কলকাতা, 11 মে : তৃতীয় দফায় লকডাউন চলছে দেশে । এই পরিস্থিতিতে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানো নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রস্তুতি শুরু হয়েছে । অধীররঞ্জন চৌধুরির অভিযোগ, রাজ্য সরকার এখনও কোথাও যেন অনেকটাই নিষ্ক্রিয় । তাঁর বক্তব্য, "আজ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রীদের কাছ থেকে রাজ্যের পরিকল্পনাগুলি শুনতে চেয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কি মুখ্যমন্ত্রী একবারও জিজ্ঞেস করেছেন এ রাজ্যের শ্রমিকদের কীভাবে ফেরানো যাবে?"
উত্তরপ্রদেশের প্রায় 44 শতাংশ শ্রমিক ট্রেনে করে ফিরেছেন । বিহারের প্রায় 33 শতাংশ শ্রমিক ট্রেনে করে ফেরার সুযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরি। তাঁর জিজ্ঞাসা, "পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকদের আনার জন্য কী ব্যবস্থা হচ্ছে?"
ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের এক শ্রমিকের আত্মহত্য়ার খবর প্রকাশ্য়ে এসেছে । এই যুবক কেরালায় আটকে পড়েছিলেন । জানা গেছে, বাড়ি ফিরতে না পারায় মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এরপরই এই ইশুতে সরব হয়েছেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি । তাঁর বক্তব্য, "রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা না থাকায় শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে পারছে না।" তাঁর প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী এভাবে কত শ্রমিকের মৃত্যু দেখতে চান ? "
রাজ্য সরকারের ভূমিকাকে কটাক্ষ করে অধীর চৌধুরি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের জন্য, রাজ্য সরকারের স্বার্থে এবং বাংলার আটকে পড়া মানুষকে ঘরে ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে প্রয়োজনে আমি কথা বলব। তৃণমূল কংগ্রেস সুপরিকল্পিতভাবে প্রচার করছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরালে পশ্চিমবঙ্গে কোরোনা সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। মুর্শিদাবাদের চারজন কোরোনা রোগী ধরা পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বলছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য মুর্শিদাবাদে কোরোনা রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিককে মুর্শিদাবাদের ফেরানো হয়েছে, তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর। দায় কার? তা রাজ্যের মানুষ বলবে। পশ্চিমবঙ্গে কোরোনা রোগী প্রথম ধরা পড়ে নবান্ন থেকে। নবান্নের এক আমলার ছেলে লন্ডন থেকে কোরোনা রোগ নিয়ে ফিরেছিল। তখন মুখ্যমন্ত্রী ধামাচাপা দিয়েছিলেন। এখন কোরোনা রোগের তথ্য নিয়ে ধামাচাপা দিচ্ছেন। কেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষজ্ঞ টিম একাধিকবার পশ্চিমবঙ্গে এলেন? মানুষ সব বুঝতে পারছে।"