শিলিগুড়ি, 18 জানুয়ারি: কালিম্পংয়ে পাহাড়ের প্রথম ডিজিটাল এফএম ট্রান্সমিটারের শিলান্যাস করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । শুক্রবার ভার্চুয়ালি ওই ডিজিটাল এফএম ট্রান্সমিটারের আনুষ্ঠানিক শিলান্যাস করবেন তিনি । সেই ট্রান্সমিটারের ফলে পাহাড়ে আঞ্চলিক ভাষায় অনুষ্ঠান ও তথ্য সম্প্রচার আরও বেশি গতিশীল হবে । কেন্দ্রীয় সরকারের ওই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে পাহাড়বাসী ।
এই বিষয়ে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, "বিগত কয়েক বছর ধরে পাহাড়ে আমি অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করার চেষ্টা করছিলাম । অন্যান্য জায়গার তুলনায় পাহাড়ে যে কোনও অনুষ্ঠান ও তথ্য সম্প্রচার ভৌগোলিক কারণে অনেক বেশি কঠিন । এখনও অনেক জায়গায় মোবাইলের টাওয়ার পাওয়া যায় না ৷ আর রেডিয়োর পরিকাঠামোগত উন্নয়ন না করলে তা আরও কঠিন হয়ে পড়ছিল । সেই কারণে আমি কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে আবেদন করি, যাতে কালিম্পংয়ে থাকা প্রসার ভারতীর যে পরিকাঠামো রয়েছে, সেটির প্রযুক্তিগত ও পরিকাঠামোগত মান উন্নয়ন করে ডিজিটাল এফএম ব্রডকাস্টিং স্টেশন করা যায় । আমি খুব খুশি যে, প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর আমার দাবিকে মান্যতা দিয়েছেন । শিলান্যাসের পর খুব দ্রুত কালিম্পংয়ে এফএম ব্রডকাস্টিং স্টেশনের কাজ শেষ হবে ।"
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ব্রডকাস্টিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড নেটওয়ার্ক ডেভলপমেন্ট ( বিন্দ) প্রকল্পের অধীন প্রায় 3 কোটি 36 লক্ষ টাকা ব্যয়ে কালিম্পংয়ে ডিজিটাল এফএম ট্রান্সমিটার বসানো হবে । ট্রান্সমিটারটি বসলে কালিম্পং ও তার আশপাশের পাহাড়বাসীরা কোনওরকম অসুবিধা ছাড়াই এফএমে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান শুনতে পাবেন । এই স্টেশন তৈরি হলে একদিকে যেমন পাহাড়ের আঞ্চলিক ভাষা সংস্কৃতির উন্নয়ন হবে, অন্যদিকে, স্থানীয় প্রতিভা ও শিল্পীদের তুলে আনা সম্ভব হবে । এছাড়াও সেখানে কর্মসংস্থান তৈরি হবে ।
এর আগে, অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । কার্শিয়াংয়ের অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো স্টেশনের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করায় সেটি জাতীয় নেপালি ভাষায় অনুষ্ঠান ও খবর, তথ্য সম্প্রচারের হাব হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে । কার্শিয়াংয়ের রেডিয়ো স্টেশনটি 2022 সাল থেকে দেশের মধ্যে একমাত্র নেপালি ভাষায় পরিচালিত রেডিয়ো স্টেশন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে । আকাশবাণী কার্শিয়াংয়ের মাধ্যমে নেপালি ভাষার অনুষ্ঠান, খবর ও তথ্য গোটা বিশ্বে সম্প্রচারিত হয় । ওই ইউনিটে অন্তত 25 থেকে 30 জন কর্মী কাজ করছেন ।
এ দিকে, দার্জিলিংয়েও এফএম ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে কার্শিয়াংয়ের সমস্ত তথ্য সম্প্রচারিত হওয়া শুরু হয়েছে । এতে পাহাড়ের প্রত্যেক কোণায় এফএম সিগনাল পৌঁছে গিয়েছে । আগামীতে একটি ডিডি গোর্খা চ্যানেল তৈরির প্রচেষ্টা রয়েছে দার্জিলিংয়ের সাংসদের ।
আরও পড়ুন: