কলকাতা, 7 ডিসেম্বর: উদ্ধার হল লুপ্তপ্রায় জিওচেলান এলিগানস প্রজাতির 296টি ভারতীয় কচ্ছপ ৷ এই কচ্ছপ উদ্ধারের ঘটনায় এক বাংলাদেশিকে আটক করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। 3টি ব্যাগে ভরে ওই কচ্ছপগুলি ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিএসএফ। বুধবার দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটা থানার ডোবারপাড়ার এলাকায় উদ্ধার হয় কচ্ছপগুলি। ধৃত ব্যক্তিকে গাইঘাটা থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলো বন দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে বিএসএফ সূত্রে খবর।
বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, গোপনসূত্রে খবর পেয়েই অভিযান চালায় বিএসএফ ৷ এর আগেই বন্যপ্রাণী পাচার রোধে সন্দেহভাজন এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। এদিন বিএসএফ জওয়ানদের নজরদারির সময় বেশ কয়েকজনের গতিবিধি সন্দেহজনক বলে মনে হয় ৷ আর তাতেই রফিকুল শেখ নামে বাংলাদেশের যশোর জেলার আবাইবাস গ্রামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তিনটি কাপড়ের ব্যাগে 296টি কচ্ছপ নিয়ে যাচ্ছিল ৷
জিজ্ঞাসাবাদে, ধৃত জানায় গতকাল তার বাংলাদেশি এক বন্ধু জাকির হোসেনের নির্দেশে অবৈধভাবে বাংলাদেশের থেকে ভারতে আসছিল । তারপরই তিনি ভারতীয় ভূখণ্ডের সুপারি বাগানের কাছে এক ভারতীয় চোরাকারবারীর কাছ থেকে 296টি কচ্ছপের 3টি ব্যাগ দেয়। 2 হাজার টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশি জাকির হোসেনের কাছে কচ্ছপগুলি পৌঁছ দেওয়ার রফা হয় ৷ চোরাচালানের জন্য এই তিন ব্যাগ কচ্ছপ নিয়ে নদী পার হওয়ার চেষ্টা করার সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত রফিকুল শেখ ।
দক্ষিণবঙ্গ বিএসএফের জনসংযোগ আধিকারিক ডিআইজি একে আর্য্য বলেন, "বিএসএফ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে । ফলে এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা নানা সমস্যায় পড়েন । অফিসার জানান যে, চোরাচালানকারীদের আটকাতে এবং বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির উদ্ধারে বিএসএফের ভূমিকা কেবল সীমান্ত নিরাপত্তা নয় ৷ এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও তাদের ভূমিকা তুলে ধরে । বিপন্ন প্রজাতির সুরক্ষা এবং সীমান্ত অঞ্চলের অখণ্ডতা নিশ্চিত করা।"
আরও পড়ুন: