ETV Bharat / state

আনন্দপুরের ঘটনায় অভিযুক্তের মাকে জেরা, জেনেশুনে মিথ্যে বয়ান নির্যাতিতার ? - কলকাতার খবর

এক তদন্তকারী অফিসার জানান, সেদিন নির্যাতিতা যুবতির কথা পুরোপুরি বিশ্বাস করার ফল ভুগতে হচ্ছে । নির্যাতিতা সেদিন অনেক কিছু লুকিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশকে ।

Kolkata news
অভিষেক পাণ্ডে
author img

By

Published : Sep 8, 2020, 10:36 PM IST

কলকাতা, 8 সেপ্টেম্বর: এখনও পর্যন্ত অধরা আনন্দপুরের শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত। যদিও লালবাজারের তরফে তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য সর্বোচ্চ তৎপরতা শুরু হয়েছে । মামলার তদন্তে আনন্দপুর থানাকে সাহায্য করছে গোয়েন্দা বিভাগ । তৎপর হয়েছেন লালবাজারের এক শীর্ষকর্তা । সেই সূত্রে মনে করা হচ্ছে দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে অভিষেক পাণ্ডেকে।

আনন্দপুরের ঘটনায় পুলিশের দিকে উঠেছে অভিযোগের আঙুল । অভিযোগ, ঘটনার দিন রাতে গাড়িটি চিহ্নিত করার বিষয়ে তেমন তৎপর ছিল না পুলিশ । সেই রাতেই তৎপর থাকলে ঘটনার জল এতদুর পর্যন্ত গড়াত না বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল । যদিও এক তদন্তকারী অফিসার জানাচ্ছেন, সেদিন নির্যাতিতা যুবতির কথা পুরোপুরি বিশ্বাস করার ফল ভুগতে হচ্ছে । নির্যাতিতা সেদিন অনেক কিছু লুকিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশকে । এখনও পর্যন্ত যা তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে তাতে, অভিযুক্তের বিষয়ে অনেক কিছুই জানতেন নির্যাতিতা । কারণ, অভিযুক্তের মাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবতির সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল অভিষেকের । এমনকী নির্যাতিতার বাড়িতেও যাতায়াত ছিল তাঁর । নির্যাতিতা অভিষেকের নাম পর্যন্ত জানতেন । জানতেন তাঁর পরিচয় । এমনকী গাড়ির নম্বরটিও জানতেন । সেটি তিনি লুকিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশকে । প্রথমেই যদি সত্যিকারের পরিচয় তিনি পুলিশের কাছে দিয়ে দিতেন তবে, এতক্ষণে হয়ত ধরা পড়ে যেতেন অভিযুক্ত । কারণ পুলিশ জানতে পেরেছে গত রাত পর্যন্ত তিনি শহরেই ছিলেন । গা ঢাকা দিয়েছিলেন একটি হোটেলে । গতরাতে তিনি শহর ছেড়েছেন বলে এখনও পর্যন্ত খবর।

ঘটনার রাত অর্থাৎ শনিবার নির্যাতিতা যুবতি পুলিশকে জানিয়ে ছিলেন, অভিযুক্তর সঙ্গে পাঁচ দিন আগে সোশাল মিডিয়ায় আলাপ। সেই থেকে ঘনিষ্ঠতা । সেই সূত্র ধরে প্রথমবার দেখা করতে গিয়েছিলেন যুবতি । সামনাসামনি দেখা হওয়ার পর যুবতিকে মুখোমুখি হতে হয় এক চূড়ান্ত খারাপ অভিজ্ঞতার । গভীর রাত হয়ে গেলেও ওই যুবতিকে অভিযুক্ত বাড়ি যেতে দিতে চায়নি । অভিযোগ, বাড়ি ছেড়ে দিতে বললে শুরু হয় মারধর । করা হয় শ্লীলতাহানি । ঘটনার পর এক বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর যখন ওই যুবতিকে নয়াবাদের ফ্ল‍্যাটে ছেড়ে দেয় পুলিশ, তখন তদন্তের প্রয়োজনেই ওই যুবতির ফোনের হদিস পেতে চেয়েছিল পুলিশ ।

কিন্তু ওই যুবতি জানান অভিযুক্তের গাড়িতে পড়ে রয়েছে তাঁর ফোন । সেই ফোন নম্বরের টাওয়ার লোকেশন এ দেখা যায় যুবতির বাড়িতেই রয়েছে ফোন । তখন ফের তদন্তকারীরা যোগাযোগ করেন যুবতীর সঙ্গে । যুবতী তখন তদন্তকারীদের জানান, রাতে নিরাপত্তারক্ষীর হাতে ফোন ফেরত দিয়ে গেছেন অভিযুক্ত। কিন্তু তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং কলের সমস্ত রেকর্ড মুছে দিয়ে গেছে । মূলত হোয়াটসঅ্যাপ কল এবং চ্যাটেই কথা হত তাঁদের । যুবতীর এই বয়ানে খটকা লাগে তদন্তকারীদের । তারপরে উঠে আসতে থাকে একের পর এক তথ্য । জানা গেছে, বছর পাঁচেক আগে একবার বিয়ে করেছিলেন অভিষেক । তিন মাসের জন্য তাঁর সেই সম্পর্ক ছিল । পরে সেই বিয়ে ভেঙে যায়। কিছুদিন আগে থেকে নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়।

কলকাতা, 8 সেপ্টেম্বর: এখনও পর্যন্ত অধরা আনন্দপুরের শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত। যদিও লালবাজারের তরফে তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য সর্বোচ্চ তৎপরতা শুরু হয়েছে । মামলার তদন্তে আনন্দপুর থানাকে সাহায্য করছে গোয়েন্দা বিভাগ । তৎপর হয়েছেন লালবাজারের এক শীর্ষকর্তা । সেই সূত্রে মনে করা হচ্ছে দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে অভিষেক পাণ্ডেকে।

আনন্দপুরের ঘটনায় পুলিশের দিকে উঠেছে অভিযোগের আঙুল । অভিযোগ, ঘটনার দিন রাতে গাড়িটি চিহ্নিত করার বিষয়ে তেমন তৎপর ছিল না পুলিশ । সেই রাতেই তৎপর থাকলে ঘটনার জল এতদুর পর্যন্ত গড়াত না বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল । যদিও এক তদন্তকারী অফিসার জানাচ্ছেন, সেদিন নির্যাতিতা যুবতির কথা পুরোপুরি বিশ্বাস করার ফল ভুগতে হচ্ছে । নির্যাতিতা সেদিন অনেক কিছু লুকিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশকে । এখনও পর্যন্ত যা তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে তাতে, অভিযুক্তের বিষয়ে অনেক কিছুই জানতেন নির্যাতিতা । কারণ, অভিযুক্তের মাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবতির সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল অভিষেকের । এমনকী নির্যাতিতার বাড়িতেও যাতায়াত ছিল তাঁর । নির্যাতিতা অভিষেকের নাম পর্যন্ত জানতেন । জানতেন তাঁর পরিচয় । এমনকী গাড়ির নম্বরটিও জানতেন । সেটি তিনি লুকিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশকে । প্রথমেই যদি সত্যিকারের পরিচয় তিনি পুলিশের কাছে দিয়ে দিতেন তবে, এতক্ষণে হয়ত ধরা পড়ে যেতেন অভিযুক্ত । কারণ পুলিশ জানতে পেরেছে গত রাত পর্যন্ত তিনি শহরেই ছিলেন । গা ঢাকা দিয়েছিলেন একটি হোটেলে । গতরাতে তিনি শহর ছেড়েছেন বলে এখনও পর্যন্ত খবর।

ঘটনার রাত অর্থাৎ শনিবার নির্যাতিতা যুবতি পুলিশকে জানিয়ে ছিলেন, অভিযুক্তর সঙ্গে পাঁচ দিন আগে সোশাল মিডিয়ায় আলাপ। সেই থেকে ঘনিষ্ঠতা । সেই সূত্র ধরে প্রথমবার দেখা করতে গিয়েছিলেন যুবতি । সামনাসামনি দেখা হওয়ার পর যুবতিকে মুখোমুখি হতে হয় এক চূড়ান্ত খারাপ অভিজ্ঞতার । গভীর রাত হয়ে গেলেও ওই যুবতিকে অভিযুক্ত বাড়ি যেতে দিতে চায়নি । অভিযোগ, বাড়ি ছেড়ে দিতে বললে শুরু হয় মারধর । করা হয় শ্লীলতাহানি । ঘটনার পর এক বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর যখন ওই যুবতিকে নয়াবাদের ফ্ল‍্যাটে ছেড়ে দেয় পুলিশ, তখন তদন্তের প্রয়োজনেই ওই যুবতির ফোনের হদিস পেতে চেয়েছিল পুলিশ ।

কিন্তু ওই যুবতি জানান অভিযুক্তের গাড়িতে পড়ে রয়েছে তাঁর ফোন । সেই ফোন নম্বরের টাওয়ার লোকেশন এ দেখা যায় যুবতির বাড়িতেই রয়েছে ফোন । তখন ফের তদন্তকারীরা যোগাযোগ করেন যুবতীর সঙ্গে । যুবতী তখন তদন্তকারীদের জানান, রাতে নিরাপত্তারক্ষীর হাতে ফোন ফেরত দিয়ে গেছেন অভিযুক্ত। কিন্তু তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং কলের সমস্ত রেকর্ড মুছে দিয়ে গেছে । মূলত হোয়াটসঅ্যাপ কল এবং চ্যাটেই কথা হত তাঁদের । যুবতীর এই বয়ানে খটকা লাগে তদন্তকারীদের । তারপরে উঠে আসতে থাকে একের পর এক তথ্য । জানা গেছে, বছর পাঁচেক আগে একবার বিয়ে করেছিলেন অভিষেক । তিন মাসের জন্য তাঁর সেই সম্পর্ক ছিল । পরে সেই বিয়ে ভেঙে যায়। কিছুদিন আগে থেকে নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.