কলকাতা, 9 নভেম্বর: মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর মতে, তিনি, কৃষ্ণনগরের সাংসদ সবাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার ৷ আদানি বা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করলেই প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ করা হয় । তবে তাঁর সতীর্থ নিজের লড়াই নিজে করতে সক্ষম বলে মনে করেন অভিষেক ৷
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ডাকে সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই এ দিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি । সেখানেই সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অভিষেক এই প্রতিহিংসার রাজনীতি নিয়ে সরব হয়েছেন ।
সাম্প্রতিক অতীতে মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে মুখে কুলুপ এসেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ ইতিমধ্যেই ক্যাশ ফর কোশ্চেন ইস্যুতে মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে কম জল ঘোলা হচ্ছে না । দল তাঁর পাশে আছে কি না, এটাই এখন বড় প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের ৷ তবে আজ দলের দু নম্বর ব্যক্তিকে পাশে পেয়ে গেলেন মহুয়া ৷
এ দিন মহুয়া মৈত্রের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এথিক্স কমিটিতে প্রচুর প্রিভিলেজের বিষয় ডিউ পড়ে রয়েছে । আপনারা দেখেছেন, যখন নতুন পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধন করা হল, সে সময় বিজেপির সাংসদ রমেশ বিদুড়ি কীভাবে অপশব্দ ব্যবহার করে সংসদের গরিমা নষ্ট করেছিলেন । বিজেপির এমন অনেক সাংসদের বিরুদ্ধে প্রিভিলেজের তথা স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে, সেগুলি আলোচনা করা হচ্ছে না । কিন্তু কেউ যদি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায়, সরকারকে প্রশ্ন করতে চায়, আদানিদের নিয়ে প্রশ্ন করার চেষ্টা করে, তখন দেখা যায় যে, কীভাবে সাংসদ পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার প্রয়াস হয় । এথিক্স কমিটি কেন্দ্রীয় সরকারকে বলছে, আপনাদের কাছে যদি সাংসদের বিরুদ্ধে কিছু থাকে তাহলে তদন্ত করুন । যদি এথিক্স কমিটির কাছে সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্তের যোগ্য তথ্য না থাকে, তাহলে কীভাবে তাঁর সদস্যপদ খারিজের জন্য সুপারিশ করতে পারে ।"
আরও পড়ুন: 'আমার লুকোনোর কিছু নেই', 6000 পাতার রিপোর্ট জমা করে বললেন অভিষেক
এ দিন সতীর্থের প্রশংসা করে অভিষেক বলেছেন, "আমার মনে হয় মহুয়া মৈত্র নিজের লড়াই নিজে লড়তে যথেষ্ট সমর্থ । আমাকেও গত চার বছর ধরে বারবার ডাকছে । আলাদা আলাদা কীসে জিজ্ঞাসাবাদ করছে । একটা কিছু পাচ্ছে না, তো অন্যটাই জুড়ে দেওয়া হচ্ছে, অন্যটায় না পেলে আরও একটায় ডাকা হচ্ছে । সেটাই ওদের স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিস ।"
এ দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যে তাড়াহুড়ো দেখানো হল তা কি প্রতিহিংসা বলে তিনি দেখছেন ? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন, সেটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু নয় ।