ETV Bharat / state

লকডাউন কেড়েছে ছেলের নির্দিষ্ট রোজকার, আত্মঘাতী প্রৌঢ়া

লকডাউনের আগে পর্যন্ত ছেলের নির্দিষ্ট রোজগার ছিল । কিন্তু লকডাউনে কাজ হারান ওই যুবক । তারপর থেকে একটি বেসরকারি সিকিউরিটি সংস্থা কাজ শুরু করেছিলেন তিনি । বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন শুরু করে প্রতিবেশীরা । সেটা নিয়ে মানসিক অশান্তি চলছিল প্রৌঢ়ার ।

author img

By

Published : Nov 11, 2020, 5:39 AM IST

old lady committed suicide in Kolkata
প্রতীকী ছবি

কলকাতা, 11 নভেম্বর : লকডাউনের জের । ছেলের নির্দিষ্ট রোজকার কেড়ে নিয়েছে কোরোনা কাল । ছেলে এখন অনিয়মিতভাবে করছে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ । সেটা নিয়ে প্রতিবেশীদের মধ্যে যথেষ্ট গুঞ্জন ছড়িয়ে ছিল । খবর কানে আসে মায়ের । তৈরি হয়েছিল মানসিক অবসাদ । এরপর গতকাল দুপুরে উদ্ধার মায়ের ঝুলন্ত দেহ । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা করেছেন ওই মহিলা ।

নেতাজি নগর থানা এলাকার নাকতলায় তিনতলা বাড়ি রয়েছে মালতি বসুর । বয়স 58 বছর । স্বামী অমলেন্দু বসু প্রয়াত হয়েছেন আগেই । তিনি এখন থাকেন ছেলে এবং পুত্রবধূর সঙ্গে । মালতিদেবী থাকতেন তিনতলায় । ছেলে আর পুত্রবধূ থাকেন দোতলায় । একতলায় কয়েকটি দোকান ঘর ভাড়া দেওয়া রয়েছে । বছর দুয়েক আগে বিয়ে হয় ছেলের । একটা সময় পরিবারে স্বচ্ছলতা ছিল যথেষ্টই । লকডাউনের আগে পর্যন্ত ছেলের নির্দিষ্ট রোজগার ছিল । কিন্তু লকডাউনে কাজ হারান ওই যুবক । তারপর থেকে একটি বেসরকারি সিকিউরিটি সংস্থা কাজ শুরু করেছিলেন তিনি । বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন শুরু করে প্রতিবেশীরা । সেটা নিয়ে মানসিক অশান্তি চলছিল প্রৌঢ়ার ।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমবার বারোটার দশ নাগাদ ছেলে এবং পুত্রবধূর সঙ্গে রাতের খাবার খেয়েছিলেন মালতিদেবী । তারপরে নিজের ঘরে শুতে যান। গতকাল সকাল 11 টা নাগাদ পুত্রবধূ তিনতলার ঘরে চা দিতে যায় । দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল । বারবার ডেকেও সাড়া না পেয়ে তিনি স্বামীকে ডাকেন । চিৎকার-চেঁচামেচিতে তখন চলে এসেছে প্রতিবেশীরাও ।

দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন মালতিদেবী । তাঁর ছেলে আত্মীয়দের খবর দেন । আত্মীয়রা পুরো বিষয়টি জানায় নেতাজি নগর থানায় । পুলিশ গিয়ে প্রৌঢ়ার দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় বাঘাযতীন স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে । সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । পুলিশ দেহের ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করেছে । প্রাথমিকভাবে বৃদ্ধার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

কলকাতা, 11 নভেম্বর : লকডাউনের জের । ছেলের নির্দিষ্ট রোজকার কেড়ে নিয়েছে কোরোনা কাল । ছেলে এখন অনিয়মিতভাবে করছে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ । সেটা নিয়ে প্রতিবেশীদের মধ্যে যথেষ্ট গুঞ্জন ছড়িয়ে ছিল । খবর কানে আসে মায়ের । তৈরি হয়েছিল মানসিক অবসাদ । এরপর গতকাল দুপুরে উদ্ধার মায়ের ঝুলন্ত দেহ । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা করেছেন ওই মহিলা ।

নেতাজি নগর থানা এলাকার নাকতলায় তিনতলা বাড়ি রয়েছে মালতি বসুর । বয়স 58 বছর । স্বামী অমলেন্দু বসু প্রয়াত হয়েছেন আগেই । তিনি এখন থাকেন ছেলে এবং পুত্রবধূর সঙ্গে । মালতিদেবী থাকতেন তিনতলায় । ছেলে আর পুত্রবধূ থাকেন দোতলায় । একতলায় কয়েকটি দোকান ঘর ভাড়া দেওয়া রয়েছে । বছর দুয়েক আগে বিয়ে হয় ছেলের । একটা সময় পরিবারে স্বচ্ছলতা ছিল যথেষ্টই । লকডাউনের আগে পর্যন্ত ছেলের নির্দিষ্ট রোজগার ছিল । কিন্তু লকডাউনে কাজ হারান ওই যুবক । তারপর থেকে একটি বেসরকারি সিকিউরিটি সংস্থা কাজ শুরু করেছিলেন তিনি । বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন শুরু করে প্রতিবেশীরা । সেটা নিয়ে মানসিক অশান্তি চলছিল প্রৌঢ়ার ।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমবার বারোটার দশ নাগাদ ছেলে এবং পুত্রবধূর সঙ্গে রাতের খাবার খেয়েছিলেন মালতিদেবী । তারপরে নিজের ঘরে শুতে যান। গতকাল সকাল 11 টা নাগাদ পুত্রবধূ তিনতলার ঘরে চা দিতে যায় । দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল । বারবার ডেকেও সাড়া না পেয়ে তিনি স্বামীকে ডাকেন । চিৎকার-চেঁচামেচিতে তখন চলে এসেছে প্রতিবেশীরাও ।

দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন মালতিদেবী । তাঁর ছেলে আত্মীয়দের খবর দেন । আত্মীয়রা পুরো বিষয়টি জানায় নেতাজি নগর থানায় । পুলিশ গিয়ে প্রৌঢ়ার দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় বাঘাযতীন স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে । সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । পুলিশ দেহের ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করেছে । প্রাথমিকভাবে বৃদ্ধার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.