কলকাতা, 14 অক্টোবর : স্কুলে পড়েছেন একসঙ্গে । যাতায়াত ছিল বাড়িতেও । সাউথ পয়েন্ট স্কুলেও একসঙ্গে দুষ্টুমি করা । কৈশোরে একসঙ্গে খেলা থেকে শুরু করে, একসঙ্গেই কাটিয়েছেন অভিজিৎ ব্যানার্জি ও সিদ্ধার্থ মজুমদার ৷ পরে অবশ্য দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায় ৷ সিদ্ধার্থ চলে যান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে । অভিজিৎ থেকে যান প্রেসিডেন্সিতেই । বাল্যবন্ধু অভিজিতের নোবেল প্রাপ্তিতে উচ্ছ্বসিত সিদ্ধার্থ ৷ সেই পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন করলেন রাজ্য কলেজ সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন ৷
সিদ্ধার্থ বলেন, "খুবই আনন্দের কথা । এই মুহূর্তে যতজন বাঙালি অর্থনীতিবিদ কাজ করছেন, তাঁদের মধ্যে অভিজিতের নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল । সেটাই হল ৷ বাল্যবন্ধু, সহপাঠী হিসেবে আমি খুবই খুশি । আমরা একসঙ্গে সাউথ পয়েন্টে পড়তাম । অঙ্কে ছিল তুখোড় । শৈশবেই কাউকে কাউকে দেখে মনে হয়, এই ছেলেটা অনেক দূর যাবে, অভিজিৎ ছিল তেমনই । ওঁর সঙ্গে বাড়িতে যাওয়া, কাকিমার হাতের খাবার খাওয়া, আর পাঁচজনের শৈশব যেমন হয় আমাদেরও তেমনটাই ছিল ।" তবে দাবায় তাঁকে কখনওই হারাতে পারেননি অভিজিৎ ৷ সিদ্ধার্থ বললেন, "কৈশোরে একসঙ্গে দাবা খেলতাম । মজার ব্যাপার হল, দাবায় আমায় কোনওদিন হারাতে পারেনি ।"
এই সংক্রান্ত আরও খবর : ফের নোবেল বাঙালির হাতে, এবার অভিজিৎ ব্যানার্জি
শৈশবের স্মৃতি রোমন্থনের ফাঁকেই সিদ্ধার্থ জানালেন অর্থনীতিতে অভিজিতের অবদানের কথা ৷ বললেন, "অর্থনীতি ভীষণভাবেই পরিবর্তনশীল । রসায়নে জল যেমন আমাজনে H2O, আর গঙ্গাতেও তাই । অর্থনীতি তেমনটা নয় । ব্যক্তি, দেশ, সামাজিক পরিকাঠামোর নিরিখে অর্থনীতির সংজ্ঞাগুলি পালটে যায় । আমরা সাধারণভাবে অর্থনীতির ছাত্র হিসেবে যে কোনও সমস্যাকে অঙ্ক ও কিছু মতবাদ দিয়ে বিশ্লেষণ করি । কিন্তু, অভিজিৎ সেটাকেই সহজ করে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন । ওঁর অনেক লেখা আছে । তবে 'পুয়োর ইকোনমিক্স' বইটি সারা বিশ্বেই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছিল । আমিও বইটি পড়েছি । আউট অফ দা বক্স ভেবেছেন অভিজিৎ । এভাবেই যে কোনও বিষয়কে সহজভাবে বলার একটা চেষ্টা অভিজিৎ সারাজীবন করে যাচ্ছেন । "
এই সংক্রান্ত আরও খবর : সাগরপারে ছেলের জয়ে উচ্ছ্বসিত মা