ETV Bharat / state

রেশন নিয়ে আরও কঠোর হতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি মান্নানের

author img

By

Published : Apr 19, 2020, 4:40 PM IST

মানুষের মধ্যে চাল, গম বণ্টন আরও বেশি স্বচ্ছ করতে হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়ে পরমার্শ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ৷

মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি মান্নানের
মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি মান্নানের

কলকাতা, 19 এপ্রিল : গণ বণ্টন ব্যবস্থা নিয়ে সক্রিয় অবস্থান নিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ তবে, মানুষের মধ্যে চাল, গম বণ্টন আরও বেশি স্বচ্ছ করতে হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়ে পরমার্শ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ৷ খাদ্য দপ্তরের কাজে মুখ্যমন্ত্রীর অসন্তোষ প্রকাশ সমীচীন বলেই মনে করছেন তিনি ৷ ভুয়ো রেশন কার্ড চিহ্নিত করে রেশন ব্যবস্থাকে আরও বেশি সক্রিয় করেছে রাজ্য সরকার ৷ আজ এভাবেই রাজ্য সরকারের প্রশংসা করলেন মান্নান ৷

মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে চাল ও পরিবারপিছু এক কেজি করে ডাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সেই সিদ্ধান্ত এখনও বাস্তবে পরিণত হয়নি ৷ কেন্দ্রের টাকা সাধারণ মানুষের করের টাকা কোনও রাজনৈতিক দলের নয় ৷ তাই রাজ্যের সঙ্গে ঝগড়া না করে, মুখ্যমন্ত্রীর মতো মানুষের খাদ্যদ্রব্য সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রকে আরও সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আবদুল মান্নান ৷ তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার শুধু ঘোষণা করে যাচ্ছে । আর দলবাজি করে যাচ্ছে । আর কোনও ঘোষণা বা দলবাজি নয় । মানুষকে এই দুঃসময়ে খাদ্য সুরক্ষা করে দিতে হবে । মানুষের সঙ্গে আর প্রতারণা করবেন না । দেশের মানুষের মধ্যে খাদ্য বণ্টন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বিরোধী দল । অতীতেও একাধিকবার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । 15 লাখ টাকা করে দেশের গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল । শেষে 500 টাকা করে ভিক্ষে দিল কেন্দ্রীয় সরকার ।"

কোরোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন-সহ বিভিন্ন কর্মসূচি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গ্রহণ করেছে ৷ সরকারের নির্দেশ মতো লকডাউন পালন করতে অসহায় মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ৷ এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে আবদুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, এই বিষয়ে কোনও ইতিবাচক উত্তর না পেয়ে আজ ফের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মান্নান ৷

আগেই রেশনে নানা অব্যবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল বিরোধীরা ৷ গত বছর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই বিধানসভায় অধ্যক্ষের ঘরে খাদ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলগুলির নেতৃবৃন্দ ও খাদ্যসচিব-সহ পদস্থ আধিকারিকগণ একটি সভায় সমস্যাগুলি ও তার সমাধানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে । কয়েক লাখ ভুয়ো রেশন কার্ড থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে ওইসব রেশন কার্ডগুলি বাতিল করার কথা বলা হয়েছিল সেই দিন । কিন্তু আজ পর্যন্ত ওইসব ভুয়ো রেশন কার্ডগুলো বাতিল হয়নি । তাই আজ মুখ্যমন্ত্রী অসহায় মানুষের কাছে রেশনের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানোর আশ্বাস দিলেও তা কার্যকরী করা যাচ্ছে না । একশ্রেণীর অসাধু কায়েমী স্বার্থের ব্যবসায়ীদের চক্রান্তের ফলে এই অসহায় মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা ।

আবদুল মান্নান মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে স্পষ্ট করে আবেদন জানান, "বিষয়টি আপনি গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিন । অবিলম্বে সব ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল করার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন । অপরাধীদের কঠোরভাবে শাস্তির ব্যবস্থা নিন । রেশন বণ্টনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখুন ।" তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আরও জানান, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বরাদ্দ খাদ্য সামগ্রী অসহায় মানুষের কাছে পৌঁছালে অনেকটাই সুরাহা হবে । উভয় সরকার যাই বরাদ্দ করুক না কেন, সেটা তারা নিজেদের ব্যক্তিগত বা দলীয় তহবিল থেকে বরাদ্দ করে না । জনগণের করের দেওয়া টাকা থেকে জনগণকে বিতরণ করে । অতএব বিতর্ক সৃষ্টি করে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কষ্টকে বাড়িয়ে তোলা উচিত নয় এই সময় ।

কলকাতা, 19 এপ্রিল : গণ বণ্টন ব্যবস্থা নিয়ে সক্রিয় অবস্থান নিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ তবে, মানুষের মধ্যে চাল, গম বণ্টন আরও বেশি স্বচ্ছ করতে হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়ে পরমার্শ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ৷ খাদ্য দপ্তরের কাজে মুখ্যমন্ত্রীর অসন্তোষ প্রকাশ সমীচীন বলেই মনে করছেন তিনি ৷ ভুয়ো রেশন কার্ড চিহ্নিত করে রেশন ব্যবস্থাকে আরও বেশি সক্রিয় করেছে রাজ্য সরকার ৷ আজ এভাবেই রাজ্য সরকারের প্রশংসা করলেন মান্নান ৷

মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে চাল ও পরিবারপিছু এক কেজি করে ডাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সেই সিদ্ধান্ত এখনও বাস্তবে পরিণত হয়নি ৷ কেন্দ্রের টাকা সাধারণ মানুষের করের টাকা কোনও রাজনৈতিক দলের নয় ৷ তাই রাজ্যের সঙ্গে ঝগড়া না করে, মুখ্যমন্ত্রীর মতো মানুষের খাদ্যদ্রব্য সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রকে আরও সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আবদুল মান্নান ৷ তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার শুধু ঘোষণা করে যাচ্ছে । আর দলবাজি করে যাচ্ছে । আর কোনও ঘোষণা বা দলবাজি নয় । মানুষকে এই দুঃসময়ে খাদ্য সুরক্ষা করে দিতে হবে । মানুষের সঙ্গে আর প্রতারণা করবেন না । দেশের মানুষের মধ্যে খাদ্য বণ্টন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বিরোধী দল । অতীতেও একাধিকবার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । 15 লাখ টাকা করে দেশের গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল । শেষে 500 টাকা করে ভিক্ষে দিল কেন্দ্রীয় সরকার ।"

কোরোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন-সহ বিভিন্ন কর্মসূচি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গ্রহণ করেছে ৷ সরকারের নির্দেশ মতো লকডাউন পালন করতে অসহায় মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ৷ এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে আবদুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, এই বিষয়ে কোনও ইতিবাচক উত্তর না পেয়ে আজ ফের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মান্নান ৷

আগেই রেশনে নানা অব্যবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল বিরোধীরা ৷ গত বছর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই বিধানসভায় অধ্যক্ষের ঘরে খাদ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলগুলির নেতৃবৃন্দ ও খাদ্যসচিব-সহ পদস্থ আধিকারিকগণ একটি সভায় সমস্যাগুলি ও তার সমাধানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে । কয়েক লাখ ভুয়ো রেশন কার্ড থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে ওইসব রেশন কার্ডগুলি বাতিল করার কথা বলা হয়েছিল সেই দিন । কিন্তু আজ পর্যন্ত ওইসব ভুয়ো রেশন কার্ডগুলো বাতিল হয়নি । তাই আজ মুখ্যমন্ত্রী অসহায় মানুষের কাছে রেশনের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানোর আশ্বাস দিলেও তা কার্যকরী করা যাচ্ছে না । একশ্রেণীর অসাধু কায়েমী স্বার্থের ব্যবসায়ীদের চক্রান্তের ফলে এই অসহায় মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা ।

আবদুল মান্নান মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে স্পষ্ট করে আবেদন জানান, "বিষয়টি আপনি গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিন । অবিলম্বে সব ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল করার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন । অপরাধীদের কঠোরভাবে শাস্তির ব্যবস্থা নিন । রেশন বণ্টনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখুন ।" তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আরও জানান, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বরাদ্দ খাদ্য সামগ্রী অসহায় মানুষের কাছে পৌঁছালে অনেকটাই সুরাহা হবে । উভয় সরকার যাই বরাদ্দ করুক না কেন, সেটা তারা নিজেদের ব্যক্তিগত বা দলীয় তহবিল থেকে বরাদ্দ করে না । জনগণের করের দেওয়া টাকা থেকে জনগণকে বিতরণ করে । অতএব বিতর্ক সৃষ্টি করে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কষ্টকে বাড়িয়ে তোলা উচিত নয় এই সময় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.