ETV Bharat / state

মাধ্যমিকের উত্তরপত্র দেখার জন্য পড়ুয়াদের আর ফি লাগবে না - There will be no processing fee for examination paper RTI

উত্তরপত্র ইন্সপেকশনের জন্য ফি আর দিতে হবে না । গতকাল বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ।

মাধ্যমিকের উত্তরপত্র দেখার জন্য পড়ুয়াদের আর ফি লাগবে না
author img

By

Published : Jul 12, 2019, 7:01 AM IST

কলকাতা, 12 জুলাই : পরীক্ষা দেওয়ার পর উত্তরপত্র দেখার জন্য আর ফি দিতে হবে না । গতকাল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ । তবে, RTI-2005-এর নিয়ম মেনে উত্তরপত্রের ফটোকপির জন্য প্রতি পৃষ্ঠা বাবদ ২ টাকা করে দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে ।

ডিরোজিও ভবন
ডিরোজিও ভবন

যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য বলেন, "মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়ম ছিল যে, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট মেনে যাঁরা আবেদন করত, প্রথমে তাদের পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউ ও স্ক্রুটিনি করতে বলা হত । তারপরে যা রেজাল্ট আসতো তাতে সন্তুষ্ট হলে ভালো, আর তা না হলে রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট 2005 অনুসারে আবেদন করতে চাইলে তাদের জন্য একটা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম নোটিশ বোর্ডে লাগিয়ে রেখে দেওয়া হত । সেই ফর্মের কপি কেউ প্রিন্ট বা টাইপ করিয়ে তাতে দশ টাকার স্ট্যাম্প লাগিয়ে আবেদন করত । RTI 2005 অনুসারে আবেদন করতে চাইলে বিষয় পিছু 200 টাকা করে জমা দিতে হত । "

কিন্তু গতকাল বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তরপত্র দেখার জন্য আর কোনও ফি নেওয়া না । যদিও, উত্তরপত্রের সার্টিফায়েড ফোটোকপির প্রতি পৃষ্ঠার জন্য দু'টাকা করে ফোটোকপি চার্জ নেওয়া হবে । এই ফোটোকপি চার্জ বোর্ডের অফিসে চালানের মাধ্যমে জমা করতে হবে । পরিমলবাবু বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই ঐতিহাসিক । ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক । প্রথমত, আর্থিক সহায়তা তো হবেই । অনেকের ক্ষেত্রে, ফি ছাড়া তার খাতা দেখতে পারবে না, এটা একটা বাধা ছিল । সেই বাধা কেটে গেল মাত্র দু'টাকার বিনিময়ে । "

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, " ফি নেওয়াটাই বেআইনি ছিল । RTI নিয়ম অনুযায়ী কোথাও কোনও প্রসেসিং ফি নেওয়া যায় না । এতদিন ধরে এই বেআইনি কাজটাই পর্ষদ করে এসেছে । RTI নিয়মে খুব পরিষ্কার বলা আছে, কোনও ভারতীয় নাগরিক যদি কোনও তথ্য চান, তাহলে তিনি যার কাছে তথ্য চাইছেন সেখানে 10 টাকার নন জুডিশিয়াল একটা স্ট্যাম্প পেপার দিয়ে বা ইন্ডিয়ান পোস্টাল অর্ডার বা এই জাতীয় কিছু সরকারের ঘরে জমা দেবেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য চাইবেন । সেই তথ্য চাওয়ার জন্য 10 টাকার বেশি তিনি একটি পয়সাও দেবেন না । তথ্যটা দিতে গিয়ে যদি তথ্যদাতাকে একাধিক পৃষ্ঠা জেরক্স করে দিতে হয় তাহলে প্রত্যেক পেজের জেরক্সের চার্জ তথ্যদাতা তাঁর কাছ থেকে নেবেন । "

কলকাতা, 12 জুলাই : পরীক্ষা দেওয়ার পর উত্তরপত্র দেখার জন্য আর ফি দিতে হবে না । গতকাল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ । তবে, RTI-2005-এর নিয়ম মেনে উত্তরপত্রের ফটোকপির জন্য প্রতি পৃষ্ঠা বাবদ ২ টাকা করে দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে ।

ডিরোজিও ভবন
ডিরোজিও ভবন

যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য বলেন, "মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়ম ছিল যে, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট মেনে যাঁরা আবেদন করত, প্রথমে তাদের পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউ ও স্ক্রুটিনি করতে বলা হত । তারপরে যা রেজাল্ট আসতো তাতে সন্তুষ্ট হলে ভালো, আর তা না হলে রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট 2005 অনুসারে আবেদন করতে চাইলে তাদের জন্য একটা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম নোটিশ বোর্ডে লাগিয়ে রেখে দেওয়া হত । সেই ফর্মের কপি কেউ প্রিন্ট বা টাইপ করিয়ে তাতে দশ টাকার স্ট্যাম্প লাগিয়ে আবেদন করত । RTI 2005 অনুসারে আবেদন করতে চাইলে বিষয় পিছু 200 টাকা করে জমা দিতে হত । "

কিন্তু গতকাল বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তরপত্র দেখার জন্য আর কোনও ফি নেওয়া না । যদিও, উত্তরপত্রের সার্টিফায়েড ফোটোকপির প্রতি পৃষ্ঠার জন্য দু'টাকা করে ফোটোকপি চার্জ নেওয়া হবে । এই ফোটোকপি চার্জ বোর্ডের অফিসে চালানের মাধ্যমে জমা করতে হবে । পরিমলবাবু বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই ঐতিহাসিক । ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক । প্রথমত, আর্থিক সহায়তা তো হবেই । অনেকের ক্ষেত্রে, ফি ছাড়া তার খাতা দেখতে পারবে না, এটা একটা বাধা ছিল । সেই বাধা কেটে গেল মাত্র দু'টাকার বিনিময়ে । "

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, " ফি নেওয়াটাই বেআইনি ছিল । RTI নিয়ম অনুযায়ী কোথাও কোনও প্রসেসিং ফি নেওয়া যায় না । এতদিন ধরে এই বেআইনি কাজটাই পর্ষদ করে এসেছে । RTI নিয়মে খুব পরিষ্কার বলা আছে, কোনও ভারতীয় নাগরিক যদি কোনও তথ্য চান, তাহলে তিনি যার কাছে তথ্য চাইছেন সেখানে 10 টাকার নন জুডিশিয়াল একটা স্ট্যাম্প পেপার দিয়ে বা ইন্ডিয়ান পোস্টাল অর্ডার বা এই জাতীয় কিছু সরকারের ঘরে জমা দেবেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য চাইবেন । সেই তথ্য চাওয়ার জন্য 10 টাকার বেশি তিনি একটি পয়সাও দেবেন না । তথ্যটা দিতে গিয়ে যদি তথ্যদাতাকে একাধিক পৃষ্ঠা জেরক্স করে দিতে হয় তাহলে প্রত্যেক পেজের জেরক্সের চার্জ তথ্যদাতা তাঁর কাছ থেকে নেবেন । "

Intro:কলকাতা, ১১ জুলাই: লিখিত উত্তরপত্র ইন্সপেকশনের জন্য প্রসেসিং ফি আর দিতে হবে না। গতকাল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনই জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, লিখিত উত্তরপত্রে ইনস্পেকশন এর উপর আর কোন প্রসেসিং ফি অ্যাপ্লিকেবল হবে না। তবে, RTI ২০০৫-এর নিয়ম মেনে উত্তরপত্রের ফটোকপির জন্য প্রতিটি পৃষ্ঠা বাবদ ২ টাকা করে দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। Body:উত্তরপত্রের প্রসেসিং ফি নিয়ে যাদবপুর বিদ্যাপিঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য বলেন, "মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়মটা ছিল যে ওদের একটা ফর্ম দেওয়ালে নোটিশ বোর্ডে লাগানো রয়েছে। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট অনুসারে অ্যাপ্লাই যারা করবে প্রথমে তাঁদের পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউ ও স্ক্রুটিনি করতে বলত। করার পরে যা রেজাল্ট আসে তাতে সন্তুষ্ট হলে ভালো। তা না হলে রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট ২০০৫ অনুসারে আবেদন করতে চাইলে তাদের জন্য একটা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম নোটিশ বোর্ডে লাগিয়ে রেখে দিত। সেখান থেকে তুলে নিয়ে কেউ হয়তো প্রিন্ট করালো বা টাইপ করি ওখানে দশ টাকার স্ট্যাম্প লাগিয়ে জমা করতে হতো। যে কটি বিষয়ে RTI ২০০৫ অনুসারে আবেদন করতে চাইত, প্রতিটি বিষয় পিছু তাকে ২০০ টাকা করে জমা দিতে হতো।"

গতকাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, উত্তরপত্রের ইনস্পেকশনের জন্য আর কোনো প্রসেসিং ফি লাঘু হবে না। যদিও, উত্তরপত্রের সার্টিফায়েড ফোটোকপির জন্য প্রতিটি পৃষ্ঠার জন্য দুই টাকা করে ফোটোকপি চার্জ নেওয়া হবে। এই ফোটোকপি চার্জ বোর্ডের অফিসে চালানের মাধ্যমে জমা করতে হবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উত্তরপত্র ইন্সপেকশনের জন্য প্রসেসিং ফি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে যাদবপুর বিদ্যাপিঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। যেটা ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক। প্রথমত, আর্থিক সহায়তা তো হবেই। অনেকের ক্ষেত্রে, যে টাকায় হোক না, কেন একটা ফি দেওয়া, ফি ছাড়া তার খাতা দেখতে পারবে না, এটা তার কাছে একটা বাধা ছিল। সেই বাধা কেটে গেল মাত্র দুই টাকার বিনিময়ে, যেটা সম্ভবপর। প্রত্যেঅ ছাত্র-ছাত্রীর একটা প্রত্যাশা থাকে। সেই প্রত্যাশাটা সঠিক কিনা বিচার করার জন্য সে RTI ২০০৫ অনুসারে আবেদন করতে পারে এবং তার খাতাটা দেখে নিতে পারে। তার ফলে বোর্ডের মান এবং বোর্ডের প্রতি আস্থা সমস্ত স্তর থেকে অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।"

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, "প্রসেসিং ফি নেওয়াটাই তো বেআইনি ছিল। RTI নিয়ম অনুযায়ী কোথাও কোনও প্রসেসিং ফি নেওয়া যায় না। এতদিন ধরে এই বেআইনি কাজটাই পর্ষদ করে এসেছে। RTI নিয়মে খুব পরিষ্কার বলা আছে, কোনও ভারতীয় নাগরিক যদি কোনও তথ্য চান, তাহলে তিনি যার কাছে তথ্য চাইছেন সেখানে ১০ টাকার নন জুডিশিয়াল একটা স্ট্যাম্প পেপার দিয়ে বা ইন্ডিয়ান পোস্টাল অর্ডার বা এই জাতীয় কিছু, মানে ১০ টাকা সরকারের ঘরে জমা দেবেন এবং একটি তথ্য চাইবেন। সেই তথ্য চাওয়ার জন্য ১০ টাকার বেশি তিনি একটি পয়সাও দেবেন না। তথ্যটা দিতে গিয়ে যদি তথ্যদাতাকে একাধিক পৃষ্ঠা জেরক্স করে দিতে হয় তাহলে প্রত্যেক পেজের জেরক্সের চার্জ তথ্যদাতা তার কাছ থেকে নেবেন। এটা হচ্ছে RTI-এর নিয়ম। এটাকি ডেভিয়েড করে পর্ষদ এতদিন কাজটা করে এসেছে। এখন কাজটা সংশোধন করছে কোনও একটা চাপে পড়ে হয়তো। বেআইনি কাজটার আইনি মান্যতা দেওয়ার একটা প্রয়াস শুরু হয়েছে। নিশ্চয়ই সাধুবাদযোগ্য। কিন্তু, প্রশ্ন উঠে এতদিন ধরে বেআইনি কাজটা করলাম কেন?"
Conclusion:

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.