কলকাতা, 2 ডিসেম্বর: ঘুষের বদলে প্রশ্নের ইস্যুতে আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷ এবার এই নিয়ে তিনি চিঠি লিখলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে ৷ সেই চিঠিতে অধীর চৌধুরী লিখেছেন, "মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার অত্যন্ত গুরুতর শাস্তি । সাংসদের ‘অনৈতিক আচরণ’ বলতে কী বোঝায় ও তার নিয়মগুলি কী কী, তা মনে করা প্রাসঙ্গিক ।"
উল্লেখ্য, ঘুষ নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ৷ সেই কারণে তাঁর সাংসদপদ খারিজের সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি ৷ সেই কমিটির কাজ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অধীর চৌধুরী ৷ তিনি লিখেছেন, "সংসদীয় কমিটিগুলির কার্যকারিতা সম্পর্কিত নিয়ম ও পদ্ধতির পুনর্বিবেচনা এবং যথাযথ পর্যালোচনা করার প্রাথমিক উদ্দেশ্য নিয়ে লিখছি । আমি প্রধানত লোকসভার সদস্যদের প্রিভিলেজ কমিটি, এথিক্স কমিটি ইত্যাদির বিষয়ে উদ্বিগ্ন ।"
চিঠিতে অধীর আরও লিখেছেন, "প্রাথমিকভাবে অভূতপূর্ব মিডিয়া কভারেজ এবং এথিক্স কমিটির তদন্তর পরও মামলার বিশেষ বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি । এথিক্স কমিটি দ্বারা মহুয়া মৈত্রর মামলা সংক্রান্ত মিডিয়া কভারেজে বিষয়গুলি সামনে আনা হয়েছে, তা দেখার আগে সাংসদের ‘অনৈতিক আচরণ’ বলতে কী বোঝায় ও তার নিয়মগুলি কী কী, সেটা মনে করা প্রাসঙ্গিক ।"
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন আগামী সোমবার থেকে শুরু হবে । চলবে 22 ডিসেম্বর পর্যন্ত । 4 ডিসেম্বরের জন্য লোকসভার তালিকাভুক্ত আলোচ্যসূচিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে এথিক্স কমিটির চেয়ারপার্সন বিনোদ কুমার সোনকর এবং কমিটির সদস্য অপার্জিতা সারঙ্গি ‘এথিক্স কমিটির প্রথম প্রতিবেদন (হিন্দি ও ইংরেজি সংস্করণ) উপস্থাপন করবেন’ ।
লোকসভার এথিক্স কমিটি গত মাসে অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে 'ক্যাশ ফর কোয়েরি' মামলার খসড়া রিপোর্ট জমা দিয়েছে ৷ তাতে কমিটি মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে । তাই, অধ্যক্ষকে পাঠানো চার পাতার চিঠিতে অধীর চৌধুরী আরও বলেন, "আমি নিশ্চিত যে আপনার নেতৃত্বে এবং নিয়ন্ত্রণে এমন কোনও অন্যায় বিচার হবে না । বরং, সংসদের কার্যকারিতা ও হাউজের কার্য পরিচালনা সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগুলি হাউজের সমস্ত সদস্যদের সুবিধার জন্য মসৃণ হবে ৷"
আরও পড়ুন: