কলকাতা, 9 মে : কোরোনা উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরে দেশের শ্রমজীবী মানুষের সমস্য়া, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সহ একাধিক ইশুতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি দিল সাতটি বামপন্থী দল । লকডাউনের জেরে শ্রমজীবী মানুষের বর্তমান অবস্থা, তাঁদের সামাজিক সুরক্ষা, অর্থনৈতিক সমস্য়া সহ নানা বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে এই চিঠিতে।
বিপন্ন শ্রমিকদের আয় সুনিশ্চিত করা ও সামাজিক সুরক্ষা আরও বেশি সক্রিয় করার জন্য আজ সাতটি দলের হয়ে চিঠি দিয়েছেন CPI(M)-র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, CPI-র সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, CPI(M-L)- র দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, RSP-র মনোজ ভট্টাচার্য, ফরওয়ার্ড ব্লকের দেবব্রত বিশ্বাস, RJD-র মনোজ ঝা প্রমুখ।
দেশের অর্থনীতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে চিঠিতে। বামপন্থী দলগুলির বক্তব্য, কোরোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক সংকটে পড়েছে দেশের শ্রমিক সমাজ । রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে "শ্রমিকদের উন্নয়নের জন্য কেবল ভাষণ ছাড়া আপনার সরকার কিছুই করে উঠতে পারেনি। প্রয়োজনে শ্রমিক আইন সংশোধন করা হোক । দেশজুড়ে লকডাউনে বিপর্যস্ত অর্থনীতি। এখনই হাল ফেরাতে না পারলে সমূহ বিপদ। শ্রমিকদের কাজের সময় 8 ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে 12 ঘণ্টা করা যাবে না। ইতিমধ্যে গুজরাত, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান এবং পঞ্জাবে এই আইন কার্যকর করতে চায় দেশের সরকার । ফ্যাক্টরি আইনের সংশোধনী না এনেই এই আইন কার্যকর করা যাবে না । উত্তরপ্রদেশের রাজ্য সরকার রাজ্যের শ্রমিকদের সঙ্গে যথাযথ ব্যবহার করছে।"
দেশের প্রায় 15 কোটি বেকারের কর্মসংস্থানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, তা নিয়েও রাষ্ট্রপতির পরামর্শ জানতে চেয়েছে সাতটি রাজনৈতিক দল। শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। গণবণ্টন ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার সব ধরনের সুবিধা যাতে শ্রমিক শ্রেণী পায় সেজন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। বামপন্থী দলগুলির দাবি, গরিব মানুষের পেটে ভাত এবং হাতে কাজের ব্যবস্থা করতে হবে দেশের সরকারকে। শ্রমিক শ্রেণীর হাতে এবং দেশের গরিব মানুষের হাতে আরও বেশি অর্থের যোগানের ব্যবস্থা করতে হবে ।