ETV Bharat / state

ভারতীয় সংবিধানে অনেক কিছুই আছে, যার প্রয়োজনীয়তা নেই : অরুণাভ ঘোষ

author img

By

Published : Nov 26, 2019, 8:40 PM IST

Updated : Nov 26, 2019, 9:26 PM IST

ভারতের সংবিধানের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার কথা বললেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ । বললেন, ভারতের সংবিধান অযাচিতভাবে বাড়ানো হয়েছে । এমন অনেক কিছু ধারা আছে যা সংবিধানে প্রয়োজনই ছিল না ।

ভারতের সংবিধান
ছবি

কলকাতা, 26 নভেম্বর : ভারতের সংবিধানের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে বলে মনে করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ । তাঁর কথায়, "আমাদের সংবিধান পৃথিবীর বৃহত্তম । এখানে এমন অনেক কিছু ধারা আছে যা সংবিধানে প্রয়োজনই ছিল না ।"

গণ পরিষদের সদস্যদের যে খসড়া সংবিধানে জমা পড়েছিল তাতে 7365 টি সংশোধনী প্রস্তাব রাখা হয়েছিল । তার মধ্যে গণ পরিষদের বৈঠকে যে 2473 টি সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি । অরুণাভ ঘোষের কথায়, "আমাদের সংবিধানে অনেক কিছুই আছে যেগুলির প্রয়োজন ছিল না । যেমন ধারা ৩০৯,৩১০,৩১১। এগুলিতে সরকারি চাকরির বিষয়ে বলা আছে । এগুলি নিয়ে অন্য স্ট্যাটিউট হতেই পারত । অথচ আমাদের সংবিধানে কোথাও বলা নেই ভোটাধিকারের কথা । ভারতের সংবিধান অযাচিতভাবে বাড়ানো হয়েছে । অ্যামেরিকার সংবিধান দেখলে বুঝতে পাবেন তা কতটা সংক্ষিপ্ত ।"

ভিডিয়োয় শুনুন অরুণাভ ঘোষের বক্তব্য

অরুণাভ ঘোষের বক্তব্য, "বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকায় মানুষ খুশি নন । আইনজীবীরা তো একেবারেই নন । অযোধ্যা মামলা হওয়া উচিত ছিল তিন বিচারকের বেঞ্চে ।" তাঁর প্রশ্ন, "কেন এটাকে পাঁচ বিচারকের বেঞ্চে পাঠানো হল? আর বিচারকরা শুধুমাত্র বিশ্বাসের উপরই রায় দিলেন । ওখানে কতগুলি স্ট্রাকচারাল ছিল দ্বাদশ শতাব্দীর । বাবরি মসজিদ তৈরি হয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে । সেগুলি কাদের স্ট্রাকচার সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি । এ ক্ষেত্রে যুক্তিটা ঠিক ছিল না ।"

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, "ধরে নিন যদি কলকাতায় কৃষ্ণ জন্ম নিয়েছিলেন, সেটা সল্টলেক না কি গড়িয়া না কি গড়িয়াহাট কে বলবে? শুধুমাত্র একটা বিশ্বাসের উপরে রায় দেওয়া হল । এখানে শুধুমাত্র আবেগ কাজ করেছে ।‌"

কলকাতা, 26 নভেম্বর : ভারতের সংবিধানের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে বলে মনে করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ । তাঁর কথায়, "আমাদের সংবিধান পৃথিবীর বৃহত্তম । এখানে এমন অনেক কিছু ধারা আছে যা সংবিধানে প্রয়োজনই ছিল না ।"

গণ পরিষদের সদস্যদের যে খসড়া সংবিধানে জমা পড়েছিল তাতে 7365 টি সংশোধনী প্রস্তাব রাখা হয়েছিল । তার মধ্যে গণ পরিষদের বৈঠকে যে 2473 টি সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি । অরুণাভ ঘোষের কথায়, "আমাদের সংবিধানে অনেক কিছুই আছে যেগুলির প্রয়োজন ছিল না । যেমন ধারা ৩০৯,৩১০,৩১১। এগুলিতে সরকারি চাকরির বিষয়ে বলা আছে । এগুলি নিয়ে অন্য স্ট্যাটিউট হতেই পারত । অথচ আমাদের সংবিধানে কোথাও বলা নেই ভোটাধিকারের কথা । ভারতের সংবিধান অযাচিতভাবে বাড়ানো হয়েছে । অ্যামেরিকার সংবিধান দেখলে বুঝতে পাবেন তা কতটা সংক্ষিপ্ত ।"

ভিডিয়োয় শুনুন অরুণাভ ঘোষের বক্তব্য

অরুণাভ ঘোষের বক্তব্য, "বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকায় মানুষ খুশি নন । আইনজীবীরা তো একেবারেই নন । অযোধ্যা মামলা হওয়া উচিত ছিল তিন বিচারকের বেঞ্চে ।" তাঁর প্রশ্ন, "কেন এটাকে পাঁচ বিচারকের বেঞ্চে পাঠানো হল? আর বিচারকরা শুধুমাত্র বিশ্বাসের উপরই রায় দিলেন । ওখানে কতগুলি স্ট্রাকচারাল ছিল দ্বাদশ শতাব্দীর । বাবরি মসজিদ তৈরি হয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে । সেগুলি কাদের স্ট্রাকচার সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি । এ ক্ষেত্রে যুক্তিটা ঠিক ছিল না ।"

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, "ধরে নিন যদি কলকাতায় কৃষ্ণ জন্ম নিয়েছিলেন, সেটা সল্টলেক না কি গড়িয়া না কি গড়িয়াহাট কে বলবে? শুধুমাত্র একটা বিশ্বাসের উপরে রায় দেওয়া হল । এখানে শুধুমাত্র আবেগ কাজ করেছে ।‌"

Intro:কলকাতা, 26 নভেম্বর: ভারতের সংবিধানের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছেন বলেই মনে করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ। তাঁর কথায়, “আমাদের সংবিধান পৃথিবীর বৃহত্তম। এখানে এমন অনেক কিছু আছে যা সংবিধানে প্রয়োজন ছিল না।" অর্থাৎ গণপরিষদের সদস্যদের খসড়া সংবিধানে যে জমা পড়েছিল 7365 টি সংশোধনী প্রস্তাব রাখা হয়েছিল এবং তার মধ্যে গণপরিষদের বৈঠকে যে 2473 টি সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি।Body:অরুণাভর কথায়, “ আমাদের সংবিধানে অনেক কিছুই আছে যেগুলোর প্রয়োজন ছিল না। যেমন আর্টিকেল ৩০৯,৩১০,৩১১। এগুলো সরকারি চাকরির বিষয় নিয়ে বলা আছে। এগুলো নিয়ে অন্য স্ট্যাটিউট হতেই পারত। অথচ আমাদের সংবিধানে কোথাও বলা নেই ভোটাধিকারের কথা। ভারতের সংবিধান অযাচিতভাবে বাড়ানো হয়েছে।অথচ আমেরিকার সংবিধানের যদি যান তাহলে দেখতে পারবেন এটা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত।"
Conclusion:অরুণাভর কথায় বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকায় মানুষ খুশি নয়। আইনজীবীরাতো একেবারেই নয়। অযোধ্যা মামলা হওয়া উচিত ছিল তিন বিচারকের বেঞ্চে। তাঁর প্রশ্ন “ কেন এটাকে পাঁচ বিচারকের বেঞ্চে পাঠানো হলো? আর বিচারকরা শুধুমাত্র বিশ্বাসের উপরেই রায় দিলেন। ওখানে কতগুলো স্ট্রাকচারাল গিয়েছিল দ্বাদশ শতাব্দীর। বাবরি মসজিদ তৈরি হয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে। সেগুলো কাঁদে স্ট্রাকচার সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি। এক্ষেত্রে যুক্তিটা ঠিক ছিল না। ধরে নিন যদি কলকাতায় কৃষ্ণ জন্ম নিয়েছিল, সেটা সটলেক নাকি গড়িয়া নাকি গড়িয়াহাট কে বলবে? শুধুমাত্র একটা বিশ্বাসের উপরে রায় দেওয়া হলো। এখানে শুধুমাত্র আবেগ কাজ করেছে ‌"

Last Updated : Nov 26, 2019, 9:26 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.