কলকাতা, 7 অক্টোবর: 100 দিনের বকেয়া আদায়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করার পরামর্শ দিলেন তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, "বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করুন। বকেয়া টাকা চান। কল রেকর্ড করুন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করুন।" অডিও শুনিয়ে অভিষেকের আরও দাবি করেন, "দু'হাজার কোটি টাকা পড়ে আছে। সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করবে টাকা চলে আসবে। মাথা ঠান্ডা করে কথা বলুন। সুকান্ত মজুমদারকে বলুন আপনার প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে জানতে চান কেন 100 দিনের টাকা আটকে রেখেছেন।"
এরপরেই তৃণমূলের তরফে সুকান্ত মজুমদারের দু'টি ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়। তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দু'টি নম্বর মঞ্চ থেকে বলে দেন ৷ কারণ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে ছিলেন। অভিষেক বলেন, "রাজীবদাকে খুব যত্ন করে বিজেপিতে নিয়ে গিয়েছিল। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম আপনার কাছে সুকান্ত মজুমদারের ফোন নম্বর আছে। রাজীব দা বললেন দু'টি নম্বর আছে।" এরপরই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সুকান্ত মজুমদারের দু'টি ফোন নম্বর মাইকে ঘোষণা করেন। পাশে থেকে ট্যাব হাতে দেবাংশু ভট্টাচার্য সেই নম্বর তুলে ধরেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সুকান্ত মজুমদার একটা দলের রাজ্য সভাপতি। জনপ্রতিনিধিও বটে। তাঁর দু'টো নম্বর আমার কাছে আছে। এই নম্বরগুলোতে আপনারা ফোন করুন। এই নম্বর দু'টোতে যদি না-পাওয়া যায়, সুকান্ত মজুমদারের উচিত তাঁর কাছে থাকা নতুন নম্বর প্রকাশ করা।" রাজীব আরও জানান, তিনি সুকান্ত মজুমদারের এই নম্বর দু'টো তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে দেবেন।
100 দিনের কাজের বকেয়া টাকা-সহ রাজভবনের সামনে তৃণমূলের অবস্থানের শনিবার তৃতীয় দিন। নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মনরেগা প্রকল্পের কর্মীরা। আছেন তৃণমূল বৈশ্বনর চট্টোপাধ্য়ায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একদল ছেলে মেয়ে। এদিন গানের মাধ্যমে অবস্থানের তৃতীয় দিনে অনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জয়ী ব্যান্ডের সঙ্গে গলা মিলিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরুণ তুর্কিরা আন্দোলনে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন। এদিকে এদিনই দার্জিলিং রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বর। দার্জিলিংয়ের রাজভবনে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে দেখা করায় সম্মতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তৃণমূলের তরফে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, প্রদীপ মজুমদার শনিবার দার্জিলিং রাজভবনে দেখা করতে যাবেন।
একশো দিনের বকেয়া টাকা-সহ রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ করবেন তাঁরা। একই সঙ্গে কলকাতা রাজভবনের সামনে অভিষেকের নেতৃত্ব অবস্থান বিক্ষোভ জারি থাকবে। প্রয়োজনে পুজোর পর পর্যন্ত ধরনা চলবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন অভিষেক।