কলকাতা, 14 জুলাই: পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে 350 কোটি টাকা ৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে সেই বিল গেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে ৷ এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ রাজ্য সরকারকে বহন করতে হবে না বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট ৷ সেই অনুযায়ী যা খরচ হয়েছে তার হিসাব কেন্দ্রকে পাঠানো হল ৷
এমনিতেই অতীতের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ বাবদ কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের বকেয়া এক হাজার 852 কোটি টাকা। নবান্নের তরফে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী না চাওয়া হলেও, লোকসভা বা বিধানসভা ভোটে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দৌলতে এই বকেয়া বইতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে রাজ্যে, তার জন্য অবশ্য কোনও অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে না রাজ্যকে। আদালতের নির্দেশে বাহিনীর জন্য এই অর্থ সম্পূর্ণ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার ৷
ভোটের আগে থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত সবমিলিয়ে মোট 700 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে রাজ্যে ৷ আদালতের নির্দেশে ভোটের পর আরও 10 দিন রাজ্যে থাকার কথা এই বাহিনীর ৷ আগেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাহিনীর যাবতীয় খরচ কেন্দ্রকেই বহন করতে হবে। কিন্তু তারপরও এই মুহূর্তে রাজ্যে থাকা বাহিনীর জন্য রাজ্যকেই খরচ করতে হচ্ছে। এখন রাজ্যে যে 700 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে তার জন্য থাকা-খাওয়া, গাড়ি-সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হয়েছে রাজ্যকে। এর সম্পূর্ণ খরচ বহন করছে রাজ্য সরকারই।
এবার সেই খরচের হিসেব কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হল। যাতে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে খরচ করা অর্থ ফিরিয়ে দেয়। জানা গিয়েছে, বাহিনীর খরচ বাবদ কেন্দ্রকে যে বিল পাঠানো হয়েছে রাজ্যের তরফে তার পরিমাণ 350 কোটি টাকা। এই বিল ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে কাছে পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এখানেই শেষ নয়, যেহেতু নির্বাচন পরবর্তী সময় আরও 10 দিন রাজ্যে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, তাই এই বিল যে আরও কিছুটা বাড়তে পারে, তাও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে ভোটের হিংসার বলি আরও এক, এনআরএসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
এক্ষেত্রে তারা ফেরত গেলে তাদের ফেরৎ যাওয়ার যে খরচ হবে রাজ্যের, তাও কেন্দ্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, 700 কোম্পানি বাহিনীর প্রত্যেক কোম্পানিতে রয়েছেন কম-বেশি 100 জন জওয়ান। এই 70 হাজার জওয়ানের থাকা খাওয়ার ঝক্কি কোনও অংশে কম নয়। এই অবস্থায় দেখার রাজ্যের পাঠানো এই খরচের তালিকা থেকে কেন্দ্র কত তাড়াতাড়ি অর্থ রাজ্যে পাঠায়।