ETV Bharat / state

হিটলারের প্রেতাত্মার সঙ্গে রাজ্যের শাসন ব্যবস্থার তুলনা বিরোধী দলনেতার

কলকাতাসহ প্রায় 100-র মত পৌরসভার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে । তারপরও সরকারি আধিকারিকদের নিয়োগ না করে দলীয় প্রাক্তন মেয়র, চেয়ারম্যানদের প্রশাসক পদে বহাল রাখা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র ধিক্কার জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ।

হিটলারের প্রেতাত্মার সঙ্গে শাসক দলের তুলনা বিরোধী দলনেতা
হিটলারের প্রেতাত্মার সঙ্গে শাসক দলের তুলনা বিরোধী দলনেতা
author img

By

Published : May 14, 2020, 9:59 PM IST

কলকাতা, 14 মে: রাজ্যের শাসক দল এখন বড্ড বেশি রাজ ধর্ম পালনের কথা বলছে । অথচ রাজ ধর্মকে গলা টিপে হত্যা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার । নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই রাজ ধর্ম প্রচার করছে তৃণমূল কংগ্রেস । এমনই কিছু মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান । কলকাতা-সহ প্রায় 100-র মত পৌরসভার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে । তারপরও সরকারি আধিকারিকদের নিয়োগ না করে যেভাবে দলীয় প্রাক্তন মেয়র, চেয়ারম্যানদের প্রশাসক পদে বহাল রাখা হয়েছে তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র ধিক্কার জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ।

শাসক দলের ঘনিষ্ঠ লোককে প্রশাসক হিসেবে রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভায় বসানোর তীব্র নিন্দা করেছেন আবদুল মান্নান । তিনি বলেন, "শাসকদলের এই স্বৈরাচারী কার্যকলাপের ঘৃণ্য অপবাদকে চাপা দিতে হঠাৎ সরকারের রাজধর্ম পালনের কথা মনে পড়ে গেল । বিগত 9 বছরে অনেক পৌরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিরোধী দলের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছিল । কিন্তু সম্পূর্ণ গায়ের জোরে স্বৈরাচারী কায়দায় সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় সবকটি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস দখল করে নেয় ।" তিনি আরও বলেন, "এমনকী 2011 সালের পর থেকেই বিরোধী দলীয় বিধায়কদের অনেককেই মিথ্যে মামলা, খুনের হুমকি দিয়ে নিজেদের দলে যোগদান করায় শাসক দল । প্রকাশ্য জনসভায় এইসব ঘটনা ঘটলেও আজ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইন প্রয়োগ করে সদস্যপদ অর্থাৎ বিধায়ক পদ বাতিল করা হয়নি । উলটে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে । যারা শাসকদলের এই স্বৈরাচারিতার কাছে মাথা নত করতে রাজি হননি, তাদের ওপর চলছে বৈষম্যমূলক আচরণ । এলাকার উন্নয়নে তাদের ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে ।"

জেলায় জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে শাসক দলের সঙ্গে দলত্যাগীদের ডাকা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষুব্ধ বিরোধী দলনেতা । তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, "বিরোধী দলনেতা হওয়া সত্ত্বেও নিজের জেলাতেও এ ধরনের প্রশাসনিক বৈঠকে আমাকে কখনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি । বিরোধী দলের নেতৃত্বে পরিচালিত সব পৌরসভা দখল করে নেওয়ার পরও তাহেরপুর, জয়নগর, এবং শিলিগুড়ি মিউনিসিপাল কর্পোরেশন বল প্রয়োগ করেও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস দখল করতে পারেনি । সংশ্লিষ্ট দুটি পৌরসভা এবং একটি পৌরনিগমের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে । উন্নয়নের কাজ আটকে দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট পৌরসভাগুলিতে । রাজ্যের সবকটি বিরোধী দলের ক্ষমতায় থাকা সংস্থাকে বরাদ্দকৃত অর্থ দেওয়া হচ্ছে না । হলে ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়নের কাজ । পৌরসভা এলাকার উন্নয়নে প্রাপ্য অর্থ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে ।"

পশ্চিমবঙ্গের শাসন ব্যবস্থাকে হিটলারের প্রেতাত্মার রাজ ধর্ম পালন বলে মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা । রাজ্যের বিরোধীদলের পক্ষ থেকে সরকারের এই স্বৈরাচারী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানানো হয় । রাজ্যের জনগণের কাছে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের আবেদন, "শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হোন এবং রুখে দাঁড়ান ।"

কলকাতা, 14 মে: রাজ্যের শাসক দল এখন বড্ড বেশি রাজ ধর্ম পালনের কথা বলছে । অথচ রাজ ধর্মকে গলা টিপে হত্যা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার । নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই রাজ ধর্ম প্রচার করছে তৃণমূল কংগ্রেস । এমনই কিছু মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান । কলকাতা-সহ প্রায় 100-র মত পৌরসভার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে । তারপরও সরকারি আধিকারিকদের নিয়োগ না করে যেভাবে দলীয় প্রাক্তন মেয়র, চেয়ারম্যানদের প্রশাসক পদে বহাল রাখা হয়েছে তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র ধিক্কার জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ।

শাসক দলের ঘনিষ্ঠ লোককে প্রশাসক হিসেবে রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভায় বসানোর তীব্র নিন্দা করেছেন আবদুল মান্নান । তিনি বলেন, "শাসকদলের এই স্বৈরাচারী কার্যকলাপের ঘৃণ্য অপবাদকে চাপা দিতে হঠাৎ সরকারের রাজধর্ম পালনের কথা মনে পড়ে গেল । বিগত 9 বছরে অনেক পৌরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিরোধী দলের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছিল । কিন্তু সম্পূর্ণ গায়ের জোরে স্বৈরাচারী কায়দায় সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় সবকটি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস দখল করে নেয় ।" তিনি আরও বলেন, "এমনকী 2011 সালের পর থেকেই বিরোধী দলীয় বিধায়কদের অনেককেই মিথ্যে মামলা, খুনের হুমকি দিয়ে নিজেদের দলে যোগদান করায় শাসক দল । প্রকাশ্য জনসভায় এইসব ঘটনা ঘটলেও আজ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইন প্রয়োগ করে সদস্যপদ অর্থাৎ বিধায়ক পদ বাতিল করা হয়নি । উলটে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে । যারা শাসকদলের এই স্বৈরাচারিতার কাছে মাথা নত করতে রাজি হননি, তাদের ওপর চলছে বৈষম্যমূলক আচরণ । এলাকার উন্নয়নে তাদের ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে ।"

জেলায় জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে শাসক দলের সঙ্গে দলত্যাগীদের ডাকা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষুব্ধ বিরোধী দলনেতা । তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, "বিরোধী দলনেতা হওয়া সত্ত্বেও নিজের জেলাতেও এ ধরনের প্রশাসনিক বৈঠকে আমাকে কখনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি । বিরোধী দলের নেতৃত্বে পরিচালিত সব পৌরসভা দখল করে নেওয়ার পরও তাহেরপুর, জয়নগর, এবং শিলিগুড়ি মিউনিসিপাল কর্পোরেশন বল প্রয়োগ করেও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস দখল করতে পারেনি । সংশ্লিষ্ট দুটি পৌরসভা এবং একটি পৌরনিগমের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে । উন্নয়নের কাজ আটকে দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট পৌরসভাগুলিতে । রাজ্যের সবকটি বিরোধী দলের ক্ষমতায় থাকা সংস্থাকে বরাদ্দকৃত অর্থ দেওয়া হচ্ছে না । হলে ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়নের কাজ । পৌরসভা এলাকার উন্নয়নে প্রাপ্য অর্থ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে ।"

পশ্চিমবঙ্গের শাসন ব্যবস্থাকে হিটলারের প্রেতাত্মার রাজ ধর্ম পালন বলে মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা । রাজ্যের বিরোধীদলের পক্ষ থেকে সরকারের এই স্বৈরাচারী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানানো হয় । রাজ্যের জনগণের কাছে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের আবেদন, "শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হোন এবং রুখে দাঁড়ান ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.