কলকাতা, 29 মার্চ: কেন্দ্রীয় সংস্থা ডাকলে এবার 'এক ডাকে অভিষেক' (Ek Dake Abhishek) ফোন করার পরার্মশ দিলেন খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার শহিদ মিনারের সভা থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের লক্ষ্য করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "যদি কাউকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়। ইডি, সিবিআই যদি কোনও প্রমাণ ছাড়া গ্রেফতার করে, তাহলে এক ডাকে অভিষেকে ফোন করবেন। আমি আপনাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াব, কথা দিলাম।" এতদিন এই 'এক ডাকে অভিষেক' ব্যবহার হত ডায়মন্ড হারবারের মানুষদের জন্য ৷ সেখানকার অভাব অভিযোগ, তাঁদেরই সাংসদকে জানানোর জন্য। তবে এবার তা তৃণমূলের প্রত্যেক কর্মী-সমর্থকের জন্যই কি করে দিল অভিষেক ?
এদিনের সমাবেশে কেন্দ্রীয় সংস্থাকারীদের লক্ষ্য করে তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন। শুভেন্দু অধিকারী-সহ বামনেতৃত্বের দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি। এমনকী তিনি টেনে নিয়ে এসেছেন সারদা, নারদা কেসও। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির দিকে লক্ষ্য করে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা চাই, দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের শাস্তি হোক ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হোক ৷ কিন্তু পিক অ্যান্ড চুজ হবে না।"
আরও পড়ুন: দিদি, ও দিদি মন্তব্যের জন্য মোদির পদ খারিজ কেন হবে না, প্রশ্ন অভিষেকের
এর সঙ্গে তিনি আরও যোগ করে বলেন, "এই তো মদনদা জেলে ছিলেন। কুণাল ঘোষও জেলে ছিলেন। এদের বলা হয়েছিল আমার নাম নিলে ছেড়ে দেওয়া হবে। আমার জন্য আইন আলাদা করার দরকার নেই। যদি প্রমাণ করতে পারে আমি কোনওরকম দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাহলে শহিদ মিনারের ফাঁসির মঞ্চকেই বরণ করে নেব।"
অন্যদিকে, অভিষেকের অভিযোগ তাঁরা সভা করতে গেলেই সব সময় আইনে তৈরি হয়। আজ মঞ্চে ওঠার আগে আমার ইচ্ছা ছিল, শহিদ স্মৃতিসৌধের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে সভা শুরু করার ৷ কিন্তু হাইকোর্টের 'বাধ্যবাধকতা' মেনে এই সভা করতে হচ্ছে । ফলে ইচ্ছা থাকলেও উপায় হয়নি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। তাঁর কথায়, আবারও উঠে এসেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। এদিনের মঞ্চে তিনি সাফ জানান, তৃণমূল কোনওদিন দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে আপোস করে না। তাই অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই দল থেকে ও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে । তবে বিরোধীদের ক্ষেত্রে তা কেন লক্ষ্য করা যায় না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক।