ETV Bharat / state

SSC Group D Recruitment Scam: ওএমআর শিটে কারচুপি প্রমাণিত ! চাকরি গেল 2 হাজার 820 জনের

কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশে চাকরি গেল 2 হাজার 820 জনের ৷ এঁরা সকলেই ওএমআর শিটে কারচুপি করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী (SSC Group D Recruitment Scam) হিসাবে চাকরি পেয়েছিলেন ৷

2820 people lost their jobs due to OMR Sheet Manipulation in SSC Group D Recruitment Scam
ফাইল ছবি
author img

By

Published : Feb 9, 2023, 5:14 PM IST

Updated : Feb 9, 2023, 5:35 PM IST

দুর্নীতির প্রমাণ মেলাতেই পদক্ষেপের নির্দেশ আদালতের

কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি: স্কুল সার্ভিস কমিশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি (SSC Group D Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলার জেরে চাকরি খোয়ালেন 2 হাজার 820 জন ৷ বৃহস্পতিবার এই মামলায় সংশ্লিষ্ট 2 হাজার 820 জনের চাকরি বাতিল করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) ৷ তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, শুক্রবার দুপুর 12টার মধ্যেই এই 2 হাজার 820 জনের চাকরি বাতিল করতে হবে কমিশনকে ৷ বদলে যে শূন্যপদ তৈরি হবে, তাতে যোগ্যদের চাকরি দিতে হবে ৷ এই প্রসঙ্গে এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, 2 হাজার 819 জনের ওএমআর শিটে যে কারচুপি করা হয়েছিল, তা স্বীকার করে নিয়েছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ ৷ পরে এই তালিকায় আর একজন চাকরিপ্রার্থীর নাম যুক্ত হয় ৷ বৃহস্পতিবার সব মিলিয়ে সেই 2 হাজার 820 জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৷

আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ-মানিক যোগসাজশের একাধিক তথ্য আদালতে পেশ করল ইডি

এদিনের শুনানির পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিল ফিরদৌস শামিম ৷ তিনি জানান, "এদিন এসএসসি আদালতে একটি হলফনামা জমা দিয়েছে ৷ তাতে তারা জানিয়েছে, গ্রুপ ডি-তে নিয়োগের ক্ষেত্রে সিবিআই প্রথমে 2 হাজার 819 জনের ওএমআর শিটে কারচুপি রয়েছে বলে আদালতে দাবি করেছিল ৷ পরবর্তীতে আরও একজনের নাম সেই তালিকায় যুক্ত হয় ৷ এসএসসি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে এবং কারচুপির প্রমাণ তারাও পেয়েছে ৷ এসএসসি আরও জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে মোট শূন্যপদ ছিল 3 হাজার 956টি ৷ এর মধ্য়ে 3 হাজার 880টি শূন্যপদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয় ৷ সেই 3 হাজার 880টির মধ্যে 2 হাজার 820টিতেই কারচুপির প্রমাণ মিলেছে ! এদিকে, এখনও ওয়েটিং লিস্টে যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন 6 হাজার 988 জন ৷ বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, শুক্রবার আবার এসএসসিকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে ৷ তাতে তাদের জানাতে হবে, অযোগ্য 2 হাজার 820 জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে ৷ এবং সেই খালি পদে ওয়েটিং লিস্ট থেকে যোগ্য প্রার্থীদের জন্য চাকরির সুপারিশ করা হয়েছে ৷ শুক্রবারের মধ্যেই এই গোটা প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে হবে ৷"

এদিন আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন স্কুল সার্ভিস কমিশন তাদের হলফনামায় বলে, "সিবিআই তদন্তে 2 হাজার 819 জনের (পরে আরও একজন যুক্ত হন এই তালিকায়) ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে বলে জানা যায় ৷ আমরাও তা খতিয়ে দেখেছি ৷ কারচুপি যে হয়েছে, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ৷"

একথা শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "আপনারাই যখন বলছেন, এই বিষয়ে কারচুপি নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, তাহলে তো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আপনাদেরই করতে হবে ৷ প্রথমে আলাদাভাবে ওই প্রার্থীদের নাম ফের প্রকাশ করুন ৷ এসএসসির ওয়েবসাইটে ওই প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করতে হবে ৷ তারপর তাঁদের নিয়োগ বাতিল করুন ৷ আর এই পুরো কাজটি আপনাদের আগামী 24 ঘণ্টার মধ্যেই সারতে হবে ৷" এদিনের মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, "বেআইনি নিয়োগের পিছনে কোন অদৃশ্য হাত রয়েছে, এবার তা দেখার পালা !"

দুর্নীতির প্রমাণ মেলাতেই পদক্ষেপের নির্দেশ আদালতের

কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি: স্কুল সার্ভিস কমিশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি (SSC Group D Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলার জেরে চাকরি খোয়ালেন 2 হাজার 820 জন ৷ বৃহস্পতিবার এই মামলায় সংশ্লিষ্ট 2 হাজার 820 জনের চাকরি বাতিল করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) ৷ তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, শুক্রবার দুপুর 12টার মধ্যেই এই 2 হাজার 820 জনের চাকরি বাতিল করতে হবে কমিশনকে ৷ বদলে যে শূন্যপদ তৈরি হবে, তাতে যোগ্যদের চাকরি দিতে হবে ৷ এই প্রসঙ্গে এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, 2 হাজার 819 জনের ওএমআর শিটে যে কারচুপি করা হয়েছিল, তা স্বীকার করে নিয়েছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ ৷ পরে এই তালিকায় আর একজন চাকরিপ্রার্থীর নাম যুক্ত হয় ৷ বৃহস্পতিবার সব মিলিয়ে সেই 2 হাজার 820 জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৷

আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ-মানিক যোগসাজশের একাধিক তথ্য আদালতে পেশ করল ইডি

এদিনের শুনানির পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিল ফিরদৌস শামিম ৷ তিনি জানান, "এদিন এসএসসি আদালতে একটি হলফনামা জমা দিয়েছে ৷ তাতে তারা জানিয়েছে, গ্রুপ ডি-তে নিয়োগের ক্ষেত্রে সিবিআই প্রথমে 2 হাজার 819 জনের ওএমআর শিটে কারচুপি রয়েছে বলে আদালতে দাবি করেছিল ৷ পরবর্তীতে আরও একজনের নাম সেই তালিকায় যুক্ত হয় ৷ এসএসসি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে এবং কারচুপির প্রমাণ তারাও পেয়েছে ৷ এসএসসি আরও জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে মোট শূন্যপদ ছিল 3 হাজার 956টি ৷ এর মধ্য়ে 3 হাজার 880টি শূন্যপদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয় ৷ সেই 3 হাজার 880টির মধ্যে 2 হাজার 820টিতেই কারচুপির প্রমাণ মিলেছে ! এদিকে, এখনও ওয়েটিং লিস্টে যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন 6 হাজার 988 জন ৷ বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, শুক্রবার আবার এসএসসিকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে ৷ তাতে তাদের জানাতে হবে, অযোগ্য 2 হাজার 820 জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে ৷ এবং সেই খালি পদে ওয়েটিং লিস্ট থেকে যোগ্য প্রার্থীদের জন্য চাকরির সুপারিশ করা হয়েছে ৷ শুক্রবারের মধ্যেই এই গোটা প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে হবে ৷"

এদিন আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন স্কুল সার্ভিস কমিশন তাদের হলফনামায় বলে, "সিবিআই তদন্তে 2 হাজার 819 জনের (পরে আরও একজন যুক্ত হন এই তালিকায়) ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে বলে জানা যায় ৷ আমরাও তা খতিয়ে দেখেছি ৷ কারচুপি যে হয়েছে, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ৷"

একথা শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "আপনারাই যখন বলছেন, এই বিষয়ে কারচুপি নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, তাহলে তো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আপনাদেরই করতে হবে ৷ প্রথমে আলাদাভাবে ওই প্রার্থীদের নাম ফের প্রকাশ করুন ৷ এসএসসির ওয়েবসাইটে ওই প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করতে হবে ৷ তারপর তাঁদের নিয়োগ বাতিল করুন ৷ আর এই পুরো কাজটি আপনাদের আগামী 24 ঘণ্টার মধ্যেই সারতে হবে ৷" এদিনের মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, "বেআইনি নিয়োগের পিছনে কোন অদৃশ্য হাত রয়েছে, এবার তা দেখার পালা !"

Last Updated : Feb 9, 2023, 5:35 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.