কলকাতা, 1 জুলাই: রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি থাকছে রাজ্যের পুলিশও ৷ যে সংখ্যক বাহিনী কেন্দ্রের থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন চেয়েছিল, তা তারা পায়নি বলেই জানিয়েছেন কমিশনার ৷ যার জেরে প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি ভোটে মোতায়েন থাকবে রাজ্যের পুলিশও ৷
ইতিমধ্যেই 485 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ কিন্তু সেই সংখ্যক বাহিনী এখনও মঞ্জুর করেনি কেন্দ্র ৷ এখনও পর্যন্ত 315 কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়েছে রাজ্যে ৷ আর তার জেরেই কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, যে সংখ্যক বাহিনী কেন্দ্রের তরফে এসেছে রাজ্যে, তাতে প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সম্ভব নয় ৷ বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে ইতিমধ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর সঙ্গেই, কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের প্রায় 65 হাজার পুলিশ বাহিনী পঞ্চায়েত ভোটে ব্যবহার করা যেতে পারে। শনিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে একপ্রস্থ বৈঠক করেন ৷ এরপরই রাজ্য সরকারের তরফে কমিশনকে জানানো হয়েছে তারা প্রয়োজনে রাজ্যের পুলিশ বাহিনী ব্যবহার করতে পারবে।
আরও পড়ুন: ঠুঁটো-জগন্নাথ ! নির্বাচন পরিচালনার কাজে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার না-করার বিজ্ঞপ্তি জারি কমিশনের
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের 20 হাজার ফোর্সের মধ্যে 15 হাজার বাহিনী দেওয়া যেতে পারে বলেও রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে কমিশনকে। অর্থাৎ, কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে এক হাজার 137 কোম্পানি বাহিনী থাকতে পারে পঞ্চায়েত ভোটে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে রাজ্য পুলিশ ব্যবহার করা হতে পারে তার ইঙ্গিত অবশ্য আগেই দিয়েছিল কমিশন। এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহার সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের বৈঠকের পর রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশকে ব্যবহার করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
সূত্রের খবর, যে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে প্রায় 15 হাজার কলকাতা পুলিশকেও ব্যবহার করবে কমিশন ৷ তবে এই বিষয়ে আগে কলকাতা হাইকোর্ট সংশয় প্রকাশ করেছিল ৷ কলকাতা পুলিশকে পঞ্চায়েত ভোটের কাজে ব্যবহার করলে কলকাতার আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন খোদ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ৷ এবার কোন পথে এগোবে কমিশন এবং রাজ্য, সেদিকেই তাকিয়ে সব মহল ৷
অন্যদিকে, 337 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে রাজ্যে। কিন্তু বাকি যে সংখ্যক কোম্পানি চাওয়া হয়েছিল কমিশনের তরফে আদৌ আসবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আরও গভীর হচ্ছে। তবে আগামী সোমবার আদালতে এই নিয়ে ফের শুনানি রয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তর সম্ভবত আগামী সোমবার মিলতে পারে।