কলকাতা, 26 নভেম্বর : ভারতের সংবিধানের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে বলে মনে করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ । তাঁর কথায়, "আমাদের সংবিধান পৃথিবীর বৃহত্তম । এখানে এমন অনেক কিছু ধারা আছে যা সংবিধানে প্রয়োজনই ছিল না ।"
গণ পরিষদের সদস্যদের যে খসড়া সংবিধানে জমা পড়েছিল তাতে 7365 টি সংশোধনী প্রস্তাব রাখা হয়েছিল । তার মধ্যে গণ পরিষদের বৈঠকে যে 2473 টি সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি । অরুণাভ ঘোষের কথায়, "আমাদের সংবিধানে অনেক কিছুই আছে যেগুলির প্রয়োজন ছিল না । যেমন ধারা ৩০৯,৩১০,৩১১। এগুলিতে সরকারি চাকরির বিষয়ে বলা আছে । এগুলি নিয়ে অন্য স্ট্যাটিউট হতেই পারত । অথচ আমাদের সংবিধানে কোথাও বলা নেই ভোটাধিকারের কথা । ভারতের সংবিধান অযাচিতভাবে বাড়ানো হয়েছে । অ্যামেরিকার সংবিধান দেখলে বুঝতে পাবেন তা কতটা সংক্ষিপ্ত ।"
অরুণাভ ঘোষের বক্তব্য, "বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকায় মানুষ খুশি নন । আইনজীবীরা তো একেবারেই নন । অযোধ্যা মামলা হওয়া উচিত ছিল তিন বিচারকের বেঞ্চে ।" তাঁর প্রশ্ন, "কেন এটাকে পাঁচ বিচারকের বেঞ্চে পাঠানো হল? আর বিচারকরা শুধুমাত্র বিশ্বাসের উপরই রায় দিলেন । ওখানে কতগুলি স্ট্রাকচারাল ছিল দ্বাদশ শতাব্দীর । বাবরি মসজিদ তৈরি হয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে । সেগুলি কাদের স্ট্রাকচার সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি । এ ক্ষেত্রে যুক্তিটা ঠিক ছিল না ।"
এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, "ধরে নিন যদি কলকাতায় কৃষ্ণ জন্ম নিয়েছিলেন, সেটা সল্টলেক না কি গড়িয়া না কি গড়িয়াহাট কে বলবে? শুধুমাত্র একটা বিশ্বাসের উপরে রায় দেওয়া হল । এখানে শুধুমাত্র আবেগ কাজ করেছে ।"