শিলিগুড়ি, 19 সেপ্টেম্বর: সামনেই দুর্গাপুজো। আর পুজোর ছুটি মানেই মনটা ঘুরুঘুরু। কেউ সমুদ্র, আবার কেউ পাহাড়ের টানে ছুটে যান পুজোর এই কয়েকটা দিন পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে নিজস্ব সময় কাটাতে ৷ কংক্রিটের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে সবুজের কোলে বুক ভরে অক্সিজেন নেওয়া ৷ পাহাড়ি বাঁকে হারিয়ে যাওয়া উচ্ছ্বল ঝর্ণার সঙ্গে ৷ সব মিলিয়ে পাহাড় আর প্রকৃতি সৌন্দর্যের ডালি আমন্ত্রণ জানায় পর্যটকদের ৷ পুজো ডেস্টিনেশনে তাই আপনি ঘুরে আসতে পারেন কালিম্পংয়ের 'ফুলের দেশ' ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ 'রিকিসুম' থেকে।
এখানে শুধু পাহাড়ের গায়ে সবুজ গালিচা আপনার মন ভরাবে না, সঙ্গে থাকবে রঙবাহারি ফুলের মেলা আর পাইন গাছের সারি ৷ ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ রিকিসুমে গেলে মনে হবে ফুলে ঘেরা স্বর্গরাজ্যে পৌঁছে গিয়েছেন আপনি। এ যেন এক অপূর্ব নন্দনকানন ! যেমন মিষ্টি নাম, তেমনই মিষ্টি জায়গাটি। রিকিসুম অনেকের কাছে 'ফুলের দেশ' নামে পরিচিত। কারণ এখানে পাহাড়ের গায়ে দেখা মেলে লক্ষ লক্ষ রোডোডেনড্রন, অর্কিড আর ম্যাগনালিয়া ফুলের। তার সঙ্গে উপরি পাওনা ছোট ছোট অপরূপ সুন্দর পাখি। যাঁরা পাখি ভালোবাসেন, তাঁদের কাছে এটা সেরা সুযোগ ৷
পাহাড়ের রূপ এক এক ঋতুতে এক এক রকম। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 6 হাজার 300 ফুট উচ্চতায় রিকিসুম অবস্থিত। হিমেল হাওয়া আর মেঘেদের আনাগোনা লেগেই থাকে এই গ্রামে। রিকিসুমে দাঁড়িয়ে ভুটান, তিব্বত, সিকিম, দার্জিলিং এবং নেপালের হিমালয়ের নামী-অনামী শৃঙ্গ দেখা যায়। এমন জায়গা থেকে সকালে সূর্যোদয়ের দৃশ্যও মন কাড়বে আপনার।
রিকিসুমে কোথায় থাকবেন ?
রিকিসুম পৌঁছে তো গেলেন, এবার থাকবেন কোথায়, তা নিয়ে নিশ্চই ভাবছেন? ছোট্ট জনপদে ঘেরা গ্রাম হলেও এখানে উপযুক্ত বেশ কয়েকটি হোম স্টে তৈরি হয়েছে ৷ হাতেগোনা সেই হোম স্টে-তে থাকতে হলে আপনাকে আগে থেকেই বুকিং করে যেতে হবে ৷ হোম স্টে-তে ব্যবস্থা থাকবে সকালের, দুপুর ও রাতের খাওয়ারের। এছাড়াও থাকে পাহাড়ী মুরগির বারবিকিউ, ক্যাম্প ফায়ারের ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে হোম স্টে-তে মাথাপিছু প্রতিদিনের খরচ 1200 থেকে 1500 টাকা। তবে বারবিকিউ ও ক্যাম্প ফায়ারের চার্জ আলাদা।
আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে আপনার অফবিট ডেস্টিনেশন হোক কালিম্পংয়ের রামধুরা