কলকাতা, 8 সেপ্টেম্বর : বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) 3 বহিষ্কৃত ছাত্রছাত্রীকে (Suspended Students) অবিলম্বে ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়ার অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বাইরের সমস্ত আন্দোলনও অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বক্তব্য, তিন বছরের জন্য সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত বড্ড বাড়াবাড়ি ৷ এটা লঘু পাপে গুরুদণ্ড ৷ সাত দিনের মধ্যে বহিষ্কৃত 3 ছাত্রছাত্রীকে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করতে বলা হয়েছে, সেই আবেদন বিচার করবে আদালত । এক সপ্তাহ পর ফের শুনানি এই মামলার ।
আজ মামলার শুনানিতে শুরুতেই বহিষ্কৃত অধ্যাপকদের পক্ষে আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ এই মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন জানান ৷ পাশাপাশি তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য আসার পর ছাত্র-শিক্ষক মিলিয়ে অন্যায় ভাবে অন্তত 79 জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে । শিক্ষকদের পচা আলুর বস্তা বলেছেন এই উপাচার্য । বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের নিয়োগ করে কমিটি তৈরি করুক ।
অন্যদিকে তিন বহিষ্কৃত ছাত্রের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বহিষ্কৃত ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে তেমন কোনও গুরুতর অভিযোগ নেই ৷ তা সত্ত্বেও তাঁদের কী করে বিতাড়িত করা হল তিন বছরের জন্য ? অবিলম্বে ওই ছাত্রছাত্রীদের ফেরানো হোক বিশ্ববিদ্যালয়ে ।
আরও পড়ুন: Malda : দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজ্যকে এফআইআরের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আইনজীবী সৌম্য মজুমদার আবার বলেন, উপাচার্যের গাড়ি ছাত্রছাত্রীরা দাঁড় করিয়েছে । চালককে গাড়ি থেকে নামানো হয়েছে ।
এ গুলো কী ধরনের আন্দোলন ? ছাত্রছাত্রীদের নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত রিভিউ করার জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছিল, তারা তা করেনি । পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আন্দোলন চলছে, ব্যবসায়ী সমিতির লোকজন ও বাইরের লোকজন এসে সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ ফেসবুক-ইউ টিউবের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা কুৎসা প্রচার করছে । এ গুলো অবিলম্বে বন্ধ করা হোক ।
আরও পড়ুন : School Service Commission: স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর কোনও ভরসা নেই, ক্ষোভে মামলা থেকে সরলেন বিচারপতি
এরপরই বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আপাতত স্থগিত করা হচ্ছে ৷ এই সিদ্ধান্ত বড্ড বাড়াবাড়ি হয়েছে বলে আদালতের অভিমত ৷ অবিলম্বে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি । তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ও ভেতরে যে আন্দোলন চলছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । তিন ছাত্রকে অবিলম্বে আদালতে আবেদন করতে বলা হয়েছে ৷ সাত দিন পরে ফের শুনানি এই মামলার । আদালত খতিয়ে দেখবে ওই ছাত্রছাত্রীরা কী অপরাধ করেছিল ৷
আরও পড়ুন: মৌসুনি দ্বীপে কংক্রিটের বাঁধ তৈরির দাবিতে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে