কলকাতা, 8 অক্টোবর: "আপনারা যেদিন সভা করবেন, কলকাতার যে প্রান্তে সভা করবেন, দু'ঘণ্টা আগে বলবেন। আমি সেখানে যাব। তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে মানুষকে বোঝাব কে সত্য কথা বলছে, আর কে মিথ্যা বলছে!" শনিবার রাতের ভাষণে এভাবেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে এভাবেই চ্যালেঞ্জ জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচির পালটা হিসেবে বঞ্চিতদের নিয়ে সভা করার কথা ঘোষণা করেছেন। যদিও সেই সভার দিন এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু এই সুযোগে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করতে ছাড়লেন না তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। এমনকী রাজভবনের সামনে তৃণমূলের ধরনামঞ্চে এসে বিজেপি নেতাদের বিতর্কে অংশগ্রহণ করতেও আহ্বান জানান ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।
এদিকে, গতকাল দার্জিলিঙের রাজভবনে গিয়ে তৃণমূল তরফে সাংসদ মহুয়া মৈত্র, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু তারপরও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না। অভিষেকের প্রশ্ন, রাজ্যপালের আজ তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলা ছাড়া অন্য কোনও কাজ ছিল না। তাহলে তিনি কলকাতায় না এসে দার্জিলিঙে বৈঠক করলেন কেন?
দার্জিলিঙের রাজভবন থেকে বেরিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানান রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে মূলত দু'টি বিষয় উঠে এসেছে। তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কলকাতায় ফিরবেন বলে জানিয়েছেন ৷ তারপর রাজ্যের বকেয়া পাওনা নিয়ে দিল্লির সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু এর মধ্যে যদি কোনও রাজনৈতিক বাধা থাকে, তা হলে তিনি কিছু করতে পারবেন না।
এই রাজনৈতিক বাধা নিয়েই রাজ্যের বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের আক্রমণ করেন অভিষেক। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের জন্যই রাজ্যের মানুষ তাঁদের হকের টাকা পাচ্ছেন না। রাজ্যপাল না-আসা পর্যন্ত যে আন্দোলন চলবে, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে অন্য একটি প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: আবাস যোজনার বঞ্চিতদের নিয়ে পুজোর পরেই পথে নামছে বিজেপি, ঘোষণা শুভেন্দুর