কলকাতা, 13 অক্টোবর : 14 মাসের এক শিশুর মৃত্যুতে চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ উঠল SSKM হাসপাতালের বিরুদ্ধে । অভিযোগ , টানা ছয়দিন অপেক্ষা করার পরও তাকে ভরতি নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । ফলে চিকিৎসা না পেয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে । যদিও, SSKM হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার ভোরে শিশুটিকে SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । তাকে ভরতিও নেওয়া হয় । তবে ব্রেন টিউমার থাকায় তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি ।
14 মাস বয়সি শিশুটি পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা । কয়েক মাস ধরে তার শিরদাঁড়ার উপর একটি টিউমার বড় হচ্ছিল । জরুরি ভিত্তিতে এই টিউমারে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন দেখা দেয় । এর জন্য পাঁচ অক্টোবর তাকে প্রথমে নিয়ে আসা হয় কলকাতার চিত্তরঞ্জন শিশু সদনে । তবে, হাজরা মোড়ের কাছে অবস্থিত সরকারি এই হাসপাতাল থেকে তাকে পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের সুবিধা যুক্ত NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয় । NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা শিশুটিকে পরীক্ষা করে দেখার পরে জানান , এই শিশুর টিউমারের সঙ্গে নিউরোসার্জারি বিভাগের সম্পর্ক রয়েছে । এর জন্য SSKM হাসপাতালে শিশুর অস্ত্রোপচার হওয়া উচিত ।
পরিবারের বক্তব্য, ওই দিনই তারা শিশুকে SSKM হাসপাতালে নিয়ে যায় । SSKM হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই শিশুকে ভরতি করানোর জন্য লিখে দেন । শিশুর MRI করানোর কথাও বলেন তাঁরা । গত মঙ্গলবার অর্থাৎ 6 অক্টোবর তার MRI করানো হয় । কিন্তু পরিজনদের অভিযোগ, শিশুকে SSKM হাসপাতালে ভরতি করানো সম্ভব হয়নি । সেই থেকে তাঁরা SSKM হাসপাতালের এমারজেন্সির কাছেই ছিলেন। গতকাল এই শিশুর মৃত্যু হয় । শিশুর মৃত্যুর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিজনরা । বিনা চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ জানাতে থাকেন । অভিযোগ উঠেছে, SSKM হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগের কাছে ছয় দিন ধরে তাঁরা অপেক্ষায় থাকলেও শিশুটিকে ভরতি নেয়নি হাসপাতাল । তাই তার চিকিৎসা মেলেনি । হাসপাতালে ভরতি না হতে পারায় তার টিউমারে অস্ত্রোপচার করাও সম্ভব হয়নি ।
শিশুর পরিজনদের তরফে অভিযোগ উঠেছে, সপ্তাহখানেক ধরে SSKM হাসপাতাল চত্বরে তাঁরা থাকলেও শিশুর চিকিৎসা মেলেনি । এদিকে, সপ্তাহখানেক ধরে বিভিন্ন মানুষের কাছে তাঁরা সাহায্য চাইলেও, তা পাননি ।
যদিও, শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় SSKM হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার ভোরে তাকে প্রথম এই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল । ওইদিন তাকে ভরতিও নেওয়া হয় । তবে, শিশুটির ব্রেন টিউমার ছিল । তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি ।