সল্টলেক, 24 নভেম্বর: সল্টলেকের এডি ব্লকে স্পা কর্মী মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার মালিক রজত হালদারকে 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত ৷ আজ অভিযুক্ত স্পা মালিককে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল ৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় স্পায়ের ভিতর থেকে ৷ সেই ঘটনায় মহিলার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্পায়ের মালিক রজত হালদারকে গ্রেফতার করেছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, স্পায়ের ভিতরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ ওই সময় স্পায়ে কারা এসেছিলেন, কারা বেরিয়েছেন ? ঘটনার সময় কারা উপস্থিত ছিলেন ? স্পায়ের ভিতরে কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছিল কিনা, এমন নানান বিষয়ে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা ৷ সেই সঙ্গে স্পায়ের অন্যান্য কর্মী এবং সেখানকার গ্রাহকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে ৷ জানা গিয়েছে, গতকাল ঘটনার আগে মৃত মাধবী মণ্ডলের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল কিনা, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷
দক্ষিণ 24 পরগনার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা মাধবী মণ্ডল এফডি ব্লকের ওই আয়ুর্বেদিক স্পাতে কাজ করতেন ৷ অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারও সকালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি ৷ কিন্তু, দুপুরে মহিলার স্বামী মুরারী মণ্ডলের কাছে স্পা মালিক রজত হালদারের ফোন আসে ৷ তিনি জানান, মাধবী মণ্ডল অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাঁকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছে ৷ মুরারী দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছান ৷ সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে ৷ এমনকি তাঁর স্ত্রীর দেহের অবস্থা ভয়াবহ ছিল বলে অভিযোগ করেছেন মুরারী মণ্ডল ৷
এরপর পুলিশ তাঁকে জানান, ঝুলন্ত অবস্থায় স্পায়ের ভিতর থেকে মাধবী মণ্ডলের দেহ উদ্ধার হয়েছিল ৷ তবে, মুরারী মণ্ডলের অভিযোগ তাঁর স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে ৷ আর এর পিছনে স্পায়ের মালিক জড়িত ৷ কিন্তু, কীসের ভিত্তিতে তিনি এই অভিযোগ আনছেন ? মৃতের স্বামীর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর উপর মানসিক অত্যাচার করতেন রজত হালদার ৷ এই মানসিক অত্যাচারের বিষয়টি মহিলা বাড়িতেও জানিয়েছিলেন ৷ পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ৷
আরও পড়ুন: