামলার শুনানিতে মামলাকারী এই বিষয়টিই জানাতে গিয়েছিলেন আদালতে। আর সেই বক্তব্য শুনেই রুষ্ট হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

এদিন মামলাকারী বলেন, "আপনার নির্দেশ মতো আমি ফ্ল্যাটের হস্তান্তর পাইনি। গোটা অ্যাপার্টমেন্ট তালা দিয়ে রেখেছে দখলকারী। ঠাকুর না খেয়ে আছে কাল থেকে ।" বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন আবেদনকারী শেখর বিশ্বাস। আর এজলাসে কান্না দেখে স্বভাবতই রুষ্ট হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । বিচারপতি বলেন, "ভারতবর্ষে কত মানুষ না খেয়ে আছেন জানেন ? তাদের কথা আপনি ভেবেছেন কোনও দিন ?" এরপরই ক্ষুব্ধ বিচারপতি মামলার শুনানি পিছিয়ে দেন ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত।

মঙ্গলবার বেলা চারটের সময় রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল পুলিশের। কিন্তু বুধবার আদালতে হাজির হয়ে আবেদনকারী জানান, আদালতের নির্দেশ মত পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল। কিন্তু তিনি ফ্ল্যাটের হস্তান্তর পাননি। প্রসঙ্গত, 1968 সালে বাড়িতে পৌরহিত্যের জন্য উপেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে নিযুক্ত করেন শম্ভুনাথ বিশ্বাস। সেই সময় তাকে থাকার জন্য একটি কোয়ার্টারও দেওয়া হয়। 1970 সালে শম্ভুনাথ বিশ্বাসের মৃত্যুর পরেও উপেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে বহাল রাখেন তার ছেলে শেখর বিশ্বাস। অভিযোগ, 1998 সালে উপেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বেআইনি নির্মাণ করার চেষ্টা করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে পৌরহিত্য থেকে অব্যাহতি দেন শেখর বিশ্বাস।

কোয়ার্টার খালি করানোর জন্য আলিপুর আদালতে মামলা দায়ের হয়। 2001 সালে উপেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর মৃত্যুর পরে তার পরিবার জোর করে ওই কোয়ার্টার দখল করে বলে অভিযোগ। দীর্ঘ মামলা চলার পর সুপ্রিম কোর্ট থেকে নিজের পক্ষে রায় পান শেখর বিশ্বাস। যদিও তারপরেও কোয়ার্টার খালি করানো যায়নি বলে অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর দু'বছর কেটে গেলেও দখলমুক্ত করা যায়নি কোয়ার্টার। মঙ্গলবারই বেলা তিনটের মধ্যে কোয়ার্টার খালি করানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী কোয়ার্টারের ভিতর কোনও সামগ্রী থাকলে অবিলম্বে তা বের করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

আরও পড়ুন

শনিতে কলকাতায় বন্ধ থাকবে পানীয় জল সরবরাহ, কোন এলাকাগুলিতে ?

গগনযানে মানুষ পাঠিয়ে সুস্থভাবে তাঁকে পৃথিবীতে ফেরানোই মূল লক্ষ্য, রাজভবনে বললেন ইসরো চেয়ারম্যান

শাহী-সভার জন্য বিজেপির গণসঙ্গীত নিয়ে তরজা বঙ্গ রাজনীতিতে

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.