কলকাতা, 13 এপ্রিল : প্রসবের পর জানা যায়, যুবতি কোরোনা আক্রান্ত ৷ তারপরই তড়িঘড়ি কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে নতুন করে রোগী ভরতি নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ হাসপাতালের এক কর্মীর শরীরেও কোরোনার খোঁজ মিলেছে বলে খবর ৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷
হাসপাতাল সূত্রে খবর, সদ্যোজাত কোরোনা আক্রান্ত কিনা তা নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হবে ৷ হাসপাতালের গায়নোকোলজি বিভাগের অন্তত 20 জন চিকিৎসক এই যুবতির সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শে এসেছেন ৷ তবে, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে কতজনকে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হবে তা এখনও ঠিক হয়নি ৷ বিভাগে চিকিৎসাধীন অন্য রোগীদের বিষয়ে কী করা হবে, সবকিছুর জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ ৷ তবে মনে করা হচ্ছে, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে কোয়ারান্টাইনে পাঠানোর সংখ্যাটা অনেক বেশি হতে পারে ।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, 7 এপ্রিল কলকাতার নারকেলডাঙা এলাকার বাসিন্দা 22 বছর বয়সি এক প্রসূতিকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এই বিভাগে ভরতি করা হয় । যুবতির অন্য কোনও রোগ তখনও ধরা পড়েনি । পরের দিন জরুরি ভিত্তিতে এই প্রসূতির সিজারিয়ান সেকশন করানো হয় । একটি সন্তানের জন্ম দেন তিনি । যুবতির কিছু উপসর্গ দেখে তখন চিকিৎসকদের সন্দেহ হয় । তিনি কোরোনা আক্রান্ত কিনা জানতে তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় । গতকাল, নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে । জানা যায়, এই যুবতি কোরোনায় আক্রান্ত । শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, যুবতি এবং তার সন্তানের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ।
এদিকে সদ্যোজাতকে মায়ের কাছ থেকে পৃথকভাবে রাখা যাবে না । সেই জন্য ওই যুবতি ও তাঁর সন্তানকে টালিগঞ্জে অবস্থিত MR বাঙুর হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । সদ্যোজাতর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে । ঘটনার পরই বিভাগে নতুন রোগী ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছে । এই বিভাগে অন্য যে রোগীরা ছিলেন, তাঁদের অন্যত্র স্থানান্তর করা হচ্ছে । তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে । এই বিভাগকে জীবাণুমুক্ত করা হবে ।