ETV Bharat / state

আধিকারিক পরিচয় দিয়ে মহিলার 10 হাজার টাকা হাতাল ব্যক্তি - kolkata

নিজেকে আধিকারিক পরিচয় দিয়ে এক মহিলার থেকে 10 হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিল এক ব্যক্তি । মহিলা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন । কলকাতা পৌরনিগমের তরফে জানানো হয়, আগেও ওই ব্যক্তি এরকম প্রতারণা করেছে ।

FRAUD CASE
author img

By

Published : Jun 4, 2019, 6:42 PM IST

Updated : Jun 4, 2019, 7:10 PM IST

কলকাতা, 4 জুন : আধিকারিক পরিচয় দিয়ে মহিলার থেকে টাকা আদায়ের ঘটনা ঘটল কলকাতার বেলেঘাটা বিল্ডিং মোড়ে । অভিযোগকারিণীর নাম সৌমিত্রি ভৌমিক । নিজেকে পৌরনিগমের কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে অতনু রায় নামে এক ব্যক্তি সৌমিত্রিদেবীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ।

বিল্ডিং মোড়ে সৌমিত্রিদেবীর বাবার একটি দোকান আছে । 2015 সালের মে'তে সৌমিত্রিদেবীর বাবা মারা যান । এরপরই দোকানের মালিকানার পরিবর্তন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয় । সৌমিত্রিদেবী জানান, দোকানের নাম পরিবর্তনের জটিলতার ফলে প্রায় দু'বছর ধরে ফুড ও ট্রেড লাইসেন্সের নির্ধারিত কর বাকি আছে । তিনি বলেন, "সেই প্রসঙ্গেই 7 মে অতনু রায় নামে এক ব্যক্তি নিজেকে খাদ্য বিভাগের আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে তাঁর দোকানে আসে । দোকানে এসে বলে, আমাদের আড়াই লাখ টাকা কর বকেয়া রয়েছে । এখনই যদি সেটা না দিই তবে পুলিশ ডাকা হবে ।"

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

সৌমিত্রিদেবী আরও বলেন, একসঙ্গে অত টাকা দিতে না চাইলে এই লেনদেন 13 হাজার টাকায় রফা হয় । তখন অভিযুক্ত অতনু রায় তাঁদের বলে যে এক্ষুনি যদি নগদ 10 হাজার টাকা না দেয় তবে সে পুলিশে খবর দেবে । ভয়ে সৌমিত্রিদেবী মোট 10000 টাকা ওই ভুয়ো পৌরকর্মীর হাতে তুলে দেন । এরপর অভিযুক্ত তাঁকে একটি ভুয়ো সার্টিফিকেটও দেয় বলে জানান সৌমিত্রিদেবী । ঘটনার পর তিন-চারদিন ফোনে যোগাযোগ রাখলেও তারপরে ফোন বন্ধ করে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সেই ভুয়ো পৌরকর্মী ।

এই ঘটনার পর সৌমিত্রিদেবী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । পরে কলকাতা পৌরনিগমে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, অতনু রায় নামে ওই ব্যক্তি প্রতারক । শুধু সৌমিত্রিদেবীরই নয়, এই প্রতারক অনেকের সঙ্গেই প্রতারণা করেছে বলে জানায় কলকাতা পৌরনিগম কর্তৃপক্ষ ।

কলকাতা, 4 জুন : আধিকারিক পরিচয় দিয়ে মহিলার থেকে টাকা আদায়ের ঘটনা ঘটল কলকাতার বেলেঘাটা বিল্ডিং মোড়ে । অভিযোগকারিণীর নাম সৌমিত্রি ভৌমিক । নিজেকে পৌরনিগমের কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে অতনু রায় নামে এক ব্যক্তি সৌমিত্রিদেবীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ।

বিল্ডিং মোড়ে সৌমিত্রিদেবীর বাবার একটি দোকান আছে । 2015 সালের মে'তে সৌমিত্রিদেবীর বাবা মারা যান । এরপরই দোকানের মালিকানার পরিবর্তন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয় । সৌমিত্রিদেবী জানান, দোকানের নাম পরিবর্তনের জটিলতার ফলে প্রায় দু'বছর ধরে ফুড ও ট্রেড লাইসেন্সের নির্ধারিত কর বাকি আছে । তিনি বলেন, "সেই প্রসঙ্গেই 7 মে অতনু রায় নামে এক ব্যক্তি নিজেকে খাদ্য বিভাগের আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে তাঁর দোকানে আসে । দোকানে এসে বলে, আমাদের আড়াই লাখ টাকা কর বকেয়া রয়েছে । এখনই যদি সেটা না দিই তবে পুলিশ ডাকা হবে ।"

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

সৌমিত্রিদেবী আরও বলেন, একসঙ্গে অত টাকা দিতে না চাইলে এই লেনদেন 13 হাজার টাকায় রফা হয় । তখন অভিযুক্ত অতনু রায় তাঁদের বলে যে এক্ষুনি যদি নগদ 10 হাজার টাকা না দেয় তবে সে পুলিশে খবর দেবে । ভয়ে সৌমিত্রিদেবী মোট 10000 টাকা ওই ভুয়ো পৌরকর্মীর হাতে তুলে দেন । এরপর অভিযুক্ত তাঁকে একটি ভুয়ো সার্টিফিকেটও দেয় বলে জানান সৌমিত্রিদেবী । ঘটনার পর তিন-চারদিন ফোনে যোগাযোগ রাখলেও তারপরে ফোন বন্ধ করে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সেই ভুয়ো পৌরকর্মী ।

এই ঘটনার পর সৌমিত্রিদেবী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । পরে কলকাতা পৌরনিগমে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, অতনু রায় নামে ওই ব্যক্তি প্রতারক । শুধু সৌমিত্রিদেবীরই নয়, এই প্রতারক অনেকের সঙ্গেই প্রতারণা করেছে বলে জানায় কলকাতা পৌরনিগম কর্তৃপক্ষ ।

Intro:পুরকর্মীর ভুয়ো পরিচয় দিয়ে টাকা নিয়ে চম্পট। ঘটনাটি ঘটেছে বেলেঘাটায় বিল্ডিং মোড়ে। গত 7 ই মে অনুপ রায় নামে এক ব্যক্তি ফুড ডিপার্টমেন্ট এর অফিস সেজে সৌমিত্রি ভৌমিক থেকে লাইসেন্সের কর আদায়ের নামে 10 হাজার টাকা নেয়। বিল্ডিং মোড়ে নিউ ইকনোমিক স্টোর এই দোকানটি সৌমিত্রি ভৌমিকের বাবার দোকান। 2015 সালের মে মাসে নির্মল চন্দ্র মজুমদার সৌমিত্র ভৌমিকের বাবা মারা যান। এরপরই দোকানের মালিকানার নাম পরিবর্তন নিয়ে তালবাহানা শুরু হয়।


Body:দোকানের নাম পরিবর্তন করা না হওয়ায় দু বছরের কর বাকি পড়েছে পুর নিগমে। সৌমিত্রি জানিয়েছেন ফুড লাইসেন্স কর ও ট্রেড লাইসেন্স কর নাম পরিবর্তনের জটিলতার ফলে দু'বছর বকেয়া পড়েছে। সেই সময় 7 মে এক জন ব্যক্তি নিজের নাম অনুপ রায় পুরকর্মী বলে পরিচয় দেন। দোকানে এসে বলে আপনাদের আড়াই লক্ষ টাকা কর বকেয়া জমা পড়েছে এক্ষুনি সেটা কা দিন না হলে পুলিশ ডাকা হবে। সৌমিত্র টাকা দিতে না চাইলে 13 হাজার টাকা রফা হয়। ভুয়ো পুরকর্মী অনুপ রায় সৌমিত্র ভৌমিক কে বলেন এক্ষুনি নগদ 10 হাজার টাকা না দিলে পুলিশে খবর দেবেন । ভয়ে ও দিকশুন্য হয়ে সৌমিত্রি ভৌমিক 10000 টাকা দেন ওই ভুয়ো পুর কর্মীকে। ফপ্র কর্মী অনুপ রায় ভুয়া সার্টিফিকেট দেন সৌমিত্র ভৌমিকে।


Conclusion:এরপর তিন চারদিন ফোনে যোগাযোগ রাখার পরে ফোন থেকে ফোন বন্ধ করে দেয় এই ভুয়ো পুরো কর্মী। সৌমিত্র জানিয়েছেন এরপর তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরেশ কলকাতা পৌর নিগমের খোঁজখবর নিয়ে জেনেছেন এই ব‍্যক্তি প্রতারক। এই ভুয়ো পরিচয় দিয়ে অনেকেরই টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে।
Last Updated : Jun 4, 2019, 7:10 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.