কলকাতা, 4 জানুয়ারি: প্রাথমিক শিক্ষকের (Primary Teacher) পদ হারাতে হল অন্তত 200 জনকে ৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলার জেরে চাকরি খোয়ালেন ওই 200 জন ৷ উল্লেখ্য, এই 200 (অন্তত) জনের মধ্যে 53 জনের চাকরি আগেই বাতিল করা হয়েছিল ৷ বুধবার সংশ্লিষ্ট মামলায় আরও প্রায় 150 জনের নিয়োগ বাতিল করে দেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) ৷
প্রসঙ্গত, চাকরি বাতিলের এই প্রক্রিয়া শুরু হয় বেশ কিছু দিন আগে ৷ বেআইনি নিয়োগ প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় ৷ কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্টের সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন চাকরিহারারা ৷ বস্তুত, সংশ্লিষ্ট রায়ে মোট 268 জনের চাকরি বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় ৷ পরবর্তীতে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, চাকরিহারাদের বক্তব্য শুনতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে ৷ তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে ৷ তারপরই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে ৷
আরও পড়ুন: ছাত্রদের থেকে টাকা নিয়ে রসিদ দিতেন না মানিক, সিবিআইকে জানালেন তাপস
এরপর ওই 268 জনের মধ্যে অধিকাংশই কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেন ৷ সেই হলফনামা খতিয়ে দেখার পর এর আগে 53 জনের চাকরি ফের বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৷ বুধবার একই মামলায় আরও অন্তত 150 জনের চাকরি বাতিল করা হয় ৷ সব মিলিয়ে সংখ্য়াটা অন্তত 200 ৷
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলায় আরও বেশ কিছু আবেদনকারীর বক্তব্য শোনা বাকি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ৷ বৃহস্পতিবার তাঁদের হলফনামা খতিয়ে দেখবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৷ অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই যাঁদের চাকরি বাতিল করা হল, তাঁরা কেউ আর স্কুলে ঢুকতে পারবেন না ৷ শিক্ষক হিসাবে কোনও বেতনও গ্রহণ করতে পারবেন না তাঁরা ৷ এই বিষয়ে একেবারে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷
তবে, এসবের মধ্যেই সুখবর পেয়েছেন দুই মামলাকারী ৷ এঁরা হলেন অরুণ কারক এবং প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য ৷ তাঁদের হলফনামা খতিয়ে দেখার পর দু' জনকেই চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৷ পাশাপাশি, আর এক মামলাকারী জয়ন্ত বারুইয়ের মামলা আগামী 11 জানুয়ারি শুনবেন বিচারপতি ৷ কারণ, আদালতে জয়ন্ত দাবি করেছেন, কোনও বেআইনি পথে চাকরি আদায় করেননি তিনি ৷ তাঁর সেই দাবিই আগামী 11 জানুয়ারি আদালত খতিয়ে দেখবে ৷