কলকাতা, 25 অগস্ট: জামিন পেলেন না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় সর্বপ্রথম ধৃত সৌরভ চৌধুরী ৷ তাঁকে আগামী আট সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত ৷ আদালত জানিয়েছে, এই ঘটনায় সৌরভকে সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করতে পারবে পুলিশ ৷ এই ঘটনায় আজ সৌরভের কেস ডায়েরি আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ ৷ যাদবপুরের ছাত্রকে 'পিক অ্যান্ড চুজ' করে মারা করা হয়েছে বলে আদালতে দাবি করেছেন সরকারি আইনজীবী ৷
শুক্রবার সৌরভ চৌধুরীর যে কেস ডায়েরি পুলিশ আদালতে জমা দিয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রথম বর্ষের ছাত্রকে গামছা দিয়ে ঢাকা দিয়ে যাদবপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ সেই রক্তমাখা গামছাটি উদ্ধার করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ । এছাড়াও কেস ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার পরে একটি মোবাইল নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট করা হয়েছিল হস্টেলের সদস্যদের গ্রুপে ৷ যে মোবাইল থেকে চ্যাটটি পাঠানো হয়েছিল তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । ওই মোবাইলটি সৌরভের বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: কিংপিন সৌরভকে বাঁচাতে তৈরি হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, জানালেন সরকারি আইনজীবী
সরকারি আইনজীবী গোপাল হালদার আজ সৌরভ চৌধুরীকে আবারও জেল হেফাজতে পাঠানোর আর্জি জানান ৷ তিনি বলেন, জেলে সৌরভকে জেরা করে ঘটনার আরও রহস্যের উদঘাটন করা যেতে পারে ৷ এ দিকে, সৌরভ চৌধুরীর আইনজীবী আদালতের কাছে আবেদন করেন, সৌরভকে যেন সংশোধনাগারের কোনও দাগী আসামীর সঙ্গে না রাখা হয় ৷ সেই সময় সরকারি আইনজীবী বলেন, এই ক্ষেত্রে যেটা আইন রয়েছে সেটাই যেন মেনে চলা হয় ৷ তিনি বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যাদবপুরের ওই পড়ুয়াকে 'পিক অ্যান্ড চুজ' করে মারা করা হয়েছে ৷
দু পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর সৌরভের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক ৷ তিনি সৌরভকে আগামী আট সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ৷