কলকাতা, 27মে : আমফানের প্রভাবে রাজ্যের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে । পরিবর্তন হয়েছে শহরের আবহাওয়ারও । কিন্তু, আপাতত কলকাতার বাতাসের মান ভালো । তবে এই স্বস্তি কতদিনের তা নিশ্চিত নয় । আমফানের ধাক্কায় শহরজুড়ে প্রচুর গাছ উপড়েছে । লকডাউন উঠে গেলে আবার শুরু হবে যান চলাচল । বাতাসে দূষণের মাত্রা আবার বাড়বে । সেক্ষেত্রে বাতাসের মান তখন খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করলেন পরিবেশবিদরা । দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন ক্ষতিপূরণের ৷ প্রচুর সংখ্যক গাছ লাগিয়ে এই ক্ষতিপূরণ সম্ভব বলে মত পরিবেশবিদদের ৷
এয়ার কোয়ালিটি ইনেডক্স মনিটরিং স্টেশন গতকাল বালিগঞ্জে রাত 10টা নাগাদ 48-র একটি এয়ার কোয়ালিটি ইনেডক্স (AQI) রেকর্ড করে । একই রেকর্ড করা হয় দুপুর তিনটেতেও । পরিবেশ ভালো ছিল বলেই ইঙ্গিত করছে এই রেকর্ড ।
পশ্চিমবঙ্গের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিধাননগর, যাদবপুর, ফোর্ট উইলিয়াম এবং রবীন্দ্র সরোবর এলাকাতেও এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স রেকর্ড করা হয় । ইনডেক্সগুলি ছিল যথাক্রমে 41,44,47 এবং 20 । একটি AQI 0-50 হলে সেই মানকে ভালো বলে মনে করা হয় । যেক্ষেত্রে 51-100 ‘সন্তোষজনক’ , 101-200 ‘পরিমিতভাবে দূষিত’, 201-300 ‘খারাপ’, 301-400 ‘খুব খারাপ’, 401-500 ‘প্রচণ্ড খারাপ’-কে ইঙ্গিত করে ।
আমফানের ফলে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে কলকাতার । শহরের প্রচুর গাছ ভেঙেছে, উপড়ে গিয়েছে শিকড় থেকে । শহরের পরিবেশে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা ।
আপাতত, দুইমাস লকডাউনের কারণে যান চলাচল বন্ধ । ফলে শহরের বায়ুদূষণের মাত্রা অনেক কম । এই বিষয় আগেও ইঙ্গিত করেছিলেন পরিবেশবিদরা । তবে আমফান শহরের বায়ু চলাচলে এক তীব্র প্রভাব ফেলেছিল । তবে গতকালের পরীক্ষার পর জানানো হয়েছে, বাতাসের মান ভালো ।
সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমফানে শহরে এবং শহরের আশপাশে প্রায় 15000 গাছ ভেঙে পড়েছে বা শিকড় থেকে উপড়ে গিয়েছে । এই বিষয়টিকেই এক বড় ক্ষতি বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা । যদিও মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শহরের নানা জায়গায় উপড়ে গিয়েছে প্রায় 5,500 গাছ ।
তাই বাতাসের মান ভালো রাখার জন্য এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পদক্ষেপ করবে রাজ্য প্রশাসন । গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেই জানানো হয় সরকারের তরফে । পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, “বনদপ্তরের সঙ্গে দ্রুতই বৈঠক করা হবে । প্রচুর সংখ্যায় গাছ লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে ।”