কলকাতা, 12 ফেব্রুয়ারি: রাজ্যে এসে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। কোচবিহার থেকে ফেরার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁর অভিযোগের পালটা জবাব দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের রিপোর্ট কার্ডের সঙ্গে রাজ্যের কাজকর্মের তুলনা হোক। তারপরই কে কতটা কাজ করেছে, তা নিয়ে সমালোচনা হোক। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই তিনি বিজেপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিটি আসনে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারবে কি (Abhishek Banerjee slams BJP)!
অভিষেকের কথায়, "অসুবিধা হলে আমাকে বলুন। আমি প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দেব। দায়িত্ব নিয়ে বলছি। কিন্তু আগে প্রার্থী ঠিক করুন। দেখে নিন কে, কোথায় দাঁড়াবেন। ক্ষমতা থাকলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিকভাবে, মানুষকে সংগঠিত করে লড়াই করুন।" প্রসঙ্গত, রাজ্যে এসে তৃণমূল সরকারকে এক হাত নিয়ে কখনও তোলাবাজ, কখনও দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা ভাষাতেই কটাক্ষও করতে ছাড়েননি তিনি। বলেছেন, "অপশাসন, জঙ্গলরাজকে শীঘ্রই বাংলার মানুষ আলবিদা জানাবে ৷ তারপর তিনি বলেন, "বাংলায় ডাবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিষ্ঠা হবে ৷"
জেপি নাড্ডার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিজেপির নেতারা আগেও এমন দাবি করেছিলেন। কিন্তু তা সফল হয়নি। আমি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে আবেদন করছি আগামিবার এলে ডাবল ইঞ্জিন সরকার রয়েছে এমন কোনও রাজ্যের সঙ্গে বাংলার তুলনা করে দেখাতে হবে। জায়গা, তারিখ, আপনি ঠিক করবেন। আপনি আপনার সরকারের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসুন, আমি আমার সরকারের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসব। গত দশ বছর আপনার সরকার বাংলার জন্য কী করেছে! আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার জন্য কী করেছেন! তথ্য পরিসংখ্যানের চ্যালেঞ্জ হোক না। আমি তো চ্যালেঞ্জ করছি।"
আরও পড়ুন: তোলাবাজি-মাফিয়া-কোরাপশন, তৃণমূলের নতুন নামকরণ জেপি নাড্ডার
এদিন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, "বিচারব্যবস্থার একাংশ, সংবাদমাধ্যমের একাংশ, ইডি, সিবিআই, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে একজোট করে তৃণমূলকে আটকানোর চেষ্টা চলছে। তবে কোনওভাবেই তৃণমূলকে আটকানো যাবে না ৷